কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
প্রসঙ্গত, নিমতায় তৃণমূল কর্মী নির্মল কুণ্ডু খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, রাজ্যে আর কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের শান্তি মিছিল এবং জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে। বিজয় মিছিলের জন্য কোনও নেতা চাপ দিলে পুলিসকে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন তিনি।
এদিন রায়গঞ্জের কসবা নেতাজি মোড় থেকে চণ্ডীতলা পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করে বিজেপি। মিছিলের শুরুতে রায়গঞ্জের সংসদ সদস্য তথা কেন্দ্রের নারী ও শিশুকল্যাণ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী সামান্য রাস্তা যাওয়ায় পর চলে যান। দিলীপবাবু হুডখোলা গাড়িতে চেপে বিজয় মিছিলে অংশ নেন। মিছিলে শামিল হয়ে দিলীপবাবু বলেন, আমরা আগেই লিখিত অনুমতি নিয়েছিলাম। সেজন্য কর্মীরা আসেন। কারও খামখেয়ালিপনার জন্য তা বন্ধ করতে পারি না। একাধিক জেলায় বিজয় মিছিলের অনুমতি নেওয়া আছে। কারণ মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে জিতেয়েছেন। আমাদের লোকেদের অধিকার আছে মিছিল করার। যেখানে মানুষের কোনও অসুবিধা নেই, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর অসুবিধা কীসের। ওরা হেরেছে। তাই ওরা মিছিল নাও করতে পারে। কিন্তু, আমাদের জয় হয়েছে। তাই আমাদের মিছিল করার অধিকার আছে। আমরা সব জায়গায় মিছিল করব। বেশি বাড়াবাড়ি করলে কেবল পুলিসকে জানিয়ে দিয়ে বিনা অনুমতিতেই মিছিল হবে। রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক রজতকান্তি বিশ্বাস এদিন বলেন, বিজেপির মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি পুলিস দেখবে। তারাই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
অন্যদিকে, বীরভূমের আহমদপুরে ডিজে নিয়ে বিজয় মিছিল করে তৃণমূল। যদিও মিছিলে সামনের সারির কোনও নেতার দেখা মেলেনি। তবে, মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বক্তব্য রাখেন অনুব্রত মণ্ডলের ছায়াসঙ্গী তথা তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ ও বোলপুর লোকসভার সংসদ সদস্য অসিত মাল। এদিন আবির খেলা ছাড়াও তারস্বরে ডিজে নিয়ে গোটা আহমদপুর প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। যদিও এটাকে বিজয় মিছিল বলে মানতে নারাজ অভিজিৎবাবু।
অভিজিৎবাবু বলেন, আমরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভা করলাম। জনসভায় যোগ দিতে কর্মীরা নিজেদের মতো করে এসেছেন। কেউ একত্রিত হয়ে। কেউ সাইকেলে বা বাসে চড়ে এসেছেন। কোনও বিজয় মিছিল করা হয়নি। এদিকে বিজয় মিছিলের কথা তাঁর জানা নেই বলে দাবি করেছেন অসিত মাল।
যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, দিকে দিকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে তৃণমূলীরা দিশাহারা হয়ে পড়ছেন। শুধুমাত্র বিজেপিকে ঠেকাতে বিজয় মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ওদের জন্য যে এই নির্দেশ নয়, সেটা তাদের এদিনের বিজয় মিছিল দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তবে এভাবে বিজেপির উত্থান ঠেকানো সম্ভব নয়।