কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কোর্টে খাদ্যে ভেজাল সংক্রান্ত মামলা প্রমাণিত হলে রেস্তরাঁ, হোটেল এবং তার সঙ্গে যুক্ত লোকজনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিয়ে থাকে। পরবর্তী সময় ওই আদেশের বিরুদ্ধে তাঁরা কলকাতা নগর দায়রা কোর্টে রিভিশন মামলায় আসেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, দায়রা কোর্টে এই ধরনের বেশ কিছু রিভিশন মামলার নিষ্পত্তি হতে গড়িয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ সময়। আদালত সূত্রের খবর, এই ধরনের কত মামলা বকেয়া আছে, বর্তমানে সেইসব মামলা কী অবস্থায় পড়ে আছে, তা নিয়ে মুখ্য বিচারক বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। আগামী সপ্তাহে তিনি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে কোর্ট সূত্রের খবর।
কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিশেষ সরকারি আইনজীবী জয়ন্ত চক্রবর্তী খাদ্যে ভেজাল সংক্রান্ত রিভিশন মামলাগুলি যে বিলম্বিত হচ্ছে, তা স্বীকারও করেন। তাঁর বক্তব্য, আমরা কোর্টের কাছে বার বার রিভিশন মামলাগুলি দ্রুত শেষ করার জন্য আবেদন করছি । কিন্তু সেটাই হচ্ছে না, এটা দুর্ভাগ্যজনক। সেই কারণে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। দায়রা বিশেষজ্ঞ জগদীশচন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রথমত, বহু সময় অভিযুক্তরা কোনও একটি আদেশের বিরুদ্ধে চলে যান হাইকোর্টে। দ্বিতীয়ত, নানা সময় কোনও কারণে সময় চেয়ে থাকেন অভিযুক্তরা। তৃতীয়ত, কোনও সময় দেখা যায় আদালত বিচারকশূন্য। চতুর্থত, এইসব মামলায় এমনও দেখা গিয়েছে, দায়রা কোর্টের কোনও আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশের জেরে মামলার শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে নানা কারণে দায়রা কোর্টে খাদ্যে ভেজাল সংক্রান্ত রিভিশন মামলার শুনানি শেষ হতে গড়িয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ সময়। মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মী রঞ্জিত শূরের বক্তব্য, খাদ্যে ভেজালের মতো মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়াটাই একান্ত কাম্য। কারণ এই ধরনের অপরাধীদের সাজা হলে সমাজে একটা বার্তা যাবে। তাতে কিছুটা হলেও এই ধরনের অপরাধ কমবে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারক নীরদরঞ্জন ঘোষ বলেন, সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু তারই মধ্যে এই মামলাগুলি যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সে বিষয়ে সকলকেই আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।