বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
গ্রন্থাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনশিক্ষা প্রসার দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এই খবর জানিয়ে বলেন, রাজ্যে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার সরকারি গ্রন্থাগার রয়েছে। এর মধ্যে কর্মীর অভাবে বন্ধ রয়েছে প্রায় ৩৫০টি গ্রন্থাগার। আরও প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক গ্রন্থাগার এই কারণে বন্ধ ছিল। তবে সম্প্রতি ১৮৪ জন নতুন কর্মী নিয়োগ করে বেশ কিছু গ্রন্থাগার নতুন করে চালু করা হয়েছে। চলতি বছরে বাকি গ্রন্থাগারগুলিও চালু করা হবে আরও লোক নিয়োগ করে। আসলে মুখ্যমন্ত্রী চান, বাংলার মানুষ যত পারে বই পড়ুক। তাই বেসরকারি ও সরকার পোষিত গ্রন্থাগারগুলির উন্নয়নের জন্যও আমরা বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করছি। এখন এই গ্রন্থাগারগুলিকে বই কেনা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। এবার থেকে তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হচ্ছে। এজন্য আমরা চলতি আর্থিক বছরেই ছ’কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি আলাদা করে। দফায় দফায় রাজ্যের দু’হাজার এই ধরনের গ্রন্থাগারকে ওই সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
সিদ্দিকুল্লার কথায়, সরকারি গ্রন্থাগারে পড়ুয়াদের সুযোগ করে দিতে আমরা সদস্য ফি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমানে গোটা রাজ্যে সরকারি গ্রন্থাগারে ১ কোটি ৩৩ লক্ষ সদস্য রয়েছে খাতায়-কলমে। এর মধ্যে শিশু পড়ুয়ারা ইতিমধ্যেই ওই সুবিধা পেয়ে থাকে। বাকিদেরও এবার থেকে ওই সুবিধা দেওয়া হবে। এলাকা বিশেষে এই সদস্য ফি ছিল বছরে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। তবে অনেক ক্ষেত্রেই উপযুক্ত পরিকাঠামো এবং লোকবলের অভাবে এই ফি যথাযথভাবে আদায় হয় না। পড়ুয়ারাও অনেকে বকেয়া ফি-এর কারণে লজ্জা বা ভয়ে গ্রন্থাগারে আসা ছেড়ে দেয়। এই সব দিক বিবেচনা করেই সদস্য ফি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, সরকারি গ্রন্থাগারে থাকা ১ কোটি ৮০ লক্ষ বই বাংলার মানুষ পড়ুক। শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করুক গ্রন্থাগার পরিষেবাকে।
জেলা এবং রাজ্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারগুলির ক্ষেত্রেও আমূল সংস্কারের পথে তাঁর দপ্তর পদক্ষেপ করেছে বলে এদিন জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, কলকাতার রাজ্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার বইয়ের ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এবার জেলা গ্রন্থাগারের ক্ষেত্রেও সেই প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যাদের বাড়িতে পড়ার সঠিক পরিবেশ নেই, তাদের জন্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে তৈরি করা হয়েছে অনেক বুক কর্নার। আইএএস-ডব্লুবিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের গাইড করার জন্য কেন্দ্রীয় বা জেলা গ্রন্থাগারে বিশেষ কোচিং সেশনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এজন্য জেলাশাসকদের ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।