রবিবার, 20 জুলাই 2025
Logo
  • রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর নির্ভরশীল আইএসএলের ভাগ্য, ফেডারেশনের উপর চাপ ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে এফএসডিএল

আইসিইউ’তে ভারতীয় ফুটবল। পাঞ্জা কষছে চরম অনিশ্চয়তার সঙ্গে। দ্রুত জট কাটার কোনও ইঙ্গিত নেই। গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন ক্লাব ও ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বৈঠক করেছে এফএসডিএল। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই খসড়া চুক্তি পাঠানো হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর নির্ভরশীল আইএসএলের ভাগ্য, ফেডারেশনের উপর চাপ ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে এফএসডিএল

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আইসিইউ’তে ভারতীয় ফুটবল। পাঞ্জা কষছে চরম অনিশ্চয়তার সঙ্গে। দ্রুত জট কাটার কোনও ইঙ্গিত নেই। গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন ক্লাব ও ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বৈঠক করেছে এফএসডিএল। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই খসড়া চুক্তি পাঠানো হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে। ঠিক কী রয়েছে তাতে? শেয়ার বিন্যাস নিয়ে আগেই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ৬০ শতাংশ শেয়ার থাকার কথা ক্লাব বা ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতে। ২৬ শতাংশের মালিক এফএসডিএল। বাকি মাত্র ১৪ শতাংশ থাকবে ফেডারেশনের কাছে। অর্থাৎ, এফএসডিএলের প্রস্তাব মেনে ১২ ক্লাবের লিগ হলে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে ৫ শতাংশ শেয়ার থাকবে। সূত্রের খবর, ফুটবল বিক্রি করে কীভাবে লাভের মুখ দেখা সম্ভব তারই প্রাথমিক রূপরেখা ইতিমধ্যেই তৈরি। বাকিটা ক্রমশ প্রকাশ্য। কিন্তু নতুন চুক্তি কার্যকর করতে সময় প্রয়োজন। ফেডারেশনের সবুজ সংকেত ছাড়া তা সম্ভব নয়। সবচেয়ে বড় কথা, ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি ক্ষমতাহীন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর অনেককিছু নির্ভরশীল। নির্বাচন হলে নতুন কমিটি আসা সময়সাপেক্ষ। তারপর আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র পেতে আরও সময় গড়িয়ে যাবে। এদিকে, ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৪ সেপ্টেম্বর আইএসএল শুরু হওয়ার কথা। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা কোনওমতেই সম্ভব নয়। অর্থাৎ টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। ক্লাবগুলোর অবস্থা সঙ্গীন। থমকে দলবদল। প্রি-সিজন অনুশীলনের পরিকল্পনাও দোলাচলে। 
ইতিহাস বলে, রোম পোড়ার সময় সম্রাট নিরো বেহালা বাজাচ্ছিলেন। ফুটবলের দুঃসময়ে বড় ভূমিকা নিতেই পারতেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। কিন্তু তাঁর ভূমিকা নিরোর মতো। এই মুহূর্তে ক্লাব বিশ্বকাপ দেখতে তিনি মার্কিন মুলুকে। ওদিকে, প্রাক্তনীদের অধিকাংশই ফেডারেশন সভাপতির বিরুদ্ধে। তাঁদের বক্তব্য, কল্যাণ সরলেই ভারতীয় ফুটবলের প্রকৃত কল্যাণ। কিন্তু তিনি হাল ছাড়ার পাত্র নন। রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে সেটিংয়ের চেষ্টা চলছেই। এফএসডিএলের সঙ্গে ফেডারেশনের চুক্তি শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। এ সবারই জানা। তা সত্ত্বেও সমাধানের রাস্তা খোঁজা হল না কেন? এফএসডিএলের সঙ্গে বৈঠক নিষ্ফলা। আসলে ফেডারেশনের পাল্টা প্রস্তাবই নেই। আদালতে প্রতিটি হাজিরায় প্রচুর টাকা ফি নিয়েছেন ফেডারেশনের আইনজীবী। লাভের লাভ শূন্য। চুক্তি বাড়ানোর কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি।
কয়েকদিন আগে কলকাতায় এসে সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বাইচুং ভুটিয়া। পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা। সবমিলিয়ে জটিলতা চরমে। শেষপর্যন্ত বল গড়াবে তো? লিগ না হলে ভারতীয় ফুটবল আরও গাড্ডায় পড়বে। তাই অভিজ্ঞদের ধারণা, লিগ হবেই। ঘুটি সাজিয়েই মাঠে নেমেছে আইএসএলের আয়োজকরা। পুরোটাই বিজনেস স্ট্র্যাটেজি। চাপ বাড়ানো হচ্ছে পুরোদমে। কাছের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদেরও কাজে লাগনো হচ্ছে। মোদ্দা কথা, শক্ত হাতে রাশ টানার লোকের অভাব। যোগ্য ব্যক্তি ছাড়া পরিত্রাণ অসম্ভব। অতীতে শুধুমাত্র ফুটবল ভালোবেসে অ্যাকাডেমি চালিয়ে গিয়েছেন এক বিখ্যাত ব্যবসায়ী। ভারতীয় ফুটবলের মূল সাপ্লাই লাইন ছিল সেই অ্যাকাডমি। সেই প্যাশন এখন দুর্লভ। বাণিজ্যিক স্বার্থের কাছে হার মেনেছে আন্তরিকতা।

রাশিফল