কী কী রোগ ছড়ায় হাতের মাধ্যমে? প্রতিরোধের উপায় কী?
মানুষের জীবনে দু’টি হাত বিশেষভাবে কার্যকর অঙ্গ। আমাদের দেশের মানুষ হাত দিয়ে ভাত ও খাবার খায়, নমস্কার ও প্রণাম করে, আশীর্বাদ করে, শিশুকে আদর করে, অন্য কাউকে প্রহারও করে এবং শৌচকার্যও সমাধা করে। অপরদিকে, এই হাতই আবার বাহন হয়ে একজনের রোগ আর একজনের কাছে পৌঁছে দেয়।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
এপ্রিল ২২, ২০২৫
Share:
শরীরের অন্দরে জীবাণুর অনুপ্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ‘হাত’ আমাদের হস্তযুগলের! লিখেছেন বিভাষচন্দ্র মজুমদার।
মানুষের জীবনে দু’টি হাত বিশেষভাবে কার্যকর অঙ্গ। আমাদের দেশের মানুষ হাত দিয়ে ভাত ও খাবার খায়, নমস্কার ও প্রণাম করে, আশীর্বাদ করে, শিশুকে আদর করে, অন্য কাউকে প্রহারও করে এবং শৌচকার্যও সমাধা করে। অপরদিকে, এই হাতই আবার বাহন হয়ে একজনের রোগ আর একজনের কাছে পৌঁছে দেয়। যাঁরা হাসপাতালে কাজ করেন ও সচরাচর গ্লাভস পরেন না, তাঁদের থেকেও মাঝেমধ্যে বিপদ ছড়ায়। রোগীর বুক, পেটে হাত দিয়ে পরীক্ষা করার পর অনেকক্ষেত্রেই তাঁরা অন্যজনের শরীরে হাত দেন।
সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া
এক শ্রেণির মানুষ বলেন, হাতের সংস্পর্শে রোগ সংক্রমণ এড়াবার জন্য হাতটা তো ধুয়ে নিলেই হল। এটা ঠিকই, জলে হাত ধুয়ে নেওয়ার ফলে হাতের তালুর কিছু জীবাণু চলে যায়। কিন্তু বেশ কিছু জীবাণু লুকিয়ে থাকে নখের ফাঁকে ও আঙুলের খাঁজে। সুতরাং সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে সম্পূর্ণভাবে, যাতে সমস্ত হাত, আঙুল ও নখ সাবানের ফেনায় ধুয়ে যায়।
সাধারণ সাবান তৈরি করা হয় বনস্পতি তেল অথবা চর্বি ও তার সঙ্গে ক্ষার মিশিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ার সাহায্যে। মনে রাখতে হবে, যে সাবান জল দিয়ে ঘষলেও বেশি ফেনা হয় না, সেই সাবান জীবাণু ধ্বংসে বেশি কার্যকর নয়। উপকরণ হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করে সাবান তৈরি করা হলে, সেই সাবানের ফেনা বেশি হয়। সাবানের কার্যকারিতা বিশেষভাবে নির্ভর করে কতক্ষণ হাতে ফেনা ঘষা হচ্ছে, তার ওপর। ঠিকভাবে হাত ধোওয়ার জন্য প্রায় এক মিনিট পর্যন্ত ফেনা বেশ করে দুই হাতে ঘষা উচিত। বলা বাহুল্য, প্রতিটি আঙুল ও নখ আলাদাভাবে সাবানের ফেনা দিয়ে ঘষতে হবে।
কিছু সাবান বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, যেগুলিকে ওষুধযুক্ত সাবান বলা হয়। এইসব সাবান তৈরি করা হয় বিশেষ কিছু রাসায়নিক পদার্থ (ট্রাইক্লোসান, ট্রাইক্লোরো কার্বামাইড, হিবিক্লেন্স, ক্লোরো জাইলেনল, মনোসালফিরাম ইত্যাদি) মিশিয়ে। অনেক সময় নিম তেল, গন্ধক, কর্পূর ইত্যাদিও মেশানো হয়। এইসব সাবান সাধারণ সাবানের চেয়ে বেশি জীবাণুনাশক। তাছাড়া সাবানে যে সব সুগন্ধি দ্রব্য মেশানো হয়, সেইসব পদার্থেরও কিছু জীবাণুনাশক ক্ষমতা থাকে।
একটি কথা মনে রাখতে হবে। সাবানের ফেনা যদিও হাতের অথবা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ত্বকের বেশ কিছু জীবাণু ধ্বংস করে, তবে পুরোপুরিভাবে জীবাণুমুক্ত করে না। সাবানের জীবাণুনাশক ক্ষমতা যাই থাকুক, এর একটি অপকারক দিক হল, সাবানের ফেনা ত্বকের ওপর যে তেল জাতীয় পদার্থ থাকে, তা ধুয়ে ফেলে। এর ফলে ত্বকের রুক্ষভাব দেখা দেয় ও বিশেষত ত্বকের জীবাণু সহজে প্রবেশ করে। এজন্য সাবানের ফেনা ধুয়ে ফেলার পর সেই অঙ্গে সামান্য তেল মাখিয়ে নেওয়া ভালো। গ্রামাঞ্চলের কিছু মানুষ শৌচকার্যের পর মাটিতে হাত ঘষে নিয়ে ধুয়ে ফেলেন। এটি সমর্থনযোগ্য নয় এবং মাটিতেও অনেক জীবাণু থাকে।
গাছপালার ব্যবহার
সাবানের দামের জন্য অনেক দুঃস্থ মানুষ হাত পরিষ্কার করতে কিছু কিছু উদ্ভিদের বিশেষ অংশ হাতে ঘষে নেয়। এইসব উদ্ভিদের কিছু জীবাণুনাশক ক্ষমতা আছে ঠিকই, কিন্তু এগুলি আঙুলে, আঙুলের খাঁজে ও নখে বেশ কিছুক্ষণ না ঘষলে কাজ হয় না। এমন কয়েকটি উদ্ভিদ হল, তাজা নিম পাতা, তুলসী পাতা, ইউক্যালিপটাস পাতা, পেয়ারা, বোয়ান পাতা, ঘৃতকুমারীর রস, মুথা ঘামের মাটির নিচের সুগন্ধযুক্ত কাণ্ড বাটা, হলুদ, আদা ও পেঁয়াজ বাটা, লেবুর খোসা বাটা ইত্যাদি।
হাতে ঘষে নেওয়ার ওষুধ
হাতে ঘষে নিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করার ওষুধ বা স্যানিটাইজারের প্রচলন এখন খুব বেশি। এইসব ওষুধ খুব সহজে স্প্রে করে ব্যবহার করা যায় ও ওষুধের শিশি পকেটে নিয়েও ঘুরে বেড়ানো যায়। ওষুধগুলি যদিও কার্যকর কিন্ত মনে রাখতে হবে, হাতের তালুতে শুধুমাত্র কয়েক ফোঁটা ওষুধ স্প্রে করলেই কাজ হয় না। হাতের তালুতে ও ওপরে, আঙুলে ও নখে ওষুধ পৌঁছানো দরকার। বিভিন্নরকম রাসায়নিক পদার্থ (ইথানল, আইসোপ্রোপ্যানল, হাইড্রোজেন পারক্সাইড, গ্লিসারল ইত্যাদি) ব্যবহার করে এইসব ওষুধ তৈরি করা হয়। যদিও জীবাণুনাশের জন্য এগুলির বেশিরভাগ অত্যন্ত কার্যকর, কিন্তু এককোষী প্রাণী (প্রোটোজোয়া) ও অনেক ভাইরাস সংক্রান্ত রোগের (পোলিও ভাইরাস, রোটা ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস) জীবাণু ধ্বংস করতে এরা তত কার্যকর নয়।
কোন কোন রোগ হাতে হাতে ছড়ায় আমরা জানি, খোসপাঁচড়া ও চর্মরোগই হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এগুলি ছাড়া অন্যান্য আরও রোগ হাতে হাতে ছড়ায়। এগুলির মধ্যে কয়েকটি হল, সর্দিকাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা করোনা ভাইরাস, পেটের রোগ (সালমোনেলোসিস), নখের রোগ বিভিন্ন ধরনের শ্বাসরোগ ইত্যাদি। করমর্দনের পর চোখ, নাকে ও মুখে হাত দিলে অথবা চুলকালে খুব সহজে রোগ ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে অপরিষ্কার হাতে অনেকরকম জীবাণু স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, স্টাফাইলোকক্কাস এপিডার্মিডিস, ক্লোস্ট্রিডিয়াম ডিফিসিল ইত্যাদি) আশ্রয় নেয় এবং দীর্ঘকাল ধরে এইসব জীবাণু হাতে থেকে যায়।
সুতরাং কয়েকটি বিষয়ে আমাদের ভেবে দেখা দরকার। অভিবাদনের জন্য আমাদের দুই হাত জোড় করে ‘নমস্কার’ করা স্বাস্থ্যসম্মত, না বিদেশি প্রথায় ‘হ্যান্ডশেক’ করা? আরও একটি বিষয়ে উল্লেখ করতে হয়। সারা পৃথিবীতে সম্ভবত একমাত্র বাঙালি হিন্দুরাই বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ বা স্ত্রী ও অন্যান্য গুরুজনদের পায়ের ধুলো (জুতোর ধুলোও হতে পারে!) মাথায় নিয়ে প্রণাম করেন। এই প্রথা কি স্বাস্থ্যসম্মত, নাকি উত্তর ভারতের ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের প্রথা— বয়োজ্যেষ্ঠ ও গুরুজনদের শ্রদ্ধা জানাতে দুই হাত জোড় করে ‘প্রণাম’ উচ্চারণ করা? গুরুজনদের অনেক সময় হাঁটু স্পর্শ করে তাঁরা শ্রদ্ধা জানান, কিন্তু কখনই পায়ের পাতা স্পর্শ করে নয় এবং পায়ের ধুলো মাথায় তাঁরা নেন না। প্রত্যেকের নিজস্ব ধর্মীয় আচারকে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি, অস্বাস্থ্যসম্মত প্রথায় অভিবাধন বা শ্রদ্ধাজ্ঞাপন না হওয়াই ভালো।
মানুষের জীবনে দু’টি হাত বিশেষভাবে কার্যকর অঙ্গ। আমাদের দেশের মানুষ হাত দিয়ে ভাত ও খাবার খায়, নমস্কার ও প্রণাম করে, আশীর্বাদ করে, শিশুকে আদর করে, অন্য কাউকে প্রহারও করে এবং শৌচকার্যও সমাধা করে। অপরদিকে, এই হাতই আবার বাহন হয়ে একজনের রোগ আর একজনের কাছে পৌঁছে দেয়। যাঁরা হাসপাতালে কাজ করেন ও সচরাচর গ্লাভস পরেন না, তাঁদের থেকেও মাঝেমধ্যে বিপদ ছড়ায়। রোগীর বুক, পেটে হাত দিয়ে পরীক্ষা করার পর অনেকক্ষেত্রেই তাঁরা অন্যজনের শরীরে হাত দেন।
সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া
এক শ্রেণির মানুষ বলেন, হাতের সংস্পর্শে রোগ সংক্রমণ এড়াবার জন্য হাতটা তো ধুয়ে নিলেই হল। এটা ঠিকই, জলে হাত ধুয়ে নেওয়ার ফলে হাতের তালুর কিছু জীবাণু চলে যায়। কিন্তু বেশ কিছু জীবাণু লুকিয়ে থাকে নখের ফাঁকে ও আঙুলের খাঁজে। সুতরাং সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে সম্পূর্ণভাবে, যাতে সমস্ত হাত, আঙুল ও নখ সাবানের ফেনায় ধুয়ে যায়।
সাধারণ সাবান তৈরি করা হয় বনস্পতি তেল অথবা চর্বি ও তার সঙ্গে ক্ষার মিশিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ার সাহায্যে। মনে রাখতে হবে, যে সাবান জল দিয়ে ঘষলেও বেশি ফেনা হয় না, সেই সাবান জীবাণু ধ্বংসে বেশি কার্যকর নয়। উপকরণ হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করে সাবান তৈরি করা হলে, সেই সাবানের ফেনা বেশি হয়। সাবানের কার্যকারিতা বিশেষভাবে নির্ভর করে কতক্ষণ হাতে ফেনা ঘষা হচ্ছে, তার ওপর। ঠিকভাবে হাত ধোওয়ার জন্য প্রায় এক মিনিট পর্যন্ত ফেনা বেশ করে দুই হাতে ঘষা উচিত। বলা বাহুল্য, প্রতিটি আঙুল ও নখ আলাদাভাবে সাবানের ফেনা দিয়ে ঘষতে হবে।
কিছু সাবান বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, যেগুলিকে ওষুধযুক্ত সাবান বলা হয়। এইসব সাবান তৈরি করা হয় বিশেষ কিছু রাসায়নিক পদার্থ (ট্রাইক্লোসান, ট্রাইক্লোরো কার্বামাইড, হিবিক্লেন্স, ক্লোরো জাইলেনল, মনোসালফিরাম ইত্যাদি) মিশিয়ে। অনেক সময় নিম তেল, গন্ধক, কর্পূর ইত্যাদিও মেশানো হয়। এইসব সাবান সাধারণ সাবানের চেয়ে বেশি জীবাণুনাশক। তাছাড়া সাবানে যে সব সুগন্ধি দ্রব্য মেশানো হয়, সেইসব পদার্থেরও কিছু জীবাণুনাশক ক্ষমতা থাকে।
একটি কথা মনে রাখতে হবে। সাবানের ফেনা যদিও হাতের অথবা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ত্বকের বেশ কিছু জীবাণু ধ্বংস করে, তবে পুরোপুরিভাবে জীবাণুমুক্ত করে না। সাবানের জীবাণুনাশক ক্ষমতা যাই থাকুক, এর একটি অপকারক দিক হল, সাবানের ফেনা ত্বকের ওপর যে তেল জাতীয় পদার্থ থাকে, তা ধুয়ে ফেলে। এর ফলে ত্বকের রুক্ষভাব দেখা দেয় ও বিশেষত ত্বকের জীবাণু সহজে প্রবেশ করে। এজন্য সাবানের ফেনা ধুয়ে ফেলার পর সেই অঙ্গে সামান্য তেল মাখিয়ে নেওয়া ভালো। গ্রামাঞ্চলের কিছু মানুষ শৌচকার্যের পর মাটিতে হাত ঘষে নিয়ে ধুয়ে ফেলেন। এটি সমর্থনযোগ্য নয় এবং মাটিতেও অনেক জীবাণু থাকে।
গাছপালার ব্যবহার
সাবানের দামের জন্য অনেক দুঃস্থ মানুষ হাত পরিষ্কার করতে কিছু কিছু উদ্ভিদের বিশেষ অংশ হাতে ঘষে নেয়। এইসব উদ্ভিদের কিছু জীবাণুনাশক ক্ষমতা আছে ঠিকই, কিন্তু এগুলি আঙুলে, আঙুলের খাঁজে ও নখে বেশ কিছুক্ষণ না ঘষলে কাজ হয় না। এমন কয়েকটি উদ্ভিদ হল, তাজা নিম পাতা, তুলসী পাতা, ইউক্যালিপটাস পাতা, পেয়ারা, বোয়ান পাতা, ঘৃতকুমারীর রস, মুথা ঘামের মাটির নিচের সুগন্ধযুক্ত কাণ্ড বাটা, হলুদ, আদা ও পেঁয়াজ বাটা, লেবুর খোসা বাটা ইত্যাদি।
হাতে ঘষে নেওয়ার ওষুধ
হাতে ঘষে নিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করার ওষুধ বা স্যানিটাইজারের প্রচলন এখন খুব বেশি। এইসব ওষুধ খুব সহজে স্প্রে করে ব্যবহার করা যায় ও ওষুধের শিশি পকেটে নিয়েও ঘুরে বেড়ানো যায়। ওষুধগুলি যদিও কার্যকর কিন্ত মনে রাখতে হবে, হাতের তালুতে শুধুমাত্র কয়েক ফোঁটা ওষুধ স্প্রে করলেই কাজ হয় না। হাতের তালুতে ও ওপরে, আঙুলে ও নখে ওষুধ পৌঁছানো দরকার। বিভিন্নরকম রাসায়নিক পদার্থ (ইথানল, আইসোপ্রোপ্যানল, হাইড্রোজেন পারক্সাইড, গ্লিসারল ইত্যাদি) ব্যবহার করে এইসব ওষুধ তৈরি করা হয়। যদিও জীবাণুনাশের জন্য এগুলির বেশিরভাগ অত্যন্ত কার্যকর, কিন্তু এককোষী প্রাণী (প্রোটোজোয়া) ও অনেক ভাইরাস সংক্রান্ত রোগের (পোলিও ভাইরাস, রোটা ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস) জীবাণু ধ্বংস করতে এরা তত কার্যকর নয়।
কোন কোন রোগ হাতে হাতে ছড়ায় আমরা জানি, খোসপাঁচড়া ও চর্মরোগই হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এগুলি ছাড়া অন্যান্য আরও রোগ হাতে হাতে ছড়ায়। এগুলির মধ্যে কয়েকটি হল, সর্দিকাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা করোনা ভাইরাস, পেটের রোগ (সালমোনেলোসিস), নখের রোগ বিভিন্ন ধরনের শ্বাসরোগ ইত্যাদি। করমর্দনের পর চোখ, নাকে ও মুখে হাত দিলে অথবা চুলকালে খুব সহজে রোগ ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে অপরিষ্কার হাতে অনেকরকম জীবাণু স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, স্টাফাইলোকক্কাস এপিডার্মিডিস, ক্লোস্ট্রিডিয়াম ডিফিসিল ইত্যাদি) আশ্রয় নেয় এবং দীর্ঘকাল ধরে এইসব জীবাণু হাতে থেকে যায়।
সুতরাং কয়েকটি বিষয়ে আমাদের ভেবে দেখা দরকার। অভিবাদনের জন্য আমাদের দুই হাত জোড় করে ‘নমস্কার’ করা স্বাস্থ্যসম্মত, না বিদেশি প্রথায় ‘হ্যান্ডশেক’ করা? আরও একটি বিষয়ে উল্লেখ করতে হয়। সারা পৃথিবীতে সম্ভবত একমাত্র বাঙালি হিন্দুরাই বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ বা স্ত্রী ও অন্যান্য গুরুজনদের পায়ের ধুলো (জুতোর ধুলোও হতে পারে!) মাথায় নিয়ে প্রণাম করেন। এই প্রথা কি স্বাস্থ্যসম্মত, নাকি উত্তর ভারতের ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের প্রথা— বয়োজ্যেষ্ঠ ও গুরুজনদের শ্রদ্ধা জানাতে দুই হাত জোড় করে ‘প্রণাম’ উচ্চারণ করা? গুরুজনদের অনেক সময় হাঁটু স্পর্শ করে তাঁরা শ্রদ্ধা জানান, কিন্তু কখনই পায়ের পাতা স্পর্শ করে নয় এবং পায়ের ধুলো মাথায় তাঁরা নেন না। প্রত্যেকের নিজস্ব ধর্মীয় আচারকে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি, অস্বাস্থ্যসম্মত প্রথায় অভিবাধন বা শ্রদ্ধাজ্ঞাপন না হওয়াই ভালো।
related_post
রাশিফল
-
আজকের রাশিফল
- post_by Admin
- জুন 25, 2025
অমৃত কথা
-
সেবা
- post_by বর্তমান
- জুন 25, 2025
এখনকার দর
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুন 24, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুন 24, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুন 25, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুন 25, 2025
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুন 25, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুন 25, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুন 25, 2025