শুক্রবার, 20 জুন 2025
Logo
  • শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

আত্মঘাতী হামলায় কলকাতা দখলের হুমকি! বাংলাদেশি মৌলবাদীর ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

আল কায়েদার কৌশলে কলকাতা কব্জা করতে ঘটানো হবে ‘আত্মঘাতী’ হামলা! সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বাংলাদেশের এক মৌলবাদী নেতার এমন উস্কানিমূলক বক্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। 

আত্মঘাতী হামলায় কলকাতা দখলের হুমকি! বাংলাদেশি মৌলবাদীর ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আল কায়েদার কৌশলে কলকাতা কব্জা করতে ঘটানো হবে ‘আত্মঘাতী’ হামলা! সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বাংলাদেশের এক মৌলবাদী নেতার এমন উস্কানিমূলক বক্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার মতো বক্তব্যও শোনা গিয়েছে তার মুখে। বিষয়টি ভারতের গোয়েন্দাদের নজরে আসার পরই ওই মৌলবাদী নেতার বিষয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। তার কোনও জঙ্গি-যোগ আছে কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।
এক্স হ্যান্ডেলে ‘ভয়েজ অব বাংলাদেশি হিন্দুজ’ নামে পোস্ট করা এক ভিডিও মারফত ওই মৌলবাদী নেতা কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। কট্টরপন্থী ওই নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, বাংলাদেশ সেনা এখন যদি তাকে কলকাতা দখল করতে বলে তাহলে তার নাকি প্ল্যান তৈরি আছে! এর জন্য সাতটা সাধারণ বিমানও লাগবে না। ৭০টি যুদ্ধ জাহাজ তো অনেক বড় ব্যাপার। কলকাতায় কারা থাকে, তাদের শারীরিক শক্তি কতটুকু, তারা কী খায়—সবটাই জানা আছে তার। রক্ত দেখলেই তারা ভয় পায়। বাংলাদেশের সেনা বাহিনী তাকে অনুমতি দিলেই সে আত্মঘাতী বাহিনী পাঠিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সবকিছু উড়িয়ে দেবে।  
সে বলেছে, ‘যত পারব আত্মঘাতী বাহিনী পাঠাব।’ তার বক্তব্য, প্রথমে সে আক্রমণ করবে। তারপর ভারত আক্রমণ করবে তাকে। সে আরব দেশ থেকে শিক্ষা নিয়েছে—‘প্রথমে নিজে মরো, তারপর মারো।’ এই কৌশলে তালিবানরা দুই সুপারপাওয়ারকে পরাজিত করেছে। ওই মৌলবাদী নেতাকে বলতে শোনা যায়, তালিবানরা বাইকে চড়ে শরীরে বোমা বেঁধে সেনা ক্যাম্পের সামনে যেত। প্রথমে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। একটা গুলি খেয়ে কেউ মারা যায় না। তখন তারা বাইকসহ সেনাবাহিনীর দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা মারত। তখন বিস্ফোরণ ঘটত।  তিনশো আমেরিকান সেনার মৃত্যু হতো।
বাংলাদেশে হাসিনা সরকার পতনের পর কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠন। ফের একই বক্তব্য শোনা গেল সীমান্তের ওপারের এক মৌলবাদী নেতার মুখে। পাহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারত-পাকিস্তান অশান্তির আবহে এই ভিডিও থেকে নতুন করে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। যে ভিডিও ওই এক্স হ্যান্ডেলে এসেছে, তার উৎস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। যাতে সেই সূত্র ধরে, ভিডিও-টা যে বা যারা করেছে তাদের কাছে পৌঁছনো যায়। একইসঙ্গে ওই মৌলবাদী নেতার প্রতি সহানুভূতিশীল কোনও ব্যক্তি রাজ্য বা দেশে রয়েছে কি না জানার চেষ্টা চলছে তাও।