কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
যদিও এই আশঙ্কার কথা মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। দক্ষিণ হাওড়ার কার্যকরী সভাপতি তপন পাল বলেন, উপপ্রধান পদত্যাগ করলে বা দলবদল করলে আমাদের কিছু যায় আসে না। কারণ গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধানের কোনও গুরুত্ব নেই। প্রধান আমাদের রয়েছেন, ফলে তাঁর নেতৃত্বেই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে চলবে।
তৃণমূল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁকরাইল ব্লকের বাণীপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯টি আসন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ৪টি, বিজেপি ৪টি ও ১টি আসন নির্দল পায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে নির্দল প্রার্থী তপন দাস তৃণমূলকে সমর্থন করায় শাসক দল পঞ্চায়েতটি দখল নেয়। তৃণমূলের রীতা দাস প্রধান ও তপন দাস উপপ্রধান নির্বাচিত হন। তবে পঞ্চায়েত গঠন হওয়ার পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পঞ্চায়েতের বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ নিয়ে তপন দাসের সঙ্গে পঞ্চায়েতের প্রধান সহ বাকি তৃণমূল সদস্যদের বিরোধ শুরু হয়। আর যার জেরেই সম্প্রতি তপন দাস উপ প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করে বিজেপিতে দেন।
তপনবাবু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বর্তমানে তাদের আসন সংখ্যা বেড়ে ৫ হয়েছে। অন্যদিকে শাসক দলের চার সদস্য রয়েছে। পদত্যাগ প্রসঙ্গে তপন দাস বলেন, ৯ মাসে পঞ্চায়েতে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে আমি প্রতিবাদ করলেও আমার কথাকে প্রধান সহ শাসক দলের বাকি সদস্যরা গুরুত্ব দিচ্ছিল না। সম্প্রতি পঞ্চায়েতের বেশ কিছু কাজে অনিয়মের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় আমাকে কার্যত একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। তপনবাবু বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমার একটা নৈতিক দায়িত্ব আছে আর সেই কারণেই আমি উপ প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।
উপ প্রধানের বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপির হাওড়া সদরের সহ সভাপতি রুদ্রপ্রতাপ দাস বলেন, শুধু তপনবাবু নয় অনেক পঞ্চায়েত সদস্য দল ছাড়ার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আগামীদিনে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেবেন এবং বিজেপি একাধিক পঞ্চায়েত দখল করবে।