শনিবার, 19 জুলাই 2025
Logo
  • শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

নথি ছাড়া নগদ ৮ লক্ষ কীভাবে এল? শুল্কদপ্তরের জবাব তলব ভিজিলেন্সের

স্ট্র্যান্ড রোডে শুল্কদপ্তরের অফিসের প্রিভেনটিভ অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্সের ইউনিটে (৪) নগদ আট লক্ষ টাকা কীভাবে এল? এর ব্যাখ্যা চাইল কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স দপ্তর।

নথি ছাড়া নগদ ৮ লক্ষ কীভাবে এল? শুল্কদপ্তরের জবাব তলব ভিজিলেন্সের

শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা: স্ট্র্যান্ড রোডে শুল্কদপ্তরের অফিসের প্রিভেনটিভ অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্সের ইউনিটে (৪) নগদ আট লক্ষ টাকা কীভাবে এল? এর ব্যাখ্যা চাইল কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স দপ্তর। ভিজিলেন্সের সারপ্রাইজ ইনসপেকশনের সময়ই বিষয়টি সামনে আসে। টাকাগুলি বাজেয়াপ্ত দেখানো হয়নি বলেই মনে করছে ভিজিলেন্স। অভিযোগ, তারা তল্লাশির সময় টাকা উদ্ধারের সপক্ষে কোনও সিজার লিস্ট পায়নি। এমনকী তল্লাশি অভিযানে যাওয়ার, অর্থাৎ তাদের মুভমেন্টেরও কোনও খবর রেজিস্টারে লিপিবন্ধ করা হয়নি। তবে শুল্কদপ্তরের তরফে দাবি করা হয়েছে, এর ব্যাখ্যা তারা দিচ্ছে। আর সবটা করা হয়েছে নিয়ম মেনেই।
ভিজিলেন্স দপ্তরের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে যে, শুল্কদপ্তরের অফিসারদের একাংশ ‘অনৈতিক’ কাজে জড়িত হয়ে প঩ড়েছেন। বড়বাজার ও পোস্তা এলাকার ব্যবসায়ীদের আনা একাধিক অভিযোগে বলা হয় যে, এখানে নিয়ম করে আসছেন শুল্ক অফিসাররা। তল্লাশির নাম করে বিভিন্ন অফিসেও ঢুকছেন তাঁরা। নগদ হাওলা কিংবা বেআইনি লেনদেনের যুক্তি দেখিয়ে তাঁরা সেখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। সিজার লিস্ট পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। এরপর নোটিস ছাড়াই, ফোনে ব্যবসায়ীদের ডাকা হচ্ছে শুল্কদপ্তরের অফিসে। সেখানে যাওয়ার পরই বলা হচ্ছে, টাকার একটা অংশ ফেরত হবে কিন্তু বাকিটা দেওয়া হবে না। 
পরপর এই ধরনের অভিযোগ আসায় ভিজিলেন্সের তরফে আচমকা ১১ জুন তল্লাশি চালানো হয়। প্রিভেনটিভ অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্সের সমস্ত ইউনিটের ঘরেই ভিজিলেন্সের অফিসাররা গিয়ে সমস্ত কিছু খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। ইউনিট-৪-এ তল্লাশি চালানোর সময় আলমারি থেকে আট লক্ষ টাকা নগদ এবং কিছু সোনার অলঙ্কার পাওয়া যায়। ওই টাকা ৬ জুন স্ট্র্যান্ড রোড এলাকা থেকে মিলেছিল। 
ভিজিলেন্স সূত্রের খবর, সোনার অলঙ্কার বাজেয়াপ্ত করার নথি থাকলেও নগদ আট লক্ষ টাকার কোনও সিজার লিস্ট মেলেনি। যে ব্যক্তির কাছ থেকে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়, তাঁর আইডি কার্ড, বয়ান প্রভৃতি কিছুই মেলেনি। মুভেমেন্ট রেজিস্টারে তল্লাশির বিষয়ে কোনও উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তাই ওই ‘হিসাববহির্ভূত’ টাকার ব্যাখ্যা চাওয়া হয় শুল্কদপ্তরের কাছে। 
অন্যদিকে, তাদের তরফে ব্যাখ্যা প্রদানের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছে শুল্কদপ্তর। এই তল্লাশির বিষয়টি মেনে নিয়ে শুল্কদপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ৬ জুন তল্লাশিতে টাকা উদ্ধারের পর সিজার লিস্টসহ সমস্ত কিছু তৈরি হয়। মুভমেন্ট একদম ভোরবেলা হওয়ায় তা রেজিস্টারে লেখা যায়নি। এদিকে আবার ভিজিলেন্স তল্লাশি চালানোর দিন ছুটিতে ছিলেন তদন্তকারী অফিসার। নথি তাঁর কাছে থাকায় সেদিন দেখানো যায়নি। এই গোটা বিষয়টিই তাঁরা ভিজিলেন্সকে পাঠাচ্ছেন।

রাশিফল