মঙ্গলবার, 24 জুন 2025
Logo
  • মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ভুল স্বীকার করল কেন্দ্র, ওয়াকফ নিয়ে রায়দান স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

তিনদিনের টানা শুনানি শেষ। বৃহস্পতিবার সংশোধিত ওয়াকফ  আইন সংক্রান্ত মামলার অন্তর্বর্তী রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ ম্যাসির বেঞ্চ। 

ভুল স্বীকার করল কেন্দ্র, ওয়াকফ নিয়ে রায়দান স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

নয়াদিল্লি: তিনদিনের টানা শুনানি শেষ। বৃহস্পতিবার সংশোধিত ওয়াকফ  আইন সংক্রান্ত মামলার অন্তর্বর্তী রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ ম্যাসির বেঞ্চ। বুধবার এই মামলায় কেন্দ্রের তরফে সওয়াল করতে গিয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেছিলেন, হিন্দুদের দেবত্র বোর্ড কেবল ধর্মীয় কাজের সঙ্গে যুক্ত। ওয়াকফের সম্পত্তি ব্যবহৃত হয় ধর্মনিরপেক্ষ কাজেও। সেই মন্তব্য ভুল বলে এদিন মেনে নেন তিনি। বলেন, ‘হিন্দুদের বোর্ডও ধর্মীয় কাজের পাশাপাশি সেবামূলক কাজও করে। আমি কেবল ধর্মীয় কাজ উল্লেখ করেছিলাম।’ কেন্দ্রের তরফে এই ‘ভুল স্বীকার’ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।  
এদিন শুনানির শুরুতেই দেশের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, ওয়াকফ আইন স্থগিত হবে কি না, সেই বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। স্থগিতাদেশের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন তুষার মেহতা। বলেন, ‘একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করা যেতে পারে বলেই আইনসভায় পাশ হওয়া আইনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া যায় না।’ এরপরই রায়দান মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি। মামলাকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কেন আইনটি স্থগিত করা উচিত, সে বিষয়ে আদালতকে তুষ্ট করতে হবে।’ জবাবে মামলাকারীরআইনজীবী কপিল সিবাল জানান, ‘ওয়াকফ হল ঈশ্বরের প্রতি উৎসর্গ করা সম্পত্তি।’ জবাবে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘অন্য ধর্মেও দানের ক্ষেত্রে একই ধরনের আইন রয়েছে।’ তখন সিবাল জানান, সেটি সম্প্রদায়ের প্রতি সম্পত্তি দান। আর এক্ষেত্রে দান ঈশ্বরের প্রতি। প্রত্যুত্তরে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘হিন্দুধর্মেও মোক্ষের ধারণা রয়েছে।’ বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ বলেন, ‘এমন ধারণা খ্রিস্ট ধর্মেও রয়েছে। সকলে মৃত্যুর পর স্বর্গে যেতে চায়।’ ওয়াকফ কাউন্সিলে কেন অমুসলিম সদস্য থাকবেন, সেই নিয়েও এদিন প্রশ্ন ওঠে আদালতে।
গত মঙ্গলবার থেকে এই ইস্যুতে শুরু হয়েছিল  শুনানি। সেদিন মামলাকারীদের বক্তব্য শোনে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার কেন্দ্রের বক্তব্য শোনা হয়। দু’তরফের বক্তব্য শোনার পর এদিন রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।