কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
নির্বাচনী সংস্কারের দাবি তাঁর বরাবরের। প্রধানত রাষ্ট্রীয় তহবিল বা স্টেট ফান্ডিং নিয়েই সরব হতেন তিনি। মমতার মতে, শুধু টাকার কাছে কেন কলঙ্কিত হতে হবে বিশ্বের এই বৃহত্তম গণতন্ত্রকে। সপ্তদশ লোকসভায় বারে বারে তাঁর দল কমিশনে বিজেপির বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছে। তার বেশিরভাগেই আমল দেয়নি কমিশন। এই নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও করেছেন। তাতেও কাজ হয়নি। উল্টে মোদি-শাহের বিরুদ্ধে একাধিক নির্বাচনী আচরণ বিধিভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ কমিশনে জানালেও তাঁদের ক্লিনচিট দেওয়া হয়। ঘটনাচক্রে ভোটপর্বের মধ্যেই তিন সদস্যের অন্যতম অশোক লাভাসা দাবি করেন, তিনি দুই নেতাকে ক্লিনচিট দিতে অস্বীকার করেছিলেন। সংখ্যাধিক্যের জোরে কমিশন মোদি ও শাহকে ছাড় দিলেও লাভাসার আপত্তি সংশ্লিষ্ট বৈঠকে নথিভুক্ত করতে আপত্তি জানানো হয়। ফলে, সরকারি রেকর্ড অনুসারে কমিশনের ক্লিনচিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত ছিল। লাভাসার ওই দাবি ঘিরে দেশজুড়ে আলোড়ন পড়লেও ভোটে মোদির বিপুল বিজয়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বস্তুত লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছিল।
এদিন মমতা সরাসরি সেই প্রসঙ্গ না তুললেও কমিশনের শীর্ষকর্তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই নিশানা করেছেন। ইভিএম নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। মমতার দাবি, ২০ লক্ষ ইভিএমের খোঁজ নেই। ৩০ শতাংশ মেশিনে গোলমাল ছিল। মেশিন প্রোগ্রামিং করা ছিল বলে মনে করেন তিনি। মমতা বলেন, এত যখন অভিযোগ, তাহলে তার তদন্ত হওয়া দরকার। বিচার বিভাগ ও কমিশন এটা নিয়ে ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ করা হোক। দিল্লিতে সব বিরোধী দল মিলে নির্বাচন কমিশনে বিক্ষোভ সংগঠিত করা উচিত বলে মনে করেন মমতা। তাঁর মতে, কমিশন গঠনের মধ্যেই গলদ রয়ে গিয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিশনের গঠনে কলেজিয়াম তৈরি করা উচিত। তাঁর ইঙ্গিত, শাসক দলের সুপারিশে যাঁরা সদস্য হচ্ছেন, তাঁদের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। বিশেষত, এই লোকসভা ভোটে তার লক্ষণ ফুটে উঠেছে। তাই কলেজিয়ামে সব দলের প্রতিনিধিত্ব থাকলে নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে বলেই দাবি মমতার।