বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এদিন কুলগাছিয়ার সভায় ব্যাপক ভিড় হয়। মাঠে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ভিড় মাঠ ছাপিয়ে রাস্তায় চলে যায়। এদিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সমবায়মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি (সদর) অরূপ রায়, জেলা তৃণমূলের সভাপতি (গ্রামীণ) পুলক রায়, রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্রীড়াদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা, শ্রমদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নির্মল মাঝি ও জেলার বিধায়করা। এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি। ভাষণে মূলত বিজেপিকেই তিনি বেশি আক্রমণ করেন। অভিষেক বলেন, আগামী ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে যে সংখ্যক মানুষ হাজির হবেন, তাই দেখেই বিজেপি ভয় পাবে। বিজেপিকে দেশ থেকে তাড়াতে পারলেই, একমাত্র সাধারণ মানুষের উপকার হবে। পেট্রল, ডিজেল, গ্যাসের দাম কমতে শুরু করবে। বিজেপি আদানি-আম্বানিদের সরকার। সাধারণ মানুষের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের প্রধানমন্ত্রী দরকার।
এদিন অভিষেক বলেন, ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশে গোটা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। আসবেন অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব, শারদ পাওয়ার, শারদ যাদব, স্ট্যালিন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রমুখ। ওইদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দেবেন। আমাদের এখন একমাত্র লক্ষ্য লোকসভা ভোট। এদিন পুরমন্ত্রী বলেন, সিপিএম এখন লুপ্তপ্রায় দলে পরিণত হয়েছে। তারা আবার ৪৮ ঘণ্টা বনধ ডেকেছিল। মানুষ তাদের যোগ্য জবাব দিয়ে দিয়েছে। আর বিজেপি গোটা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। জিনিসপত্রের নাম আকাশছোঁয়া হয়েছে। এই অবস্থায় দেশের মানুষের জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মানুষ দেখতে চাইছেন। গত বছর এই রাজ্য থেকে বিজেপি দু’টি আসন পেয়েছিল। এবার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলছি, একটি আসনও এই রাজ্য থেকে বিজেপিকে দেওয়া হবে না। ২০১৯ সালেই বিজেপি ফিনিশ। রাজ্যের সব আসন রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেবেন। এদিন অরূপ রায় বলেন, আগামী ১৯ জানুয়ারি হাওড়া থেকে যা মানুষ যাবে, তাতে অর্ধেক ব্রিগেড ভরে যাবে। অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গোটা দেশের মানুষ বিজেপিকে বর্জন করবেন। মানুষই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন।