ড্রিমলাইনার বিপর্যয়ের নেপথ্যে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট? মিলল নতুন তত্ত্ব
এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনার তদন্তে প্রতিদিনই উঠে আসছে নিত্যনতুন তত্ত্ব। দুর্ঘটনার নেপথ্যে কখনও পাইলটের গাফিলতি, কখনও ল্যান্ডিং গিয়ারের সমস্যা, আবার কখনও ইঞ্জিনের ত্রুটির দিকে আঙুল তোলা হয়েছে।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুন ২১, ২০২৫
নয়াদিল্লি: এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনার তদন্তে প্রতিদিনই উঠে আসছে নিত্যনতুন তত্ত্ব। দুর্ঘটনার নেপথ্যে কখনও পাইলটের গাফিলতি, কখনও ল্যান্ডিং গিয়ারের সমস্যা, আবার কখনও ইঞ্জিনের ত্রুটির দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যা। তদন্তের সঙ্গে জড়িত আধিকারিকদের অনুমান, আমেদাবাদের মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপর ভেঙে পড়ার আগের মুহূর্তে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানটিতে আচমকাই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে ইঞ্জিন যথেষ্ট পরিমাণ ‘থ্রাস্ট’ পায়নি এবং বিমানটি মাত্র ৬২৫ ফুট ওঠার পরই নীচে নামতে শুরু করেছিল। উড়ানের মুহূর্ত ও তার পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন ভিডিও, বিমানের ধ্বংসাবশেষ, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের রিপোর্ট ইত্যাদি বিশ্লেষণ করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গিয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। যদিও, বিমানটির ব্ল্যাক বক্সের তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত এবং প্রকৃত কারণ জানা যাবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।
তদন্তের সঙ্গে যুক্ত নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আচমকাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ড্রিমলাইনারের ইঞ্জিন পর্যাপ্ত শক্তি উৎপন্ন করতে পারেনি। ফলে আপতকালীন পরিস্থিতিতে র্যাম এয়ার টার্বাইন (র্যাট) ব্যবহার করে মুখ ঘুরিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসার জন্য যে উচ্চতায় থাকার প্রয়োজন ছিল, সেখানে পৌঁছতেই পারেনি বোইং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারটি। এই ‘র্যাট’ হল বিমানের ইমার্জেন্সি পাওয়ার সিস্টেম। কোনওভাবে বিমানের মূল বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়লে পাইলটের সর্বশেষ অস্ত্র হল এই ‘র্যাট’। বিপদের মুহূর্তে এই টার্বাইন থেকে উৎপন্ন বিদ্যুতেই বিমানকে নিরাপদে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারেন পাইলট। ভেঙে পড়ার কয়েক মুহূর্ত আগে অভিশপ্ত ড্রিমলাইনারেও এই ‘র্যাট’ চালু করা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আর তা থেকেই ‘বিদ্যুৎ বিপর্যয়’-এর তত্ত্বটি আরও জোরালো হয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এই বিষয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন এরোস্পেস সেফটি কনসালট্যান্ট অ্যান্থনি ব্রিকহাউস জানিয়েছেন, যখন বিমানের দু’টি ইঞ্জিনই অকেজো হয়ে পড়ে, তখন পাইলট ‘র্যাট’ চালু করেন। সেটা পাখির ধাক্কাতে হতে পারে, আবার প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যও ইঞ্জিন বিকল হতে পারে। তবে, আজকের এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগে বিমানের দু’টি ইঞ্জিন একসঙ্গে বিকল হয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব বলেই জানিয়েছেন ব্রিকহাউস।
related_post
অমৃত কথা
-
‘বিবেকচূড়ামণি’
- post_by বর্তমান
- জুলাই 19, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025