বৃহস্পতিবার, 15 মে 2025
Logo
  • বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

বাবা গাড়ি চালক, একাদশ স্থান দখল করে বড় চমক প্রিয়জিতের, লেবু জল বিক্রেতার মেয়ে দ্বাদশ স্থানে

উচ্চ মাধ্যমিক মেধা তালিকায় স্থান করে চমকে দিলেন বারুইপুরের মদারাট পপুলার একাডেমির বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র প্রিয়জিৎ হালদার। 

বাবা গাড়ি চালক, একাদশ স্থান দখল করে বড় চমক প্রিয়জিতের, লেবু জল বিক্রেতার মেয়ে দ্বাদশ স্থানে

সংবাদদাতা, বারুইপুর: উচ্চ মাধ্যমিক মেধা তালিকায় স্থান করে চমকে দিলেন বারুইপুরের মদারাট পপুলার একাডেমির বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র প্রিয়জিৎ হালদার। ফলের নিরিখে তাঁদের স্কুল ব্লকে প্রথম হয়েছে। ৪৮৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে একাদশ স্থান দখল করেছেন প্রিয়জিৎ। তাঁর বাবা সঞ্জয় হালদার পেশায় গাড়ি চালক। প্রিয়জিৎ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। বারুইপুরের মধ্যে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রামনগর হাইস্কুল। এই স্কুলের ছাত্রী শ্রেয়সী পাল উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বাদশ স্থান দখল করেছেন। প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৬। শ্রেয়সীর বাবা রতন পাল লেবু জল বিক্রি করেন কলকাতায়। শ্রেয়সী আইনজীবী হতে চান। দুই স্কুলের কৃতীদের নিয়ে গর্বিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা।    
হোটরের মোহনপুর কালীতলার বাসিন্দা প্রিয়জিৎ মৌখালি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে একাদশ শ্রেণিতে মদারাট পপুলার একাডেমিতে ভর্তি হয়েছিল। প্রিয়জিতের এই ফলাফল স্কুলকে চমকে দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক সৈকত পুরকাইত বলেন, চার বছর পর বাণিজ্য বিভাগে এমন ফল করে স্কুলকে গর্বিত করেছে প্রিয়জিৎ। প্রিয়জিতের মা শচীরানি হালদার গৃহবধূ। প্রিয়জিৎ বলেন, আমার এই ফলাফলের পিছনে বাবা, মা, শিক্ষকদের অবদান আছে। 
স্কুলের পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি পালান মোল্লা বলেন, স্কুলের মান রক্ষা করেছে প্রিয়জিৎ। বারুইপুরের গর্ব সে। অন্যদিকে, বারুইপুরের রামনগর হাইস্কুলে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়েছে রামনগর বাজারের বাসিন্দা শ্রেয়সী পাল। মা মিতা পাল গৃহবধূ। শ্রেয়সী বলেন, আমার প্রিয় বিষয় বাংলা, ইতিহাস। বাবা কলকাতায় লেবুর জল বিক্রি করে সংসার চালান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মিত্র বলেন, ২০২১ সালে কলা বিভাগে ৪৮২ নম্বরের পর আবার নজরকাড়া ফল স্কুলের। বারুইপুরের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আমাদের স্কুল।  নিজস্ব চিত্র