দেগঙ্গা, শাসনে ধর্ষণের শিকার মহিলা ও নাবালিকা, উত্তেজনা
একদিকে দেগঙ্গার চাকলায় এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ, অন্যদিকে শাসনে এক কিশোরীর উপর যুবকের পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা। দু’টি ঘটনাই ঘটেছে বৃহস্পতিবার।
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: একদিকে দেগঙ্গার চাকলায় এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ, অন্যদিকে শাসনে এক কিশোরীর উপর যুবকের পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা। দু’টি ঘটনাই ঘটেছে বৃহস্পতিবার। চাকলার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদাকে। দেগঙ্গায় ধরা পড়েছে নির্যাতিতার পাড়ার বাসিন্দা। শনিবার দুই অভিযুক্তকেই আদালতে হাজির করার কথা।
পুলিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতার কালীঘাট থেকে চাকলায় এসেছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের এক মহিলা। রাত হয়ে যাওয়ায় মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেগঙ্গা থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদা দেবকুমার কর্মকার তাঁকে ধর্ষণ করে। দেবকুমার ওই এলাকাতেই থাকে। নির্যাতিতা মহিলা থানায় গিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস শুক্রবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিসের দাবি, ওই মহিলা ভবঘুরে।
এদিকে, শাসন থানা এলাকায় এক কিশোরীকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবক হান্নান আলির বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই অপকর্মকে ‘ম্যানেজ’ করতে মোটা টাকা ‘অফার’ করে সে। শেষমেশ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে এদিন গ্রেপ্তার করেছে শাসন থানার পুলিস। পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সময়ে হান্নান ওই বাড়িতে হানা গিয়েছিল, সেই সময় বছর পনেরোর ওই কিশোরীর বাড়ির লোকজন অন্যত্র গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে ঘরে ঢুকে পাশবিক অত্যাচার চালায় সে। কিশোরী যাতে বিষয়টি কাউকে না জানায়, তারজন্য হুমকিও দেয় সে। ওইদিন সন্ধ্যার পর শারীরিক অস্বস্তি বাড়লে কিশোরী ঘটনার কথা বাড়ির লোকজনকে জানায়। সূত্রের খবর, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত কয়েক লক্ষ টাকা ‘অফার’ করেছিল বলে অভিযোগ। এরমধ্যেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় শাসন থানার পুলিস। অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। শুক্রবার বিকেলে অভিযুক্ত হান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।
