কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
ফেডারেল ফ্রন্ট। বছর দুয়েক আগে থেকে দেশের আঞ্চলিক দলগুলিকে মোদি বিরোধী জেহাদে শামিল করার কাজ শুরু করেছিলেন মমতা। তাঁর সেই উদ্যোগই এখন নির্বাচনী ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে অরুণাচল প্রদেশের মতো ক্ষুদ্র রাজ্যের বিরোধী শক্তি হাজির হবে ব্রিগেডে। কংগ্রেসের মতো জাতীয় দলও শেষ পর্যন্ত মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে অংশ নিচ্ছে। অর্থাৎ, বিজেপি এবং বিরোধীদের মধ্যে মেরুকরণ ক্রমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিরোধীদের এই ঐক্যের কাণ্ডারী মমতা এদিন সরেজমিনে এসেছিলেন ব্রিগেডের মেগা শোয়ের প্রস্তুতি দেখতে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মঞ্চ। তাঁর দাবি, ঐতিহাসিক সমাবেশ হতে চলেছে। কেন্দ্রে ক্ষমতা থেকে বিজেপির অপসারণ নিয়ে নিশ্চিন্ত মমতা। তিনি বলেন, কংগ্রেস কটা পাবে বলতে পারব না। তবে ১২৫ আসন পেরতে পারবে না বিজেপি।
এদিকে, বক্তার তালিকা দীর্ঘ। বস্তুত গোটা দেশের বিরোধী রাজনীতির প্রতিনিধিরা আসছেন ব্রিগেডে। দলের পতাকা দিয়ে ব্রিগেড ময়দান চত্বর মোড়া থাকলেও, মূল মঞ্চের প্রেক্ষাপটে থাকবে জাতীয় ঐক্যের বার্তা। যা আদতে ভবিষ্যৎ ভারতের বিকল্প শক্তির উত্থানের বার্তা বহন করবে। এই সভায় যেসব দল আসবে তাদের নিজস্ব নীতি রয়েছে। সেই নিজস্বতা ও রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা বজায় রেখেই মোদি বিরোধিতায় তারা অভিন্ন। মমতা বলেন, অনেক নেতা আসবেন। সবাইকেই ছোট করে বলতে দেওয়া হবে। আমি বলার চাইতে শুনতে চাই বেশি। সভার পরে আলিপুরের সরকারি ভবন ‘সৌজন্য’তে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে চায়ের আসরে আলোচনা করবেন মমতা। বললেন, মায়াবতী নিজে আসছেন না। যদিও তিনি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মায়াবতী বহুজন সমাজ পার্টির সতীশ মিশ্রকে ব্রিগেডে পাঠাচ্ছেন বলেও জানান মমতা। তাঁর মতে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের পর আঞ্চলিক দলগুলিই নির্ণায়ক শক্তি হবে।
এদিন মমতা আসার অনেক আগে থেকেই ময়দানে কাজের তদারকি করছিলেন যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভার মঞ্চ থেকে সমস্ত খুঁটিনাটি তৃণমূল সুপ্রিমোর পরিকল্পনা এবং অনুমোদন সাপেক্ষ। স্বভাবতই, সেই পরিকল্পনা কতটা পালন করা হয়েছে, কিংবা কোথায় কতটা খামতি রয়েছে, এইসব বিষয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বেশ কিছু প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও আসছেন ব্রিগেডে। এতজন ভিভিআইপি, এদের কেউ জেড, কেউ জেড প্লাস নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকেন। এই ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দায়িত্বে থাকছেন খোদ কলকাতার পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার।