অসম্ভবকেও সম্ভব, শেষবার
‘ট্রাস্ট মি... ওয়ান লাস্ট টাইম।’
ইথান হান্টকে কি সত্যিই ভরসা করা যায়? গুপ্তচর... অথচ সে কোনও প্রোটোকল মানে না। হেলায় নির্দেশ অমান্য করে। নিজের ইন্সটিংক্ট যা বলে, শোনে সেটাই। গোটা দুনিয়াকে, মানবকুলকে জুয়োর বোর্ডে তুলে দেয়। তারপরও কি তাকে ভরসা-বিশ্বাস করা যায়?

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
মে ২২, ২০২৫
মিশন: ইমপসিবল
দ্য ফাইনাল রেকনিং
টম ক্রুজ • হেইলি অ্যাটওয়েল
এসাই মোরেলস • অ্যাঞ্জিলা ব্যাসেট
• ‘ট্রাস্ট মি... ওয়ান লাস্ট টাইম।’
ইথান হান্টকে কি সত্যিই ভরসা করা যায়? গুপ্তচর... অথচ সে কোনও প্রোটোকল মানে না। হেলায় নির্দেশ অমান্য করে। নিজের ইন্সটিংক্ট যা বলে, শোনে সেটাই। গোটা দুনিয়াকে, মানবকুলকে জুয়োর বোর্ডে তুলে দেয়। তারপরও কি তাকে ভরসা-বিশ্বাস করা যায়? হ্যাঁ যায়। কারণ, তার ফ্র্যাঞ্চাইজির নামটাই যে ‘মিশন ইমপসিবল’। অসম্ভবকে সম্ভব করে পর্দার ইথান হান্ট। বাস্তবের টম ক্রুজ। আগামী জুলাইতে ৬৩ বছরে পা রাখবেন তিনি। এখনও নিজের স্টান্ট নিজে করেন। লাইট এয়ারক্রাফ্টের (ছোট বিমান, দু’জনের বসার মতো) ডানায় ঝোলেন এবং তরুণের মতো গতিতে ছোটেন। মিশন ইমপসিবল এবং টম ক্রুজ তাই সমার্থক। মিলেমিশে তৈরি হওয়া একটা ব্র্যান্ড। আর এই ব্র্যান্ডের এটাই শেষ। ফাইনাল রেকনিং।
এন্টিটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে ভবিষ্যতে কোন পর্যায়ে যেতে পারে, কীভাবে এই প্রযুক্তিই নিয়ন্ত্রণ করবে মানব সমাজকে, সেই আতঙ্কই ধরিয়েছে এন্টিটি। মিশন ইমপসিবল: ডেড রেকনিংয়েই বোঝা গিয়েছিল, কোন পথে এগচ্ছে চিত্রনাট্য। সংশয় নেই, পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাকোয়ার আতঙ্কটা ধরাতে পেরেছেন দর্শকের মনে। আইম্যাক্সে শ্যুটিং, অনবদ্য অ্যাকশন সিকোয়েন্স। পরতে পরতে খুলেছে রহস্যের জট। এন্টিটির হয়ে গোটা বিশ্বকে কব্জা করতে চাওয়া গ্যাব্রিয়েল, তার অতীত এবং চিত্রনাট্যে মোক্ষম ট্যুইস্ট আনা ‘র্যাবিটস ফুট’ ফিরিয়ে নিয়ে যাবে ফ্র্যাঞ্চাইজির আগের পর্বে। এমনকী ১৯৯৬ সালেও। রহস্য যে ওখানেই লুকিয়ে। আর এন্টিটির রহস্য? বিস্ফোরণে তলিয়ে যাওয়া রুশ সাবমেরিন সেভাস্তোপোলে। কীভাবে সেই গভীরতায় পৌঁছলেন ইথান হান্ট, টানটান উত্তেজনায় কীভাবে বাঁচালেন এই বিশ্বকে... সেই থ্রিল পর্দায় না দেখলে অধরাই থেকে যাবে। তবে হ্যাঁ, অনবদ্য ক্যামেরা এবং রোম খাড়া করে দেওয়া স্টান্ট ছাড়া এই ছবি অসম্পূর্ণই থেকে যেত। গ্যাব্রিয়েলের পিছু নিয়ে বাইপ্লেনে ঝুলে ইথানের উড়ান বুঝিয়েছে, ৬২ বছরের এই ভদ্রলোককে ছাড়া এমন একটাও মিশন হবে না। একদিকে টম ক্রুজ বিমানের ডানায় চেপেছেন, অন্যদিকে টেনশন বেড়েছে বিমা কোম্পানির।
হারানোটাই ভবিতব্য ইথান হান্টের। গত সাতটি পর্বের প্রত্যেকটিতেই ভালোবাসার কাউকে না কাউকে হারিয়েছে সে। মিশনের স্বার্থে। উপরওয়ালা শুধু বলেছে ‘সরি ফর ইওর লস’। কিন্তু সেই ব্যথা কেউ বুঝতে পারেনি। শুধু টম ক্রুজের অভিব্যক্তিতে ফুটে উঠেছে ইথানের যন্ত্রণা। বিদায় বেলাতেও অন্যথা হয়নি। দিনের শেষে তার জয় তাই হ্যাপি এন্ডিং হয়ে ওঠে না। কারণ, ইথানকে ছাড়া মিশন ইমপসিবল যেমন সম্পূর্ণ হয় না, তেমন তার টিম ছাড়া ইথানও যে পরিপূর্ণ নয়। বিদায় বেলায় আরও একটা বিষয় স্পষ্ট... লুথারকে ছাড়াও এইসব স্পাই মিশন ইমপসিবলই।
সিনেমা শেষ। মিশন শেষ। কানে কিন্তু এখনও বাজছে ওই থিম মিউজিক। ৩০ বছর পরও নবীন। ঠিক টম ক্রুজের মতো।
tags
related_post
রাশিফল
-
আজকের রাশিফল
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
অমৃত কথা
-
জগৎ
- post_by বর্তমান
- জুন 19, 2025
আজকের দিনে
-
ইতিহাসে আজকের দিন
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
এখনকার দর
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুন 19, 2025