বুধবার, 21 মে 2025
Logo
  • বুধবার, ২১ মে ২০২৫

শরীরে প্রাকৃতিকভাবে টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর ফর্মুলা!

টেস্টোস্টেরন পুরুষ হরমোন। বয়ঃসন্ধিকালে এই হর্মোনের গুরুত্ব সর্বাধিক। পুরুষের প্রজননক্ষমতা, বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইচ্ছা ইত্যাদি জাগিয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা নেয় হরমোনটি।

শরীরে প্রাকৃতিকভাবে টেস্টোস্টেরন  বাড়ানোর ফর্মুলা!

পরামর্শে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র।

টেস্টোস্টেরন পুরুষ হরমোন। বয়ঃসন্ধিকালে এই হর্মোনের গুরুত্ব সর্বাধিক। পুরুষের প্রজননক্ষমতা, বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইচ্ছা ইত্যাদি জাগিয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা নেয় হরমোনটি। পুরুষের দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমলে মন-মেজাজের পরিবর্তন ঘটে। দেখা দেয় নানা জটিলতা। তবে এই অসুখের চিকিৎসা রয়েছে। জানলে অবাক হবেন শুধুমাত্র জীবনযাত্রা পরিবর্তন করেই পুনরায় শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ানো সম্ভব।
টেস্টোস্টেরন শরীরের পেশি বৃদ্ধিতে, হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে, গায়ের জোর বৃদ্ধিতে, শরীরে চুলের মাত্রা বৃদ্ধিতে বিশেষ সাহায্য করে।
দেহের চাহিদা অনুসারে ক্রমাগত টেস্টোস্টেরনের মাত্রার পরিবর্তন হয়। সমগ্র জীবনকাল ধরেই শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রার পরিবর্তন হয়।
দেখা গিয়েছে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাস পায়। তবে হরমোনটির মাত্রা অস্বাভাবিক রকমের কমলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লো টেস্টোস্টেরনের উপসর্গ
 শরীরে চুলের মাত্রা কমে যায়।  পেশির পরিমাণ হ্রাস পায়।  কমে যায় যৌন চাহিদা।  ইরেকটাইল ডিসফাংশন দেখা যেতে পারে। 
 ব্রেস্ট টিস্যুর সংখ্যা বেড়ে যায়।
এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সাধারণত বয়ঃসন্ধিকাল থেকে তিরিশ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেদের দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা উচ্চ থাকে। এরপর স্বাভাবিক পথে ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে। অবশ্য অন্য নানা কারণেও কমতে পারে টেস্টোস্টেরন লেভেল—
ক) বয়স বৃদ্ধি। খ) দেরিতে বয়ঃসন্ধি আসা। গ) টেস্টিকল-এর ক্ষতি। সাধারণত দুর্ঘটনা, অ্যালকোহল পান, মাম্পস, হাইপোথ্যালামিক ডিজিজ-এর কারণে এমন সমস্যা প্রকাশ পেতে পারে। ঘ) পিট্যুইটারি গ্ল্যান্ডের অসুখ। ঙ) বিনাইন বা নন ক্যান্সারাস পিট্যুইটারি টিউমার। চ) কেমোথেরাপির মতো চিকিত্‍সা।
এছাড়া ক্লাইনফেল্টার সিন্ড্রোম, কলম্যান সিন্ড্রোম, মায়োটোনিক ডিসট্রফি ইত্যাদি জিনগত সমস্যাতেও এমন অসুখ দেখা যেতে পারে।
সমস্যা
শরীরে টেস্টোস্টরেনর মাত্র কমে গেলে যৌন ইচ্ছা কমে যেতে পারে, এমনকী কোনও কোনও ব্যক্তি অবসাদেও আক্রান্ত হন। বাড়তে পারে ওজন। হাড়ের জোর কমে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। পেশির ক্ষয় হয় দ্রুত।
টেস্টোস্টেরন টেস্ট কী?
 টোটাল টেস্টোস্টেরন টেস্ট এবং ফ্রি টেস্টোস্টেরন টেস্ট করে শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা জানা সম্ভব। সাধারণভাবে পুরুষের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে টেস্টোস্টেরন থাকার কথা  ৩০০ থেকে ১০০০ ন্যানোগ্রাম।
 শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধির উপায়
১) রেজিস্ট্যান্ট এক্সারসাইজ যেমন ওজন তোলার মতো শরীরচর্চা রক্তে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। তবে দেখা গিয়েছে ওজন তোলার চাইতে কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ দেহে টেস্টোস্টরনের মাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী পদ্ধতি।
মনে রাখবেন
শরীরে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধির জন্য চিকিত্‍সকের পরামর্শ ছাড়া কোনও বাজারচলতি ওষুধ খাওয়া উচিত হবে না।
বরং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে এক্সারসাইজ করলে বেশি ভালো ফল মিলবে। 
তবে চিকিত্‍সকরা দরকার বুঝলে জিঙ্ক এবং ভিটামিন ডি আছে এমন খাদ্যও খেতে বলতে পারেন। কারণ এই ধরনের ভিটামিন ও খনিজ আছে এমন খাদ্য টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাতেও কাজ না হলে তখন টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি করাতে হতে পারে। 
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক