বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এই ঘটনার পরেও অবশ্য জেলাশাসকের স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণাণ স্বামীর পাশেই দাঁড়িয়ে তাঁকে সমর্থন করেছেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, অনেক হয়েছে বাজে কথা। সরিয়ে দেওয়ার হলে সরিয়ে দিন। তাঁর আরও মন্তব্য, হ্যাঁ আমিও ওই ছেলেটিকে চড় মেরেছি। এদিকে যখন প্রশাসনিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে অভিযুক্তকে জেলাশাসকের মারধরের ভিডিও, তখন কার্যত স্বামীর কাজের সাফাই দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। জেলাশাসকের স্ত্রী লিখেছেন, আমি আমার স্বামীর জন্য গর্ববোধ করি। উনি সত্যিকারের নায়ক।
এই ঘটনায় সোমবার ফালাকাটা থানায় নিগৃহীত যুবকের পরিবার অভিযোগ জানাতে গেলে ফালাকাটাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার ব্যস্ততা দেখিয়ে পুলিস অভিযোগ নিতে চায়নি। এদিন নিগৃহীত যুবককে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে আদালত। আদালতে যাওয়ার পথে বিনোদ বলেন, আমি বলেছিলাম আপনার অস্তিত্ব জেলাশাসকের জন্য। জেলাশাসক না থাকলে আপনার অস্তিত্ব নেই। এরপরেই ওরা আমাকে গ্রুপে ‘অ্যাড’ করে নেয়। অ্যাড করার পর আমাকে গালাগাল দেয়। আমিও পালটা দিই। সরকারি পক্ষের আইনজীবী এইচ টিটুং বলেন, ঘটনায় সায়নী সরকার, রানা সরকার ও দেবশ্রী দাস নামে আলিপুরদুয়ারের তিন জন ফালাকাটার বিডিও’র কাছে অভিযোগ করেছিলেন। এরপর রবিবার বিডিও’র অভিযোগের ভিত্তিতে ফালাকাটা থানার পুলিস ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ না থাকায় আদালত যুবককে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে।
এদিকে দিনভর গোটা জেলা জুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে নিন্দা ও শাস্তির দাবিতে ঝড় উঠলেও জেলাশাসকের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যাতেও তিনি আসেননি। জেলাশাসকের বাংলোতে দেখা করতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা ঢুকতে দেননি। জেলাশাসকের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এদিন পুলিস সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে।
বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, আইন নিজের হাতে নেওয়ায় জেলাশাসকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃণালকান্তি রায় বলেন, এই ঘটনার জন্য জেলাশাসককে বদলি করতে হবে। জেলাশাসক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। বিনোদের বাবা রাজমোহনবাবু পেশায় কৃষক। মা কল্পনাদেবী গৃহবধূ। পেশায় ওই যুবক প্রাইভেট টিউটর। রাজমোহনবাবু বলেন, আমার ছেলে অন্যায় করতেই পারে। তার জন্য আইন আদালত আছে। কিন্তু এভাবে মারধর করবে। আমি এর বিচার চাই।