বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি শীতকালে বাড়ির বাগানে হরেকরকম ফুলের গাছ লাগায়। এই জেলাতে সেরকম কোনও নার্সারি না থাকায় মালদহ কিংবা অন্য জেলা থেকে গাছের চারা নিয়ে আসাদের ওপরেই নির্ভর করতে হয়। জেলা উদ্যানপালন দপ্তর জেলাতে নার্সারি গড়ে তুললে স্থানীয় বেকার ছেলেমেয়েরা উপকৃত হবে।
কৃষ্ণনগর থেকে আসা ফুলগাছ বিক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, নদীয়ায় কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র থাকায় সেখানকার প্রচুর লোক ফুলগাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। শীত পড়তেই আমরা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ফুলের চারা নিয়ে যাই। দক্ষিণ দিনাজপুরে ফুলের পাশাপাশি নানা ধরনের ফলের গাছেরও চাহিদা আছে। জেলার বাইরে ভালো দাম মেলায় আমরা পাঁচবছর ধরে শীতের মরশুমে রজ্যের জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়াই। বিভিন্ন শহর ও গ্রামের ব্যস্ত এলাকায় পসরা নিয়ে বসি। প্রতিসপ্তাহে কৃষ্ণনগর থেকে চারা নিয়ে আসি। শীতের মরসুমের দু’মাস চুটিয়ে ব্যবসা করি। অনেক সময়ে গ্রাহকদের অর্ডার মতো জেলা থেকে চারা নিয়ে আসা হয়।
গঙ্গারামপুর মহকুমা উদ্যানপালন আধিকারিক সুমন কর বলেন, আমাদের জেলায় ফুলের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। শীতের মরশুমে জেলার লোকেরা নানা ধরনের ফুলের চারা কিনে বাড়ির বাগানে লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু তেমন কোনও বড় নার্সারি নেই। বাগিচা চাষিদের যাতে সচেতন করা যায় এবং মডেল নার্সারি করার জন্য আমরা তাঁদের উৎসাহিত করছি। সেজন্য কুশমণ্ডি, বংশীহারি ও গঙ্গারামপুর ব্লকের কিছু বাগিচা চাষিকে দিয়ে শীতকালীন গোলাপ ও গাঁদা চাষ করানো হচ্ছে। জেলাতে মডেল নার্সারি করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। এতে জেলার ফুলপ্রেমীরা তাঁদের হাতের কাছেই সারাবছর নানা ধরনের ফুলের চারা পেয়ে যাবেন। জেলার বেকার যুবক-যুবতীরা চাষ করে মুনাফা ঘরে আনতে পারবেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নদীয়া থেকে আসা নার্সারি ব্যবসায়ীরা গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কসমস, গ্লাডিওলাস, হলিওক, অস্টার, লেডিবার্ড, ইম্প্রেসন ফুলের চারা এনেছেন। তাঁরা জেলার বিভিন্ন জায়গায় পসরা নিয়ে বসছেন। এসব একএকটি ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।