সৎসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠে মানসিক তৃপ্তি। কাজকর্মের ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উপকৃত ... বিশদ
পছন্দের পরিচালক
এর আগে নীরজ পান্ডে পরিচালিত ‘আ ওয়েডনেসডে’, ‘স্পেশাল ২৬’, ‘অরো মে কাহাঁ দম থা’ ইত্যাদি ছবিতে অভিনয় করেছেন জিমি। এবার নীরজের ‘সিকান্দার কা মুকাদ্দার’ ছবিতে এক পুলিসের চরিত্রে তিনি। নীরজের প্রসঙ্গ উঠতে জিমি বলেন, ‘আমি নীরজের সঙ্গে কাজ করতে ভীষণ পছন্দ করি। ২৫-৩০ বছর আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। নীরজের মতো লম্বা ওয়ান শট নিতে আমি অন্য কোনও পরিচালককে দেখিনি। এভাবে কাজ করার এক আলাদা মজা রয়েছে। আচমকা একদিন নীরজ বলল, ও নেটফ্লিক্সে একটা ছবি করতে চলেছে। আমাকে গল্পটা পড়তে বলে। কিন্তু তখনও ছবির ক্লাইম্যাক্স লেখা বাকি। এভাবে এই ছবির কাজ শুরু করলাম। নীরজ কেবল আমাকে দাড়ি বাড়াতে বলে।’
ফিল্মি সফর
নিজের ফিল্মি সফরে খুশি জিমি। হালকা হেসে অভিনেতা বলেন, ‘শুরুতে আমি ভয় পেতাম। কিন্তু এখন পিছনে ফিরে দেখলে, নিজে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেজন্য আনন্দ হয়। প্রতি বছর অন্তত চারটে ছবি করার চেষ্টা করি। তবে আমি এখনও আমার স্বপ্নের চরিত্রটা পাইনি। আমার জন্য হয়তো বা কোথাও চরিত্রটা লেখা হচ্ছে। নিশ্চয় আমার কাছে আসবে একদিন।’
শুধুই হিংসা
অনেকের অভিযোগ যে এখন ছবি এবং সিরিজ মানে শুধুই হিংসা, রক্তপাত, আর গোলাগুলি। জিমি বিরক্তির সুরে বলেন, ‘তাহলে তো আমাদের ওটিটি বন্ধ করে দিতে হয়। আমরা যদি এভাবে ডার্ক স্টোরি, আর লাইট স্টোরির মধ্যে বাছবিচার করতে বসি তাহলে তো মুশকিল। আসলে আমাদের সমস্যা যে একটা সিরিজ বা ছবি দেখার এক মিনিটের মধ্যেই আমরা মনে করি এটা আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যর্থ। তাই আমরা সেই শো-টা ছেড়ে অন্য শো দেখতে শুরু করে দিই। আমরা একটা বইকে তার প্রচ্ছদ দেখে বিচার করি।’
সিক্যুয়েলের রমরমা
ওটিটি বা বড় পর্দা সর্বত্রই এখন সিক্যুয়েলের রমরমা। এপ্রসঙ্গে নিজের মত প্রকাশ করে জিমি বলেন, ‘শুধুমাত্র চার-পাঁচটা জনপ্রিয় শো-র কথা কেন বলা হচ্ছে। এখন যেসব শো স্ট্রিমিং হচ্ছে, মানুষ কেন সেগুলো নিয়ে কথা বলছেন না। আমি মনে করি এখনও অনেক ভালো ছবি এবং ভালো শো আসছে। আর এরজন্য ওটিটি-কে ধন্যবাদ জানানো প্রয়োজন। কারণ এখন লেখকরা সামনে আসার সুযোগ পাচ্ছেন। কিছু পরিচালক আটকে দেবেন, এই ভয় আগে লেখকদের ছিল। এখন লেখকদের জন্য কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। তাই আমরা নানান মজাদার গল্প পাচ্ছি’।