ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
অনির্বাণের ভূমিকায় আপনি দেখবেন অনির্বাণকেই। না! কোনও ধাঁধা নয়। অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী রয়েছেন এই পুলিসের চরিত্রে। হেসে বললেন, ‘আমি এর আগে অনেকগুলো পুলিসের চরিত্র করেছি। প্রত্যেকটাই আলাদা ছিল। ভালো পুলিস, খারাপ পুলিস। খারাপ থেকে ভালো হয়ে যাচ্ছে তেমন পুলিস। গ্রে শেডের পুলিস। মজার পুলিস। আসলে সবকটি চরিত্র পেশায় পুলিস হলেও মানুষ হিসেবে আলাদা ছিল। তবে নিজের নামের চরিত্র প্রথমবার পেলাম। ‘মিসিং লিঙ্ক’-এর অনির্বাণের উপর রাজনৈতিক চাপও রয়েছে। অন্যান্য আরও সমস্যা রয়েছে। দর্শক সেটা দেখলে বুঝতে পারবেন।’
অভিনেতার পরপর অনেকগুলো কাজ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। তাঁর কথায়, ‘ওয়েবের মধ্যে ‘একেন বাবু’ সিজন এইটের শ্যুটিং শেষ করলাম। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘ভূস্বর্গ ভয়ংকর’ করলাম। ডাবিংও হয়ে গিয়েছে। ছবিও রয়েছে বেশ কয়েকটা। ‘স্বার্থপর’, ‘খাদান’, ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’-এর পোস্ট প্রোডাকশন চলছে। ‘অপরিচিত’ করলাম। প্রতীম ডি গুপ্তর ‘চালচিত্র’ তৈরি হয়ে গিয়েছে। রাজা চন্দর ছবি ‘চন্দ্রবিন্দু’ শেষ করলাম।’
টলিউডে সম্প্রতি ছবি তৈরি নিয়ে নানাবিধ টানাপোড়েন চলছে। বহুদিন ধরে চলতে থাকা শ্যুটিংয়ের নিয়ম নিয়ে সরব নানা মহল। সে প্রসঙ্গে অনির্বাণের মত, ‘এখন বিভিন্ন ফরম্যাটে লোকে ছবি তৈরি করতে চাইছেন। তার বাজেটও আলাদা হয়। যে যেভাবে তৈরি করবেন, তার কাছে সেই সুবিধেটুকু থাকা উচিত। কেউ যদি বড় বাজেটের ফিচার ফিল্ম বানাতে চান, তাঁর জন্য যা নিয়ম, আর যিনি ছোট ছবি বা অল্প বাজেটের ফিচার ফিল্ম বানাতে চান, তাঁর জন্য নিয়ম আলাদা হওয়া উচিত। যা এই মুহূর্তে টলিউডে নেই। এখনও এখানে এক ধরনের নিয়মেই সব কাজ হয়। যা বিভিন্ন মানুষের ভিন্ন চাহিদার সঙ্গে মিলছে না।’
দীর্ঘ শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনির্বাণের। গত বেশ কয়েকবছর ধরে যদিও অভিনয়েই মনোনিবেশ করেছেন। কখনও অভিনয় শেখানোর কথা ভেবেছেন? অনির্বাণের স্পষ্ট উত্তর, ‘আমি যে বিষয়ে শিক্ষকতা করেছি, সেটা নিয়ে আমি পড়াশোনা করেছি। ইনফরমেশন টেকনোলজি। অভিনয় আমি কোথাও শিখিনি। করতে করতে শিখছি। যে কোনও বিষয়ের টেকনিক্যাল পড়াশোনার একটা দিক থাকে। এখনও আমি অভিনয়ের ছাত্র। এখনই শিক্ষক হতে চাই না। কীভাবে অভিনয় শেখানো যেতে পারে, সেটা এখনও বুঝতে পারি না।’