কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
চলতি খরিফ মরশুমে ধানের সহায়ক মূল্য আগের মরশুমের তুলনায় কুইন্টালে দু’শো টাকা বাড়িয়ে ১৭৫০ টাকা করা হয়েছে। খোলাবাজারের তুলনায় সরকারের কাছে ধান বিক্রি করা চাষিদের কাছে খুবই লাভজনক। তাই চাষিরা সরকারের কাছে বিপুল পরিমাণ ধান বিক্রি করছেন। ওই ধান থেকে উৎপাদিত চাল মজুত করে রাখা এখন সরকারের সামনে একটি বড় সমস্যা। রাইস মিলগুলি সরকারি ধান থেকে উৎপাদিত চাল নেওয়ার জন্য সরকারকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছে। রাইস মিল থেকে সরকারি গুদামে চাল না এলে ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খাদ্য দপ্তরের কাছে এটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১৯ লক্ষ টন ধান সরকারি উদ্যোগে সংগৃহীত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৩৫ হাজার টন করে ধান সংগ্রহ হচ্ছে। সরকারের গুদামে ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টন চাল মজুত করা যেতে পারে। আরও চার লক্ষ টন চাল মজুত করার মতো গুদাম কয়েক মাসের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। কিন্তু এখনও সরকারি গুদামে গত খরিফ মরশুমে সংগ্রহ করা চাল প্রচুর পরিমাণে মজুত রয়েছে। যা দিয়ে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত রাজ্যের রেশন দোকানগুলির চালের চাহিদা মেটানো যাবে।
এই পরিস্থিতিতে চলতি খরিফ মরশুমের প্রথম থেকে এফসিআই-কে চাল দেওয়ার উপর জোর দিয়েছিল রাজ্য খাদ্য দপ্তর। রাইস মিলগুলিকে বলা হয়েছিল, প্রথম দফায় যে চাল উৎপাদন করা হবে, তার পুরোটাই যেন এফসিআই-কে পাঠানো হয়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, এফসিআই রাজ্য খাদ্য দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে রাজি হলেও রাইস মিলগুলির কাছ থেকে চাল নিতে চাইছে না। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন আগে খাদ্যমন্ত্রী এফসিআই-এর স্থানীয় আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে কিন্তু সমস্যা মেটেনি। কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লিতে এফসিআই শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে খাদ্য দপ্তরের প্রধান সচিব দিল্লি যান। সেখানে নীতি আয়োগের কর্তাদের সঙ্গে তাঁর এ ব্যাপারে বৈঠক হয়। তারপর এফসিআই রাজ্যের কাছ থেকে চাল নিতে রাজি হয়। গত কয়েকদিন ধরে রাইস মিল থেকে সরবরাহ করা চাল অল্প পরিমাণে নিতে শুরু করেছে এফসিআই।
রাজ্যে এবার ৫২ লক্ষ টন ধান সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। এখনও পর্যন্ত সংগ্রহের যা গতি, তাতে খাদ্য দপ্তর মনে করছে, মোট সংগ্রহ ৫২ লক্ষ টন ছাড়িয়ে যাবে। রাজ্যে রেশনে চালে যা চাহিদা, তাতে ৩৫ লক্ষ টন ধান যথেষ্ট। গত মরশুমে ৪০ লক্ষ টনের কিছু কম ধান রাজ্যে সংগ্রহ হয়েছিল। তার থেকে যে চাল উৎপাদন হয়েছে, তা দিয়ে এক বছরের বেশি সময় রেশনের চাহিদা মেটানো হয়েছে। ফলে ধান সংগ্রহ ৫২ লক্ষ টন ছাড়ালে রাজ্যের চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি চাল উৎপাদন হবে।