বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এফিডেভিডের কাজ করতে আসারা বলেন, কোর্টের বারান্দা অত্যন্ত সংকীর্ণ। আদালত কক্ষও ছোট। সেকারণে অনেকেই ছাদে গিয়ে অপেক্ষা করেন। ছাদটি রেলিং না দিলে অসাবধানতাবশত যেকেউ পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালতের এক আইনজীবী জানিয়েছেন, ছাদটিতে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে থাকেন। রেলিং না থাকায় যেকোনও দিন বড়সড় বিপদ হতে পারে। ছাদটি রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া প্রয়োজন। আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুহৃদ মজুমদার বলেন, আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালত জেলা আদালতে উন্নীত করার জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেজন্য কলকাতা থেকে হাইকোর্টের প্রতিনিধিরা বেশ কয়েকবার আলিপুরদুয়ারে এসে আমাদের আদালত ভবন পরিদর্শন করে গিয়েছেন। এই আদালত জেলা আদালতে উন্নীত হলে পুরনো সব বিল্ডিং ভেঙে দিয়ে নতুন বিল্ডিং করা হবে। তখন হয়তো আর এই সমস্যা থাকবে না।
আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) কাজলকান্তি সাহা বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। সেটি যাতে রেলিং দেওয়া যায় সেব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালত ক্যাম্পাসের এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতটি কোর্ট লকআপের পাশে রয়েছে। এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ঘর সংলগ্ন ওই ছাদটি বড় ঘর তৈরির জন্য রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও ঘর বানানো হয়নি। সেখানকার ছাদটি দীর্ঘদিন ধরেই উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে। আলিপুরদুয়ার সদর শহর সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দারা তাঁদের নাম, পদবি পরিবর্তনের জন্য এফিডেভিড করতে আদালতে আসেন। আদালতে কাজ চলাকালীন প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। আদালতের সংকীর্ণ বারান্দাতে অনেকেই দাঁড়িয়ে থাকেন। জায়গা না পেয়ে অনেকে আবার রেলিংবিহীন ছাদের উপর গিয়ে অপেক্ষা করেন। মায়েদের সঙ্গে শিশুরাও ওই ছাদে যায়। যেকোনও সময়ে শিশুরা সেখান থেকে পড়ে গেলে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়।