রং যেন মর্মবেদনার কারণ না হয়!
দোল উত্সব আমাদের প্রাণের পরব। কত অচেনা মানুষ এই দিনে একে অপরকে রং মাখিয়ে নিজেদের বেঁধে নেন আত্মীয়তার বন্ধনে। আর স্বজনদের মধ্যে যেটুকু মালিন্য থাকে সেটুকুও ঘুচে যায় এই আড়ম্বরে। তবু তার মধ্যেও কিছু অযাচিত বিপদ ঘটে রং নিয়ে সচেতনতার অভাবে।

দোল উত্সব আমাদের প্রাণের পরব। কত অচেনা মানুষ এই দিনে একে অপরকে রং মাখিয়ে নিজেদের বেঁধে নেন আত্মীয়তার বন্ধনে। আর স্বজনদের মধ্যে যেটুকু মালিন্য থাকে সেটুকুও ঘুচে যায় এই আড়ম্বরে। তবু তার মধ্যেও কিছু অযাচিত বিপদ ঘটে রং নিয়ে সচেতনতার অভাবে। তাই আসুন, সাবধান হই। দোলের দিনের রং রাখি অটুট।
চিনে নিন বিপদসঙ্কেত
রং-এর ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে দোলের রঙে অনেক সময় মেশানো হয় লেড, কপার সালফেট, মার্কারি সালফেটের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক। এই ধরনের রাসায়নিক ত্বকে চুলকানি, জ্বালাভাব, আমবাতের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এমনকী দেখা দিতে পারে আলসার। ত্বকে তৈরি হতে পারে স্থায়ী দাগ! সুতরাং রং মেখে সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই সাবধান হন।
সাবধানতা
রং খেলতে যাওয়ার আগে ত্বকে আমন্ড অয়েল মেখে নিন। মেখে নিতে পারেন অ্যালোভেরা ক্রিম। হাতের কাছে এসব না থাকলে নিশ্চিন্তে নারকেল তেল বুলিয়ে নিন ত্বকে। এছাড়া ফুল স্লিভ পোশাক পরে রং খেলতে বেরন। খেয়াল রাখুন শরীরের বেশিরভাগ অংশ যাতে পোশাকে ঢাকা থাকে। প্রাথমিক সুরক্ষা কবচ তৈরি হয়ে যাবে এতেই। এড়ানো যাবে বড় বিপদ।
চুলের যত্ন
মাথায় টুপি পরুন। কিংবা কাপড় দিয়ে মাথা ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাথায় রং নেওয়া থেকে বাঁচুন। কারণ অনেকসময় রঙে থাকা ক্ষতিকারক রাসায়নিক স্ক্যাল্পের ক্ষতি করতে পারে। সেখান থেকে চুল ঝরে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
রং বাছুন সাবধানে
ফুলের পাপড়ি, প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি রং তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। কারণ ভারী ধাতুর ব্যবহার এই রঙে হয় না। তাই সম্ভব হলে প্রাকৃতিক রং-এ খেলুন দোল।
আবির খেলা নিরাপদ
আবির শুকনো। তাই খেলা যেতে পারে। তবে মাথা ঢেকে খেলাই ভালো।
স্কিন ডিজিজ থাকলে রং নয়
আগে থেকে ত্বকে যে কোনও ধরনের অসুখ থাকলে রং খেলবেন না।
রং তোলার সহজ উপায়
ছোবরা দিয়ে ঘষে ঘষে রং তুলতে যাবেন না। ত্বকের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। খুব ভালো হয় ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস মিশিয়ে কাপড় দিয়ে রং তুলতে পারলে। লেবুর রস ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ক্ষারের মাত্রা কম থাকে এমন সাবান ব্যবহার শ্রেয়। গ্লিসারিন সাবানও ব্যবহার করা যেতে পারে।
খুদেদের দোল
২-৩ বছরের কম বয়সিদের দোল খেলতে দেওয়া বিপদের হতে পারে। এমনকী একটু বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও গায়ে রং লেগে নানা জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই দোল খেলার সময় ছোটদের দিকে লক্ষ রাখুন। সমস্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
ইমার্জেন্সি
ত্বকে খুব জ্বালা বোধ হচ্ছে, চুলকাচ্ছে এমন হলে বাড়িতে থেকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করবেন না। দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। তিনি প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে সমস্যা কমাতে পারবেন। ত্বকে কালো দাগ হওয়ার মতো স্থায়ী জটিলতাও এড়ানো যাবে।
সব শেষে বলি, জোর করে কারও গায়ে রং দেবেন না। দোল আনন্দের উত্সব। উল্লাসে মাতুন অন্যের মতামতকে সম্মান জানিয়েই।
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক
related_post
অমৃত কথা
-
কৃচ্ছ্রসাধনা
- post_by বর্তমান
- এপ্রিল 21, 2025
এখনকার দর
-
রূপোর দাম (২০/০৪/২৫)
- post_by Admin
- এপ্রিল 21, 2025
-
সোনার দাম (২০/০৪/২৫)
- post_by Admin
- এপ্রিল 21, 2025
-
ইউরো (২০/০৪/২৫)
- post_by Admin
- এপ্রিল 21, 2025
-
পাউন্ড (২০/০৪/২৫)
- post_by Admin
- এপ্রিল 21, 2025
-
ডলার (২০/০৪/২৫)
- post_by Admin
- এপ্রিল 21, 2025
-
নিফটি ৫০ (২১/০৪/২৫)
- post_by Admin
- এপ্রিল 21, 2025