সোমবার, 21 এপ্রিল 2025
Logo
  • সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

চীনা পণ্যে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক? ট্রাম্প প্রশাসনের জবাব চাইল বেজিং

শুল্ক ও পাল্টা শুল্ক। আমেরিকা ও চীনের মধ্যে এই মুহূর্তে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। রীতিমতো শুল্কযুদ্ধে জড়িয়েছে দুই দেশ। এর মধ্যে সামনে এলো নতুন তথ্য। 

চীনা পণ্যে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক? ট্রাম্প প্রশাসনের জবাব চাইল বেজিং

ওয়াশিংটন, ১৬ এপ্রিল: শুল্ক ও পাল্টা শুল্ক। আমেরিকা ও চীনের মধ্যে এই মুহূর্তে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। রীতিমতো শুল্কযুদ্ধে জড়িয়েছে দুই দেশ। এর মধ্যে সামনে এলো নতুন তথ্য। চীনা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কের হার ১৪৫ শতাংশ থেকে এক ধাক্কায় বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশ করল ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউজ থেকে প্রকাশিত নথিতে খোলসা করা হয়েছে এই তথ্য। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে হইচই। সাধারণত এমন কোনও পদক্ষেপ ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা কর করতে পছন্দ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই বিপুল শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বেনজির বলে মত পর্যবেক্ষক মহলের।
যে কারণে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে প্রশ্ন করেছেন, ছাপার ভুলের কারণে কি ১৪৫ হয়ে গিয়েছে ২৪৫ শতাংশ! নাকি গোপনে সত্যিই চীনা পণ্যে নতুন এই শুল্ক চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রশাসনকে কড়া বার্তা পাঠিয়েছে চীনও। বেজিংয়ের বক্তব্য, শুল্ক হার ঘিরে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে আমেরিকাকে। ট্রাম্প প্রশাসনকে স্পষ্ট করতে হবে প্রকৃত শুল্কের হার কত? ১৪৫ শতাংশ না ২৪৫ শতাংশ।
আমেরিকার সঙ্গে চলতি শুল্কযুদ্ধে ইতিমধ্যে হার না মানা মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছে বেজিং। পাল্টা হিসেবে মার্কিন পণ্য আমদানিতে ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে তারা। সেইসঙ্গে বোয়িং বিমান ডেলিভারি স্থগিত রেখেছে। বন্ধ করে দিয়েছে কিছু বিরল ধাতু রপ্তানি। একইসঙ্গে আলোচনার দরজাও খুলে রেখেছে বেজিং। শুল্ক ও বাণিজ্য যুদ্ধে বিবাদমান কেউ লাভবান হবে না বলে মনে করিয়ে দিয়েছে জিনপিংয়ের দেশ। কিন্তু চীনা পণ্যে আমেরিকার ২৪৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর বিষয়টি সত্যি হলে দু’দেশের সম্পর্কেও আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।