তেহরানকে ধোঁকা দিতেই গুয়ামে গিয়েছিল মার্কিন স্টিলথ যুদ্ধবিমান
অপারেশন মিডনাইট হ্যামার। ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন হামলার পোশাকি নাম। একে আক্ষরিক অর্থেই রাতের অন্ধকারে হাতুড়ির ঘা বলা যায়। ইরানের দাবি এই হামলায় তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুন ২৪, ২০২৫
ওয়াশিংটন: অপারেশন মিডনাইট হ্যামার। ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন হামলার পোশাকি নাম। একে আক্ষরিক অর্থেই রাতের অন্ধকারে হাতুড়ির ঘা বলা যায়। ইরানের দাবি এই হামলায় তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। যদিও হামলা পরবর্তী তিন পরমাণু কেন্দ্রের স্যাটেলাইট ছবি অন্য কথা বলছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের।
ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। তবে এর সঙ্গে আমেরিকার নাম জড়ানোয় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। ট্রাম্প অবশ্য আগেই ইরানকে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরমাণু কেন্দ্রে হামলার কোনও ইঙ্গিত দেননি। রবিবার নিজেই বিষয়টা সামনে আনেন ট্রাম্প। ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে ‘সফল’ হামলার কথা জানান। পরে বিষয়টা ব্যাখ্যা করেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব। সেখানেই এই হামলার নাম হিসেবে তিনি বলেন, ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’।
যে কোনও দেশেরই নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরানও ব্যতিক্রম নয়। চাইলেই সেই প্রতিরক্ষার বর্ম ভেদ করে আক্রমণ করা যায় না। হামলা আকাশপথে হলেও রেডারে ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। কিন্তু মার্কিন হামলার ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্যরকম ছিল। কারণটা বি-২ স্টিলথ বিমানের উন্নত প্রযুক্তি। এই ধরনের বোমারু বিমান শত্রুর চোখ ফাঁকি দিতে সক্ষম। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের দাবি, হামলার সময় ইরানের একটিও ফাইটার জেট সক্রিয় হয়নি। এমনকী সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেমও মার্কিন বোমারু বিমান চিহ্নিত করতে ব্যর্থ। ফলে কার্যত বাধাহীন ভাবেই তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাতে সক্ষম হয় আমেরিকা। কিন্তু পরিস্থিতির এতটা সহজ হবে আগে থেকে ভাবেনি আমেরিকা। তাই সবরকম প্রস্তুতি ছিল। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের দাবি, হামলার গোপনীয়তা বজায় রাখতে বোমারু বিমানগুলির গতিপথ নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। প্রথমে মার্কিন বেস মিসৌরি থেকে বোমারু বিমানের একটি দল উড়ান শুরু করে। কিন্তু সেই দলের বেশিরভাগ বিমান উড়ে যায় পশ্চিমে অন্য এক মার্কিন ঘাঁটি গুয়ামের দিকে। কেবলমাত্র ৭টি স্টিলথ বিমান পূর্ব দিকে উড়তে থাকে। এদেরই লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা চালানো। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ওই সাতটি বিমান আকাশে ছিল। মাঝে একাধিকবার বিমানগুলিতে তেল ভরা হয়েছে ট্যাঙ্কার বিমানের মাধ্যমে। সবকিছুই এমন গোপনীয়তার সঙ্গে করা হয়েছে যে কেউ কিচ্ছু টের পায়নি।
শুধু তাই নয়, এই বোমারু বিমানের সঙ্গে কিছু মার্কিন যুদ্ধবিমানও ছিল। যদি কোনওভাবে ইরানের প্রতিরক্ষা বর্ম সক্রিয় হতো তাহলে পালটা হামলা চালাত এই যুদ্ধবিমান। তবে তার প্রয়োজন হয়নি। স্টিলথ বিমান সুনিপুণভাবে ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে বোমা নিক্ষেপ করে। তাও আবার যে সে বোমা নয়, ‘বাঙ্কার বাস্টার’। সেইসময় নাকি মার্কিন ডুবোজাহাজ থেকেও ইরানের পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চলেছিল। স্টিলথ বোমারু বিমানকে সবরকমভাবে লুকিয়ে রাখাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। যা সফলভাবে হয়েছে বলেই দাবি ট্রাম্প সরকারের। জানা গিয়েছে, হামলার ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসনের উচ্চপদের আধিকারিকরাও জানতেন না। ট্রাম্পের ঘোষণার পর সাধারণ মানুষের সঙ্গেই তাঁরা জানতে পারেন হামলার কথা।
related_post
অমৃত কথা
-
অভাব
- post_by বর্তমান
- জুলাই 20, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025