সোমবার, 28 এপ্রিল 2025
Logo
  • সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

মোবাইল রপ্তানিতে চীনের চেয়ে ভালো পরিস্থিতি ভারতের দাবি, খেলনা ব্যবসাতেও আশার আলো

 শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে আমেরিকা। স্মার্টফোন, ল্যাপটপসহ ২০টি বৈদ্যুতিন পণ্যকে পাল্টা আমদানি শুল্কের তালিকা থেকে বাদ রেখেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। 

মোবাইল রপ্তানিতে চীনের চেয়ে  ভালো পরিস্থিতি ভারতের দাবি, খেলনা ব্যবসাতেও আশার আলো

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে আমেরিকা। স্মার্টফোন, ল্যাপটপসহ ২০টি বৈদ্যুতিন পণ্যকে পাল্টা আমদানি শুল্কের তালিকা থেকে বাদ রেখেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে চীন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেসব পণ্য আমেরিকায় রপ্তানি করার ক্ষেত্রে তুলনামূলক ভালো অবস্থানেই থাকবে ভারত, মনে করছে ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের বক্তব্য, আমেরিকা পাল্টা আমদানি শুল্কে ছাড় দিয়েছে মাত্র। কিন্তু চীনের উপর থেকে ২০ শতাংশ আমদানি শুল্কের বোঝা তারা নামায়নি। এদিকে আইফোন, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা ট্যাবলেটের মতো পণ্যগুলির আমদানিতে ভারতের উপর কোনও শুল্ক চাপায়নি আমেরিকা। সেই কারণে দামের নিরিখে চীনের তুলনায় ভারত এখনও তুলনামূলক সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে আছে। ভারতের মতোই সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে আছে ভিয়েতনামও, দাবি করেছে সংগঠনটি। তাদের হিসেব, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তুলনায়, গত অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালে মোবাইলে ৫৫ শতাংশ রপ্তানি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে ভারত। গত অর্থবর্ষে মোট দু’লক্ষ কোটি টাকার মোবাইল ফোন রপ্তানি হয়েছে এদেশ থেকে। অন্যদিকে খেলনা ব্যবসাতেও আশার আলো দেখছে শিল্প মহল। একটা সময় ছিল, যখন খেলনা ব্যবসার জন্য চীনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো ভারতকে। সেই খরা এখন অনেকটাই কেটেছে, দাবি করছে খেলনা শিল্পমহল। আমেরিকা ও চীনের শুল্ক যুদ্ধে দেশীয় খেলনা শিল্পের পালে আরও হাওয়া লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে। হিসেব বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে চীন থেকে ভারতে খেলনা রপ্তানি হয়েছিল ২৩.৬ কোটি মার্কিন ডলারের। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা নেমেছে ৪.১ কোটি মার্কিন ডলারে। টয় অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট অক্ষয় বিন্জরাজকা বলেন, দেশীয় খেলনার গুণমান অনেক ভালো হওয়ায় চীনের প্রতি নিভর্রতা কমার পাশাপাশি রপ্তানিও বাড়ছে। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে যেখানে ভারত চার কোটি মার্কিন ডলারের খেলনা রপ্তানি করতে পেরেছিল, তা ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১৫.২ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। আমেরিকার খেলনা ব্যবসার ৭৭ শতাংশই চীনের উপর নির্ভরশীল। সেখানে আমেরিকা যদি তাদের উপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক চাপায়, তা ভারতীয় খেলনা শিল্পের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বড় সুবিধার জায়গা করে দেবে বলে মনে করছেন তিনি।