শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
স্থানীয় চাষিদের উৎসাহিত করতে ব্লক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চারা বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, মালদহ জেলার মাটিতে এই ড্রাগন ফ্রুট চাষ করা সম্ভব। আবহাওয়াও অনুকূলে আছে। বছরের যে কোনও সময় ড্রাগন ফ্রুটের চারা রোপণ করা যায়। জমিতে পরিমাণ মতো জৈব সার প্রয়োগ করে চারা রোপণ করতে হবে। বাড়ির উঠোনে বা ছাদেও এই ফল চাষ করা যায় খুব সহজেই। সার বা তেমন কোনও পরিচর্যারও প্রয়োজন হয় না। গাছের কাণ্ড কেটে মাটিতে লাগালেই নতুন চারা তৈরি হবে। একটি গাছে প্রতি বছর ৫০-৬০টি পর্যন্ত ফল ধরে। প্রতি ফলের ওজন প্রায় ৫০০ গ্রাম। প্রতি কেজি ফলের বাজার মূল্য প্রায় ৮০০-১০০০ টাকা বলে জানা গিয়েছে। স্বল্প খরচে ও স্বল্প পরিশ্রমে ভালো ফলন ও অধিক মুনাফা অর্জন করার আশায় কৃষকরা ড্রাগন ফ্রুট চাষ করতে ঝুঁকছেন। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল চাষের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ফল চাষ করে নিজেদের পরিবারের চাহিদাপূরণের সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবেও লাভবান হওয়া যায়। এই চাষে প্রতিযোগিতা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় ফলের দামও মেলে বেশি।
এই ফলের নানা গুণ আছে। বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে এই ফলের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকায় ড্রাগন ফ্রুট খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আমাদের দেশে ও পুষ্টিগুণের কারণে ফলটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময় করতে এই ফল সহায়তা করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে। সুগার রোধ করে। হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে। কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে। স্নায়ুকোষ তৈরি ও সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। ত্বক উজ্জ্বল করে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বিঘা জমিতে ৮৮৮টি ড্রাগন ফ্রুটের গাছ লাগানো যায়। বিঘা প্রতি প্রায় ৫৫৫০ কেজি ফল পাওয়া যায়। ধান, গম, পাট সহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক বেশি ফলন ও মুনাফা অর্জন করতে পারবেন কৃষকরা। এই সমস্ত দিক বিবেচনা করেই ব্লক কৃষি বিভাগ চাষিদের ড্রাগন ফ্রুট চাষ করার জন্য উৎসাহিত করছে।
চাষিরা জানান, ব্লক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমাদের ড্রাগন ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে জানানো হয়। অন্যান্য চাষে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়, কিন্তু সেইরকম মুনাফা অর্জন করা যায় না। তাই অধিক মুনাফা লাভের আশায় ড্রাগন ফল চাষ করার দিকে ঝুঁকেছি। ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তার করণ থেকে আতমা প্রকল্পের অধীনে ড্রাগন ফ্রুটের চারা বিতরণ করা হয়। ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের চাষিদের পাশাপাশি বিভিন্ন মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতেও চারা তুলে দেওয়া হয়।
আতমার ব্লক টেকনিক্যাল ম্যানেজার ধর্মেন্দ্র পাল বলেন, ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য কৃষকদের সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। চাষের পদ্ধতি থেকে নিয়ে ফল বাজারজাত করা পর্যন্ত চাষিদের গাইডলাইন দেওয়া হবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা ডঃ কিঙ্কর দে তরফদার বলেন, ড্রাগন ফল চাষ করে চাষিরা স্বনির্ভর হতে পারবেন। কারণ স্বল্প ব্যয়ে এই চাষে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়। যে কোনও মরশুমে এই চাষ শুরু করা যায়।