কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
৬৪ মেগাপিক্সেলের পিছনে রয়েছে স্যামসাংয়ের একই প্রযুক্তি। নাম, ‘আইসোসেল ব্রাইট জিডব্লুওয়ান ইমেজ সেন্সর’। এর মধ্যে রয়েছে টেট্রাসেল প্লাস প্রযুক্তি। যা নিজস্ব অ্যালগরিদম ব্যবহার করে আলো অনুযায়ী ক্যামেরাকে পিক্সেলের সাইজ বদলানোর সুবিধা দেবে। এছাড়া এতে রয়েছে থ্রিডি এইচডিআর টেকনোলজিও। ফলে যে কোনও আলোতেই ঝকঝকে এবং স্পষ্ট তোলা যায়। কাগজে কলমে দেখলে ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় ৪৮ মেগাপিক্সেলের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি পিক্সেল পাওয়া যাবে।
এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু, ১০৮ মেগাপিক্সেল? অনেকেই বলবেন একটু বাড়াবাড়ি। মানুষের চোখের রেজোলিউশন ৫৭৬ মেগাপিক্সেল। মানুষের চোখের রেটিনায় গড়ে ৫০ লক্ষ কোন রিসেপটর রয়েছে। যা দিয়ে মূলত আমরা রং বুঝতে পারি।
স্যামসাংয়ের এই নতুন ১০৮ মেগাপিক্সেল সেন্সর সুস্থ মানুষের দৃষ্টিক্ষমতার প্রায় এক পঞ্চমাংশের সমান। এই ক্যামেরা দিয়ে ৩০ ফ্রেম পার সেকেন্ড রেটে ৬-কে ভিডিও তোলা যাবে। বেশি রেজলিউশনের ছবি বাস্তবিক সবসময় কাজে লাগে না। সে কারণে সাধারণ মোডে চারটি মেগাপিক্সেলকে মিলিয়ে ২৭ মেগাপিক্সেলের উচ্চমানের ছবি উঠবে এই ক্যামেরায়।
সেপ্টেম্বরেই এই নতুন প্রযুক্তির সেন্সরযুক্ত ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি চীনা সোশ্যাল মিডিয়া উইবোতে প্রকাশ করেছে শাওমি। এই ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় রয়েছে ১/১.৩৩” ইমেজ সেন্সর সাইজ, ১.৬৯ অ্যাপার্চার এবং ফোর অ্যাক্সিস অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইেজশন। শাওমির এই প্রযুক্তি সম্পন্ন চারটি স্মার্টফোনের মধ্যে দু’টির কথা এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। এমআই ম্যাক্স আলফা ফোনটি আনার কথা ট্যুইটারে ঘোষণা করে দিয়েছে তারা। ফোরডি সারাউন্ডিং কার্ভড ডিসপ্লে সম্পন্ন ফাইভজি ফোনটিতে রয়েছে তিনটি ক্যামেরা। অর্থাত্ ক্যামেরা প্যানেল বাদে এটির সারা গা জোড়া স্ক্রিন।
প্রথমটি আইসোসেল প্রযুক্তির ১০৮ মেগাপিক্সেল। দ্বিতীয়টি ২০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা। এই লেন্স দিয়ে ১১৭ ডিগ্রি পর্যন্ত ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ছবি তোলা সম্ভব। এর সাহায্যে ১.৫ সেন্টিমিটার দূরত্ব থেকে ম্যাক্রো ছবিও তোলা যাবে। তৃতীয় লেন্সটি ১২ মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা। তবে, খুব সম্ভবত এই স্মার্টফোনটির দাম অনেকটাই বেশি হবে। পাশাপাশি আমজনতার বাজেটের কথা ভেবে এমআই সিসি৯ প্রো স্মার্টফোন আনছে শাওমি। তাতে থাকবে ১০৮+৮+২+২ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা। থাকবে ৩২ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা এবং স্ন্যাপড্রাগন ৭৩০জি চিপসেট। আগামী ২৪ অক্টোবর ফোনটি লঞ্চ হতে পারে বলে খবর। দাম হবে ২৫ হাজার টাকার আশেপাশে।
অন্যদিকে, ৪৮ ও ৬৪ মেগাপিক্সেল প্রযুক্তির সময়কার ভুল আর করবে না স্যামসাং। শাওমিকে সাহায্য করার পাশাপাশি নিজেদের ফোনেও এই আইসোসেল ব্রাইট এইচএমএক্স প্রযুক্তি নিয়ে আসছে তারা। গ্যালাক্সি নোট ১০ এবং নোট ১০ প্লাস বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এরপর আসছে গ্যালাক্সি এস১১। এই ফোনের ফিচার ইতিমধ্যেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে। বলা হচ্ছে, এটা স্যামসাংয়ের নতুন শুরু। সাম্প্রতিককালে এক নয়া ট্রেন্ড তৈরি করেছিল তারা। তা হল, নিজেদের প্রযুক্তি প্রতিযোগী সংস্থাগুলিকে বেচে গ্যালাক্সি সিরিজে ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার উপর ভরসা রাখা। যা এখন প্রায় বাতিলের খাতায়।
কোরীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্যামসাং তাদের এস১১ স্মার্টফোনে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যোগ করছে। এতে থাকবে ৫x অপটিক্যাল জুম। যা সরবরাহ করবে স্যামসাং ইলেক্ট্রো মেকানিক্স। এই সুবিধা অপ্পো রেনো সিরিজ এবং হুয়েই পি৩০ প্রোতে বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বেশ বোঝা যাচ্ছে যে ডিএসএলআর যুগ শেষ হতে চলল।