কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
গত বছর মার্চে রুসা ২.০-র সূচনা করা হয়েছিল। তার নিয়মে বলা হয়েছিল, ন্যাকের মূল্যায়নে যে সব কলেজ ২.৫ নম্বর অথবা বি+ গ্রেড পাবে, তারা রুসার অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবে। কিন্তু সম্প্রতি প্রজেক্ট অ্যাপ্রুভাল বোর্ডের (প্যাব) বৈঠকে ঠিক হয়েছে, দুইয়ের বেশি বা বি গ্রেড থাকলেই এই কেন্দ্রীয় অনুদানের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন মঞ্জুর হলে প্রতিটি কলেজ চার কোটি টাকা করে পাবে বলে শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। যে কলেজগুলি সুযোগ পেল আবেদন করার, তার মধ্যে ১০টি কলকাতার। অর্থাৎ বেশিরভাগ কলেজই জেলার। আরও একটি বিষয় হল, মেরে কেটে কোনও মতে দু’নম্বর পেয়ে যে কলেজ আবেদন করেছে, তাদের পরিকাঠামোর কী অবস্থা, তা নিয়ে শিক্ষা মহলের কর্তারা উদ্বিগ্ন। তবে রুসার টাকা পেলে সেই কলেজের চেহারা বদলে যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী। কলকাতায় উল্লেখযোগ্য কলেজগুলির মধ্যে রয়েছে দীনবন্ধু অ্যান্ডুজ, সিটি কলেজ, ক্ষুদিরাম কলেজ, খিদিরপুর কলেজ, গুরুদাস মহাবিদ্যালয়, সরশুনা কলেজ প্রমুখ।
অধ্যক্ষরা বলছেন, রাজ্য রুসা কমিটির কাছে প্রথমে এই আবেদন করতে হচ্ছে। তারা যদি অনুমোদন করে, তাহলেই তা দিল্লিতে পাঠানো যাবে। ১৮ জানুয়ারি ছিল আবেদন করার শেষদিন। কেন্দ্র জানিয়েছে, গোটা দেশ থেকে ৭৫টি কলেজকে এই অনুদান দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে রাজ্য থেকে ক’টি কলেজ সেই সুযোগ পাবে, সেটাই দেখার। সরশুনা কলেজের অধ্যক্ষ শুভঙ্কর ত্রিপাঠি বলেন, এর আগে আমাদের দু’কোটি টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও, তা আচমকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা আবার নতুন করে অনুদানের জন্য আবেদন করতে বলেছে। নিয়মও কিছুটা শিথিল করেছে। দেখা যাক, এবার কী হয়। ক্ষুদিরাম সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ সুবীর দত্ত বলেন, যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা পূরণ করা যাচ্ছে না। তাই অনুদানের জন্য আবেদন করা যায়নি।