বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এদিকে, গত খরিফ মরশুমের ধান থেকে উৎপাদিত প্রায় ৩০ হাজার টন চাল এখনও কয়েকটি রাইস মিল সরকারের কাছে জমা দেয়নি। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়ার পরও আটটি রাইস মিলের কাছ থেকে চাল পাওয়া যায়নি। এদিনের বৈঠকে রাইস মিল মালিকদের প্রতিনিধিদেরও ডাকা হয়েছিল। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে চাল না দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে পুলিসে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সভাপতি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, সরকারি ধান ভাঙিয়ে চাল না দেওয়ার জন্য কোনও রাইস মিলের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিলে, তাঁরা তা সমর্থন করবেন। রাইস মিলের যে সমস্যাই হোক না কেন, সরকারকে চাল ফেরত দিতে হবে।
চলতি খরিফ মরশুমে মোট ৫২ লক্ষ টন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৪৬ লক্ষ টন ধান রাজ্য সরকারের সংগ্রহ করার কথা। বাকি ৬ লক্ষ টন ধান কেনার দায়িত্ব এফসিআই-কে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের মিড ডে মিল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় চাল সরবরাহ করার দায়িত্ব এফসিআই-এর। এফসিআই ৬ লক্ষ টন ধান থেকে যে চাল পাবে, তা দিয়ে ওই দুটি ক্ষেত্রের চাহিদা মেটানোর পরও বাড়তি চাল অন্য রাজ্যে পাঠানো যাবে বলে মনে করে খাদ্য দপ্তর। গত খরিফ মরশুমে এফসিআই-এর কাছে চাল না থাকায় রাজ্য সরকারকে মিড ডে মিল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য চাল সরবরাহ করতে হয়েছিল। এফসিআই-এর অনুরোধে মুখ্যমন্ত্রী ওই সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু খাদ্য দপ্তরের অভিযোগ, ওই চালের দাম বাবদ প্রাপ্য চারশো কোটি টাকা এখনও মেটানো হয়নি।
এবার রাজ্য খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এফসিআই-কে প্রস্তাব দেওয়া হয়, প্রথম দফায় সংগৃহীত ধান থেকে উৎপাদিত চালের বেশিরভাগটাই তারা নিয়ে নিক। এতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও মিড ডে মিল প্রকল্পে চালের চাহিদা মেটানো যাবে। রাজ্য সরকারের দাবি, এফসিআই কর্তৃপক্ষ এই শর্তে রাজি হলেও এখন চাল নিতে চাইছে না।
এফসিআই চাল নিতে বেঁকে বসায় খাদ্য দপ্তরও সমস্যায় পড়ে গিয়েছে। অধিকাংশ জেলায় আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত রেশনের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত চাল রাজ্য সরকারের কাছে মজুত আছে। তাই প্রথম দফার বেশিরভাগ চাল এফসিআই-কে দিতে চেয়েছিল রাজ্য। এখন চাল মজুত করে রাখতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে চলেছে খাদ্য দপ্তর। প্রায় ১৬ লক্ষ টন ধান সংগ্রহ হয়ে গিয়েছে। রাইস মিলগুলি চাল উৎপাদন করে তা সরকারকে দিতে চাইছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের গুদামে চাল মজুত করার জায়গার অভাব অনেক জায়গাতেই।