শনিবার, 14 জুন 2025
Logo
  • শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

ভুয়ো টিটিই-র চক্র ভাঙতে ইউনিফর্মে বাধ্যতামূলক কিউআর কোডযুক্ত ব্যাজ, দেশের মধ্যে প্রথম চালু হচ্ছে শিয়ালদহ ডিভিশনে

 টিকিট পরীক্ষার নাম করে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের হাতে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা শোনা যায় মাঝেমধ্যেই। সত্যিকারের টিটিইদের  মতো এই ফেক টিকিট পরীক্ষকরাও একই ধরনের পোশাকে ট্রেনে ওঠে। 

ভুয়ো টিটিই-র চক্র ভাঙতে ইউনিফর্মে বাধ্যতামূলক কিউআর কোডযুক্ত ব্যাজ, দেশের মধ্যে প্রথম চালু হচ্ছে শিয়ালদহ ডিভিশনে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: টিকিট পরীক্ষার নাম করে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের হাতে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা শোনা যায় মাঝেমধ্যেই। সত্যিকারের টিটিইদের  মতো এই ফেক টিকিট পরীক্ষকরাও একই ধরনের পোশাকে ট্রেনে ওঠে। এই অসাধু চক্র ভাঙতে এবার অভিনব উদ্যোগ নিল শিয়ালদহ ডিভিশন। টিটিইদের ইউনিফর্মে যুক্ত হচ্ছে বিশেষ ব্যাজ। দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই ডিভিশনের টিকিট পরীক্ষকদের ইউনিফর্মে বিশেষ লোগোযুক্ত ওই ব্যাজ লাগানো আবশ্যিক করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ব্যাজের নকল হওয়া ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা আগাম নিয়ে রেখেছে রেল। কী সেই ব্যবস্থা? ব্যাজগুলির পিছনে থাকছে কিউ আর কোড, যা স্ক্যান করলে সংশ্লিষ্ট টিটিই’র যাবতীয় তথ্য মুহূর্তের মধ্যে সামনে চলে আসবে। অর্থাৎ, কোনও যাত্রীর সন্দেহ হলে কর্তব্যরত টিটিই’র বৈধতা ‘অন স্পট’ যাচাই করা যাবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট রেলকর্মীর নাম, আইডি নম্বর সহ সমস্ত নথি সহজেই দেখা যাবে। উল্লেখ্য, শিয়ালদহ ডিভিশনে ২০৪টি স্টেশন রয়েছে। টিটিই আছেন ৩৪৪ জন।
পূর্ব রেলের দাবি, গোটা দেশের মধ্যে শিয়ালদহ ডিভিশনেই টিকিট পরীক্ষকদের পোশাকের সঙ্গে এই ধরনের কিউ আর কোড সহ ব্যাজ লাগানোর নিয়ম প্রথম চালু হল। পোশাকে এই ব্যাজ না থাকলে টিটিইদের ডিউটি দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডিআরএম) তরফে। কোনও টিটিই ভুল করে ব্যাজ ফেলে এলে তিনি কি ডিউটি না করেই ফিরে যাবেন? এই ধরনের সমস্যা সমাধানে বিকল্প ব্যবস্থাও নিয়ে রেখেছে রেল। জানা গিয়েছে, ডিভিশনের উচ্চতর অফিসারদের নামে অতিরিক্ত ব্যাজ তৈরি করে রাখা হয়েছে। এই অফিসাররাই মূলত টিটিইদের ডিউটি বণ্টন করেন। সেক্ষেত্রে কোনও টিটিই ব্যাজ আনতে ভুলে গেলে ডিউটি ধরার সময় পদস্থ কর্তার নামে ইস্যু হওয়া ব্যাজ পরেই কাজে নামতে হবে। বিষয়টি রেলের খাতায় নথিভুক্ত থাকবে। কোনও কারণে সংশ্লিষ্ট টিকিট পরীক্ষকের ব্যাজ স্ক্যান করা হলে ওই অফিসারের সরকারি বিবরণই চলে আসবে। ব্যাজ আনতে ভুলে যাওয়ার ঘটনা লিখিত আকারে থেকে যাওয়ায় এক্ষেত্রে বাড়তি জটিলতা তৈরি হবে না। শিয়ালদহের ডিআরএম রাজীব সাক্সেনা বলেন, ‘এই পদক্ষেপ ভারতীয় রেলের টিকিট পরীক্ষকদের জন্য নয়া মানদণ্ড তুলে ধরবে। তাঁদের কর্মদক্ষতা, স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়বে। যাত্রীদের সুরক্ষিত ও নির্ভরযোগ্য রেলযাত্রা নিশ্চিত হবে।