কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
রাজ্যের আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু), অধীর চৌধুরী এবং এআইসিসির দুই রাজ্য পর্যবেক্ষক অসমের গৌরব গগৈ ও বিহারের মহম্মদ জাভেদকে লোকসভা ভোটে জয়ী হওয়ায় সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় অধীর ও জাভেদ বিধান ভবনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। সোমেনবাবু বলেন, এবারের নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ে কোনও ব্যক্তিকে দায়ী করা না গেলেও, প্রদেশের সভাপতি হিসেবে তার দায় আমার উপরই বর্তায়। তিনি বলেন, এবারের মতো ধর্মের ভাগাভাগিতে ভোট আগে কখনও দেখিনি। তৃণমূলের অত্যাচার আর দুর্নীতি থেকে রেহাই পেতে মানুষ বিকল্প খুঁজেছিল। কংগ্রেস ও বাম একত্রে এই বিকল্প দিতে পারলে ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটাতে সফল হত না বিজেপি। একইভাবে গৌরবের ব্যাখ্যা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষ এককাট্টা হয়েছে। তারা বিকল্প খুঁজে পায়নি। এই প্রসঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা প্রক্রিয়ায় কংগ্রেসের তরফে খামতি ছিল বলেই ইঙ্গিত দেন গৌরব। ভোটের পর থেকে রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূল প্রতিযোগিতা করে সন্ত্রাস করে চলেছে। সোমেনবাবুর মতো গৌরবেরও মত, বাম ও কংগ্রেসের পরস্পরের মধ্যে জোট নিয়ে আলোচনা শুরু করা উচিত। যাতে মানুষের কাছে সেই জোট তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।
দলের নির্বাচনী পর্যলোচনায় আগামী ১৫ জুন প্রদেশ কংগ্রেস কর্মসমিতির বৈঠক। সোমেনবাবু বলেন, দীর্ঘদিন যাঁরা দলের পদ আঁকড়ে বসে আছেন, কিন্তু কোনও কাজে নেই, তাঁদের সম্পর্কে ভাবার সময় এসেছে। তাঁর কথায় স্পষ্ট, প্রস্তাবিত কর্মসমিতির বৈঠকে নতুন কমিটি গঠন ও পুরনোদের একাংশকে ছেঁটে ফেলা হবে। সংবর্ধনার জবাবে আপ্লুত ডালুবাবু বলেন, তৃণমূল মানুষের উপর শুধু অত্যাচার করেনি, গত পঞ্চায়েতে ভোট দিতে দেয়নি। তিনি অবশ্য বলেন, তাঁর জেলা মালদহে হিন্দুদের একাংশ কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে। বরং মুসলমান ভোট কংগ্রেস ও তৃণমূলে ভাগাভাগি হয়েছে। তাঁর মতে, কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় না থাকলেও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করতে পারে। তাঁর মতে, জনসংযোগ বাড়ানোই দলের সংগঠন বাড়ানোর একমাত্র উপায়। এদিনের সভায় সংসদ সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তী, যুব কংগ্রেস সভাপতি সাদাব খান, বিধায়ক অসিত মিত্র, সুখবিলাস বর্মা ও মুস্তাক আলম হাজির ছিলেন।