দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কর্মে সফলতা। ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগের প্রচেষ্টায় সফলতা। ভ্রমণ যোগ আছে। ... বিশদ
নতুন জুটি বিক্রম-সোহিনী। আড্ডার অনুষঙ্গে জুড়ে থাকল খুনসুটি। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা, শাহরুখ-কাজল, অমিতাভ-রেখা... ‘ওরে বাবা, কেলেঙ্কারি করেছে, বিষয়টা বিতর্কিত দিকে মোড় নিচ্ছে...’ জুটি নিয়ে সোহিনীর উর্দ্ধমুখী প্রত্যাশায় লাগাম টেনে টিপ্পনী কাটলেন বিক্রম। সামলে নিয়ে সোহিনীর মন্তব্য, ‘নতুন জুটিকেও তো শুরু করতে হবে! না হলে সে পুরনো হবে কী করে?’ এই চলার পথে ‘বাংলা ছবির অমরসঙ্গী’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আশীর্বাদও চাই তাঁদের। ‘বুম্বাদা আমাদের অভিভাবক। ‘অমরসঙ্গী’র সঙ্গী। চিরসবুজ রোম্যান্টিক হিরো। ওঁর আশীর্বাদ চাই-ই চাই’, বললেন বিক্রম।
একসঙ্গে অভিনয় তো হল। কিন্তু বিক্রম ও সোহিনীর কাছে ‘অমরসঙ্গী’র সংজ্ঞা কী? বিক্রমের ব্যাখ্যা, ‘আমি সারাটা জীবন যার সঙ্গে কাটাতে পারব। ভালো-মন্দ মেশানো আমাকে যে মেনে নিতে পারবে। সবশেষে কারও কাছে বাড়ি ফিরে আসা আরকি।’ আর সোহিনীর সংজ্ঞায়, ‘খানিকটা দায়িত্ব, খানিকটা ভরসা, খানিকটা আশ্রয়, বুড়ো বয়সেও একসঙ্গে হাত ধরে থাকা, একে অপরের ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেওয়া।’
কলকাতা শহরে প্রেমের স্টপ আপনাদের জন্য কোনটা? হাসিমুখে সোহিনীর স্বীকারোক্তি, ‘আমার বাড়ির সার্ভিস রোডের হলুদ আলোয় এখনও শোভনের (গঙ্গোপাধ্যায়) সঙ্গে প্রেম করি।’ বিক্রমের উত্তর, ‘স্ট্র্যান্ড রোডের ধারে একটি বিশেষ খাবার খাওয়া, আড্ডা জোন এবং অবশ্যই ময়দানে প্রেম করব।’ হাল্কা হাস্যরসে রাঙানো ফিল গুড মিষ্টি প্রেমের ছবিই কি বাংলা সিনেমার ভবিষ্যৎ? সোহিনীর মতে, ‘রিলস-এর যুগে কোন বিষয়ের ছবি মানুষের মনে ধরবে সেটা বুঝতে গোটা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিটাই বিভ্রান্ত। তবে আমার সহজ সাদামাটা মজার ছবিই ভালো লাগে।’ বিক্রমের মত, ‘সব ধরনের ছবি হওয়াটা দরকার।’ যেমন দরকার কম সংখ্যায় হলেও ভালো ছবি এবং সেই ছবি নিয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।