শুক্রবার, 20 জুন 2025
Logo
  • শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

টিউবওয়েল অকেজো, জল কিনে মিড ডে মিল রান্না করছে স্কুলগুলি

গরম পড়তেই সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে বহু স্কুলের টিউবওয়েল অকেজো। ফলে মিড ডে মিলের রান্না করতে হিমশিম খাচ্ছে স্কুলগুলি।

টিউবওয়েল অকেজো, জল কিনে  মিড ডে মিল রান্না করছে স্কুলগুলি

নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গরম পড়তেই সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে বহু স্কুলের টিউবওয়েল অকেজো। ফলে মিড ডে মিলের রান্না করতে হিমশিম খাচ্ছে স্কুলগুলি। তাদের জল কিনে রান্না করতে হচ্ছে। কোথাও আবার স্কুলের টিউবওয়েলের উপরই নির্ভরশীল গোটা গ্রাম। তাই স্কুলে ঢুকে জল নিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। ফলে গরমের দাপট শুরু হতেই পানীয় জলের হাহাকার লেগে গিয়েছে ক্যানিং, বাসন্তী সহ বিভিন্ন জায়গায়। এই সমস্যা সব থেকে বেশি দেখা গিয়েছে বাসন্তীর বেশ কিছু গ্রামে। সম্প্রতি সেখানে টিউবওয়েল থেকে আর জল উঠছিল না। তাই বেশ কিছুদিন মিড ডে মিলের রান্নাও বন্ধ ছিল। বিকল্প হিসেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের ফল দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময় জেলা শিক্ষাবিভাগ থেকে তাদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়। তারপর থেকে কোনও স্কুল কিছুটা দূর থেকে জল নিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করেছে। তবে বেশিরভাগই এখন জলের বড় বড় ড্রাম কিনে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। আর শিশুরা অবশ্য বাড়ি থেকেই জল নিয়ে আসছে বলে প্রধান শিক্ষকরা জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মসজিদবাটি পার্বতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা নিজেদের টাকা খরচ করে জল এনে রান্না করানোর ব্যবস্থা করেছেন। ছর্নাখালি এমএসকেতে হ্যান্ডপাম্প খারাপ হয়ে গিয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে।
বহু স্কুলকেই এখন মিড ডে মিলের জন্য জল কিনতে হচ্ছে। তবে জয়গোপালপুর আদিবাসী এফপি স্কুলে একটু হলেও ভিন্ন ছবি। সেখানে এখনও কাজ করছে একটি মাত্র টিউবওয়েল। স্কুল চলাকালীন গ্রামের মানুষজন লাইন দিয়ে জল নেন। কিন্তু যেদিন স্কুল বন্ধ থাকে, সেদিন পাশের গ্রামে যেতে হয় জল আনতে। গোসাবায় আবার অন্য সমস্যা। সেখানে জল এলেও তা অনিয়মিত। দুই বেলা এক ঘণ্টার জন্য জল আসে। তাতে অনেকে জল পান না বলে অভিযোগ। সার্বিকভাবে পানীয় জল নিয়ে এক প্রকার নাজেহাল অবস্থা গ্রামবাসীদের।