উড়েছে ট্রান্সফর্মার, ২২ দিন পর বদল, ইস্ট-ওয়েস্টে বন্ধ পরিষেবা, মেট্রো কর্মীদের ‘গাফিলতি’তে গচ্চা ১ কোটি
পাতালপথে এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ মেট্রো ইতিমধ্যেই জুড়ে গিয়েছে। এই রুটের ওই অংশে যাত্রী পরিষেবা কবে শুরু হবে তা নিয়ে আমজনতার আগ্রহও তুঙ্গে।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
মে ১৯, ২০২৫
রাজু চক্রবর্তী, কলকাতা: পাতালপথে এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ মেট্রো ইতিমধ্যেই জুড়ে গিয়েছে। এই রুটের ওই অংশে যাত্রী পরিষেবা কবে শুরু হবে তা নিয়ে আমজনতার আগ্রহও তুঙ্গে। তারই মাঝে রবিবার হঠাৎ বন্ধ এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দান গ্রিন লাইন। কেন?
অভিযোগ, মেট্রো রেলের কর্মীদের একাংশের চূড়ান্ত ‘গাফিলতি’ ও ‘অপেশাদারিত্ব’ এর জন্য দায়ি। মেট্রো ভবনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ২৭ এপ্রিল এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ করিডরে ‘কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’ (সিআরএস) চূড়ান্ত পরিদর্শন করেছিলেন। তার দু’দিন আগে আচমকাই কলকাতা মেট্রোর কর্মী-অফিসাররা প্রস্তুতির কাজ দেখতে আসেন। ২৫ এপ্রিল এসপ্ল্যানেড স্টেশনে মহাকরণের দিকে তিন হাজার কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের একটি ট্রান্সফর্মার নেড়েচেড়ে দেখেছিলেন মেট্রোর কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার। ট্রান্সফর্মারটির ওজন ১০ টন। দানব আকৃতির ওই মেশিন তিন মিটার লম্বা ও দু’মিটার চওড়া। দাম এক কোটি টাকারও বেশি। সেই মেশিনটি কয়েকজন ‘অপেশাদার’ ‘অন’-‘অফ’ করতে গিয়ে বিকল করে দেন। কোটি টাকার ট্রান্সফর্মারটি নষ্ট করে দেন মেট্রো কর্মীদের ওই কর্মীরা। তার ২২ দিন পর নতুন ট্রান্সফর্মার বসানোর কাজ হয়। সে জন্যই ররিবার গোটা দিন যাত্রী পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
যাত্রীদের বক্তব্য, এর মূল্য চোকাতে হবে সাধারণ মানুষকে। কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সে ক্ষতিপূরণ করতে জনতার করের টাকা খরচ করে নতুন মেশিন বসাতে হয়েছে। সবমিলিয়ে মেট্রো কর্মীদের ‘গাফিলতি’র দায় নিতে হল জনগণকে। রবিবার বহু মানুষ মেট্রোয় যাতায়াত করেন। তাঁরা এদিন গঙ্গাবক্ষের মেট্রো যাত্রার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন। এর পাশাপাশি মেট্রোর ওই শীর্ষকর্তার বক্তব্য, ইস্ট-ওয়েস্ট রুট পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত দায়িত্ব নিতে চাইছে না মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। গত আড়াই বছর ধরে কেএমআরসিএল’য়ের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কাজ চালাচ্ছেন কিছু কর্তা। যার জেরে এই ট্রান্সফর্মারটির মতো কোটি কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্র ও প্রযুক্তি নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন স্টেশনে। ২৮ এপ্রিল এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ রুটে যাত্রী পরিষেবার জন্য প্রয়োজনীয় সিআরএস পেয়ে গেলেও অজানা কারণে তা চালু করা হচ্ছে না। যার জেরে প্রতিদিন প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে ইস্ট-ওয়েস্ট অংশের এসপ্ল্যানেড স্টেশন গড়া হয়েছে। সেখানে পর্যন্ত উপযুক্ত নজরদারির অভাবে বহু মেশিন নষ্ট হচ্ছে। একই হাল বিভিন্ন স্টেশনের।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ১১টা থেকে বিকল ট্রান্সফর্মারটি সরিয়ে নতুন মেশিন বসানোর কাজ শুরু হয়। সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত সেই কাজ চলে। তারপর গোটা সিস্টেম খতিয়ে দেখা হয়। এ বিষয়টি জানতে কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রাকেশ কুমারকে ফোন করা হয়েছিল। লিখিত বার্তাও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
related_post
রাশিফল
-
আজকের রাশিফল
- post_by Admin
- জুন 24, 2025
অমৃত কথা
-
আদর্শ
- post_by বর্তমান
- জুন 24, 2025
আজকের দিনে
-
ইতিহাসে আজকের দিন
- post_by Admin
- জুন 24, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুন 24, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুন 24, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুন 24, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুন 24, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুন 24, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুন 24, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুন 24, 2025