শনিবার, 14 জুন 2025
Logo
  • শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

নদীর পলি তুলতে ‘নতুন মডেল’

২০১৬ সালের পর থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাকে এক টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। কিন্তু মানুষের স্বার্থে রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ করে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

নদীর পলি তুলতে ‘নতুন মডেল’

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২০১৬ সালের পর থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাকে এক টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। কিন্তু মানুষের স্বার্থে রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ করে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেভাবেই এবার বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার। পলি তুলে নদীগুলিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন মডেল অনুসরণ করতে চলেছে নবান্ন। এই পদ্ধতিতে রাজ্যের কোনও খরচ ছাড়াই নদীগুলিতে ড্রেজিং সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি হবে। 
কী এই নতুন মডেল? বুধবার বিধানসভায় বাঁধ মেরামত ও সেচ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘প্রত্যেক জেলাশাসককে তাঁদের জেলায় কোন নদীতে ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন আছে, তা চিহ্নিত করে তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর প্রকল্পের ডিপিআর করে ড্রেজিং শুরু হবে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া মেনে। ড্রেজিংয়ে  যে মাটি বা বালি উঠবে, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাই তা বিক্রি করবে। সেই বাবদ রাজ্যকে নির্দিষ্ট রাজস্ব দেবে তারা। ফলে একেবারে নিখরচায় হবে এই কাজ।’ হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ দাসের অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে মানসবাবু জানান, ‘ডানা’ ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবন এলাকায় ৩৩টি জায়গায় ২,৩৯২ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তখনই ওই বাঁধগুলি মেরামতির জন্য ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে।