কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
সোনালি সৈকত আর সবুজের মলাটে মোড়া টিলায় পরিপাটি করে সাজানো সেন্তোসার মায়াবী প্রকৃতি। টিলার একাংশে ১৮ শতকে ব্রিটিশরা তৈরি করেছিল সিলোসো দুর্গ। আর এখানে রয়েছে মিউজিয়াম। দ্বীপের নানা প্রান্তে যাওয়ার জন্য রয়েছে নিজস্ব বাস পরিষেবা। সেন্তোসায় পৌঁছে প্রথমেই প্যাকেজ টিকিট কিনে নিন। এই টিকিটে দ্বীপের প্রধান সব দ্রষ্টব্যই দেখা যাবে। সঙ্গে পাবেন সেন্তোসার নানা স্থানে যেতে ফ্রি বাস সার্ভিস। নানা ধরনের ‘সেন্তোসা প্লেপাস’ প্যাকেজ টিকিট রয়েছে। বিশদ জানতে দেখুন www.sentosa.com.sg ওয়েবসাইট। মাত্র ৫ কিলোমিটার বিস্তৃত এই দ্বীপে রয়েছে মনোরঞ্জনের হরেকরকম আয়োজন। সিলোসো, পালাওয়ান আর তানজং এই তিনটি সৈকতরেখা ঘিরে রেখেছে দ্বীপভূমিকে। সৈকতের গা দিয়ে চলেছে বিচ ট্রাম। থাকবার জন্য ভালো হোটেল ও রিসর্ট রয়েছে এখানে। বিচগুলিতে ছায়া মেলেছে নারকেল গাছের সারি। সাগরজলে ওয়াটার স্পোর্টসের ব্যবস্থাও আছে। সমুদ্র অভিযানের কাহিনীতে সাজানো মেরিটাইম মিউজিয়াম এককথায় অসাধারণ। পালাওয়ান বিচের ওপর ঝুলন্ত ব্রিজ পেরিয়ে দেখে নিন একখণ্ড আরেকটি দ্বীপ। পরিচ্ছন্ন ধনুকাকৃতির সৈকতে ঢেউ খেলছে নীলাভ সাগরজল।
মেরিটাইম মিউজিয়াম দেখে চলুন ৩৭ মিটার উঁচু সিঙ্গাপুরের প্রতীক মারলায়ন মূর্তি দেখতে। কেয়ারি করা বাগানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে সিংহ আর মাছের শারীরিক আদলের মিশ্রণে গড়া কাল্পনিক এই মূর্তি। দ্বীপের মধ্যে সবুজে ছাওয়া পথে হেঁটে বেড়াতেও ভালো লাগবে। সেন্তোসার অন্যতম আকর্ষণ সামুদ্রিক জলজগতের বিচিত্র সম্ভারে সাজানো সি অ্যাকোয়ারিয়াম। এছাড়াও দেখবেন দ্বীপের অন্যান্য আকর্ষণ মেগা জিপ রাইড, স্কাইলাইন চেয়ারকার, অ্যাডভেঞ্চার কেভ ওয়াটার পার্ক। দ্বীপে গলফ কোর্সও রয়েছে। সেন্তোসার পর্যটকপ্রিয় দ্রষ্টব্য ইউনিভার্সাল স্টুডিও। সেন্তোসায় ঘুরতে আসা এই থিম পার্কের আকর্ষণেই। বিরাট এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই স্বপ্নপুরীর মধ্যে সাজানো রয়েছে নানা বিস্ময়, রোমাঞ্চ। নিখুঁত বৈচিত্র্যময় স্থাপত্যে গড়া এর অভ্যন্তর ভাগ। রয়েছে নানা রকমের জয় রাইড। একে একে দেখুন জুরাসিক পার্ক, হলিউড ড্রিম প্যারেড, মাদাগাস্কার ওয়াটার ওয়ার্ল্ড স্টান্ট শো, অ্যানসিয়েন্ট ইজিপ্ট, সাই ফাই সিটি, রুদ্ধশ্বাস রোলার কোষ্টার রাইড, সিনেমা তৈরির কৌশল মুভি ম্যাজিক, থ্রি ডি শো আরও কত কী। ভেতরে একটা হ্রদও রয়েছে। এখানে দোকান, রেস্তোরাঁও আছে। ইউনিভার্সাল স্টুডিও দেখতেই দিন গড়িয়ে যায়। সন্ধেবেলা চলে আসুন সিলোসো সৈকতের কাছে। এখানে দেখবেন সমুদ্রের ওপর চোখধাঁধানো লেসার ও ফাউন্টেন শো ‘উইংস অফ টাইম’।
অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়
ছবি: সুবীর কাঞ্জিলাল