দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কর্মে সফলতা। ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগের প্রচেষ্টায় সফলতা। ভ্রমণ যোগ আছে। ... বিশদ
• ‘ডোভার লেনে অনুষ্ঠান করা সত্যিই খুব আনন্দের। এখানে এলে বিশিষ্ট শিল্পীদের সঙ্গে আলাপ করার সুযোগ হয়। গানবাজনা উপভোগ করা যায়’, আড্ডার শুরুতেই বললেন সুজাত। আট বছর বয়সে বাবা উস্তাদ বিলায়েত খানের সঙ্গে প্রথম ডোভার লেনে এসেছিলেন শিল্পী। অতীত স্মৃতি ভিড় করে এল মনে। তাঁর কথায়, ‘আট বছর বয়সে এখানে এসে উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান, উস্তাদ আমির খান, পণ্ডিত ভীমসেন যোশির মতো প্রণম্য শিল্পীদের প্রত্যক্ষ করেছিলাম। সেই স্মৃতি ভোলার নয়। আমার জন্ম এই কলকাতা শহরে। তাই এখানকার শ্রোতার সঙ্গে একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে।’
বাবা তথা গুরু উস্তাদ বিলায়েত খানের কাছে কী শিখেছেন? সুজাত বলেন, ‘বাবার কাছে প্রকৃত শিল্পী হওয়ার শিক্ষা পেয়েছি। সঙ্গীত আমার পেশা। সময়ানুবর্তিতা থেকে শুরু করে উদারতা। বাবার থেকেই সবকিছুর তালিম নিয়েছি।’ ঐতিহ্যময় ঘরানার উত্তরসূরি হওয়া কি আশীর্বাদ নাকি বাড়তি চাপ? সুজাতের জবাব, ‘দুটোই রয়েছে। বড় শিল্পীর সন্তান হলে তুলনা হবেই। ছোটবেলায় এসব নিয়ে চিন্তা করতাম। এখন হয় না। তবে এই পরিস্থিতি আমায় পরিশ্রম করার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। শিল্পী হিসেবে পরিচিতি তৈরি করতে পেরেছি।’
সুজাতের জীবন যাপনে জড়িয়ে রয়েছে সঙ্গীত। অবসর সময় কী ধরনের গান শোনেন? শিল্পীর কথায়, ‘শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি ঠুমরি, গজল শুনি। আশি এবং নব্বইয়ের দশকের সিনেমার গান শুনি। সেই সময় মুম্বইয়ে রাহুল দেব বর্মন, লক্ষ্মীকান্ত প্যায়ারেলালের মতো সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। সেসব অমর সৃষ্টি উপভোগ করি একান্তে।’
এবছর অনুষ্ঠানের একটি অংশে তরুণ শিল্পী অনির্বাণ রায় সুজাতের সঙ্গে বাঁশিতে সঙ্গত করবেন। নবীন-প্রবীণের সহাবস্থান হবে মঞ্চে। সে প্রসঙ্গে শিল্পী বলেন, ‘অনির্বাণ অত্যন্ত প্রতিভাবান শিল্পী। ওঁর বাঁশি শুনেছি। ডোভার লেনের মতো প্রতিষ্ঠিত মঞ্চে তরুণ শিল্পীদের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’