শনিবার, 14 জুন 2025
Logo
  • শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন অবিলম্বে শান্তি আলোচনায় বসবে, পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথার পর ঘোষণা ট্রাম্পের

দীর্ঘ তিন বছর পর অবশেষে কি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হতে চলেছে? সোমবার ফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের দু’ঘণ্টার আলোচনা আশার আলো দেখাচ্ছে। 

যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন অবিলম্বে শান্তি আলোচনায় বসবে, পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথার পর ঘোষণা ট্রাম্পের

ওয়াশিংটন ও মস্কো: দীর্ঘ তিন বছর পর অবশেষে কি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হতে চলেছে? সোমবার ফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের দু’ঘণ্টার আলোচনা আশার আলো দেখাচ্ছে। এদিনের বৈঠকের পর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে প্রস্তুত মস্কো। ইতিবাচক বার্তা মিলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দিক থেকেও। ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে অবিলম্বে শান্তি আলোচনায় বসবে।
পুতিনের সঙ্গে এদিনের আলোচনা ‘খুব ভালো’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে আলোচনার প্রক্রিয়া খুবই তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। যুদ্ধবিরতির শর্তগুলি কী হবে, তা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সরাসরি নির্ধারণ করবে রাশিয়া ও ইউক্রেন। পাশাপাশি ট্রাম্প আরও বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসা এইসব বিষয়গুলি তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সহ ইউরোপের দেশগুলির রাষ্ট্রনেতাদের ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন।  ঘটনাচক্রে, গত সপ্তাহেই ইস্তানবুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের আধিকারিকদের মধ্যে একদফা বৈঠক হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনা। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর ইস্তানবুলের সেই আলোচনার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন পুতিন। পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রতি পরোক্ষে বার্তা দিয়ে পুতিন বলেছেন, শান্তি ফেরানোর জন্য নমনীয়তা দেখানো উচিত। মস্কো যে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় সত্যিই আন্তরিক, তা বোঝাতে একটি ‘স্মারকলিপি’র প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। সেখানে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির শর্তগুলির উল্লেখ থাকবে। তার ভিত্তিতেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা এগনোর প্রস্তাব দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার প্রক্রিয়ায় সমর্থন জানানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন পুতিন।