শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
শুধু তাই নয়, বহু গাছে কচি পাতার কন্দ দেখা যাচ্ছে। তাতে বাগান মালিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। যদিও উদ্যানপালন বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শীত থাকায় গাছে মুকুল আসতে দেরি হচ্ছে। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত মুকুল আসার স্বাভাবিক সময় রয়েছে। তাই এখনই চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে এসময় গাছে যাতে জল দেওয়া না হয়, সেদিকে বাগান মালিকদের খেয়াল রাখতে হবে। তা হলে গাছে মুকুলের পরিবর্তে কচিপাতা বেরনোর সম্ভাবনা থাকবে।
বাঁকুড়া জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক মলয় মাজি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখের পরেও যদি মুকুল না আসে, তখন ভাবতে হবে। এখনও যথেষ্ট শীত রয়েছে। সেই কারণে গাছে মুকুল আসতে দেরি হচ্ছে। শীত কমার সঙ্গে সঙ্গে মুকুল বেরবে। কিছুদিন আগে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিন্তু, পুষ্টি ও ফলন পেতে এখন গাছের গোড়ায় জল ও নাইট্রোজেন জাতীয় সার প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে।
স্থানীয় ও দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। তার মধ্যে ব্যক্তিগত ও ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগানো আম বাগান রয়েছে। গত বছর প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর আমের ফলন হয়েছিল। বাঁকুড়ার আম ইতিমধ্যে বিদেশের বাজারে সুনাম কুড়িয়েছে। সুস্বাদু হওয়ায় ভালো চাহিদাও রয়েছে। গত কয়েকবছর ধরে দপ্তরের পক্ষ থেকে বাঁকুড়ার আম রপ্তানি করা হচ্ছে। বিশেষ করে খাতড়া মহকুমায় রুখাশুখা এলাকায় যেখানে অন্যান্য চাষবাসের বিশেষ সুবিধা নেই। সেই সব জায়গায় স্থানীয়দের বিকল্প আয়ের রাস্তা খুলে দিয়েছে আমবাগান। সেজন্য জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের পক্ষ থেকে বাগান তৈরিতে নানারকম সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ১০০ দিনের প্রকল্পে আমের বাগান তৈরি করে তা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে পরিচর্যা করানো হচ্ছে। তাতে একদিকে গোষ্ঠীর মহিলারা স্বনির্ভর হচ্ছেন। অন্যদিকে, পঞ্চায়েতেরও স্থায়ী সম্পদ ও আয় বাড়ছে।
শুধু তাই নয়, আমবাগান তৈরির মাধ্যমে বিকল্প আয়ের উৎস দেখে স্থানীয় বাসিন্দারাও ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমবাগান তৈরি করেছেন। সব মিলিয়ে খাতড়া মহকুমার রুখাশুখা এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিকল্প আয়ের তা অন্যতম উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে অন্যান্য বছর সরস্বতী পুজোর সময় গাছে গাছে আমের মুকুল চলে এলেও এবার এখনও পর্যন্ত তা না আসায় বাগান মালিকরা চিন্তায় রয়েছেন।
বিষ্ণুপুরের পিয়ারডোবা লেপ্রসি আফ্টার কেয়ার কলোনির বাসিন্দা রাজীব বাউরি বলেন, আমাদের বাগানে প্রায় ২০০০ আমগাছ রয়েছে। প্রতি বছর গড়ে ৫ লক্ষ টাকার আম বিক্রি হয়। তবে গত বছর ৬ লক্ষ টাকার আম বিক্রি হয়েছিল। ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে ওই টাকা কলোনির ২৮টি পরিবার পায়। তাতে আমরা ভীষণ উপকৃত হই। অন্যান্য বছর সরস্বতী পুজোর সময় আমগাছে মুকুল চলে আসে। কিন্তু, এবার এখনও তা দেখা যায়নি। তাই মুকুল না কচিপাতা বেরবে, তা নিয়ে আমরা চিন্তায় রয়েছি।