বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের হারেজ আলি বলেন, ব্লকের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিল রান্নার মান নিয়ে অভিভাবকরা আমার কাছে সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি খুব উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছচ্ছে। পড়ুয়াদের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে মিড ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা দরকার। পুষ্টিগুণ বিচার না করে সাধারণভাবে রান্না মিড ডে মিল পরিবেশন করা হলে পড়ুয়ারা সেসব বর্জন করবে সেটাই স্বাভাবিক ঘটনা। আমরা স্থির করেছি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিযানে যাব। এনিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
আদিনা সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (এসঅই) সৌমিত্র সরকার বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনও স্কুল থেকে মিড ডে মিলের মান নিয়ে অভিযোগ পাইনি। আমরা স্কুলগুলিতে নিয়মিত পরিদর্শনে যাই। মিড ডে মিলে দেওয়া খাবারের মান যাচাই করে দেখি। এরপরেও অভিযোগ থাকলে অভিভাবকরা আমাদের জানাতে পারেন। পুরাতন মালদহ পুরসভার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি বিভা অধিকারী বলেন, শহরের কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিল রান্নার পুষ্টিগুণ বিচার না করা হলে বিষয়টি আমাকে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। এনিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনও অভিযোগ এলে চেয়ারম্যানকে জানানো হবে।
পুরাতন মালদহ ব্লকের শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক নীলাঞ্জন বিশ্বাস বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিল রান্না নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।
পুরাতন মালদহ ব্লক ও শহরের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিল রান্না নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের পারদ চড়ছে। একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিলের খাদ্য তালিকা অনুযায়ী যা দেওয়ার কথা তাও নির্দিষ্ট দিনে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রতিদিনই আবার খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। মিড ডে মিলে পর্যাপ্ত ডাল, সব্জি না দিয়ে রান্না করা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে একাংশ পড়ুয়া সেই মিড ডে মিল প্রতিদিন খাচ্ছে। যেদিন ডিম কিংবা সোয়াবিন দেওয়ার কথা সেদিন সেসব না দেওয়ারও অভিযোগ অভিভাবকরা করেছেন। মিড ডে মিলের খাদ্যতালিকায় পুষ্টিগুণ বিচার না করে কোথাও কোথাও রান্না করা হচ্ছে। সম্প্রতি ব্লক প্রশাসন একাধিক প্রাথমিক এবং জুনিয়র হাইস্কুলে অভিযান চালায়ে মিড ডে মিলের মান যাচাই করে। তাতে সেই অনিয়ম ধরা পড়েছে। এছাড়াও শহরের একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিড ডে মিল রান্না ও পরিবেশন করা হচ্ছে। অভিভাবকদের মতে, ওসব খাবার খেয়ে শিশুদের পেটের রোগের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।