সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
‘কুড়িয়ে পাওয়া চাঁদু একটি থানায় কয়েকজন পুলিস অফিসারের আদরে প্রশ্রয়ে বড় হওয়া এক যুবক। সরলমতি চাঁদুর কোনও বন্ধু নেই। আছে দুই পোষ্য চুমকি ও রাখাল। একটি কুকুর ও মুরগি। চাঁদু বিশ্বাস করে এই দুই প্রাণী ভালো থাকবে, যদি তারা বিয়ে করে’, নিজের অভিনীত চরিত্র নিয়ে এতখানি বলে হাসেন সুহোত্র। কারণ, অভিনেতা নিজেও যে পশুপ্রেমী।
কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত ওয়েব সিরিজের সংখ্যাই বেশি। তা নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই হাওড়ার ভূমিপুত্রের। মুচকি হেসে বলেন, ‘এটা তো আর আমার হাতে নেই, যাঁরা আমাকে অভিনেতা হিসেবে নির্বাচন করছেন তাঁদের ব্যাপার। আমার কাছে সবটাই নিজেকে অভিনেতা হিসেবে আরও পোক্ত করার প্ল্যাটফর্ম। চাঁদু চরিত্রেও বেশকিছু নতুন জিনিস আমি করেছি, যা আগে আমি করিনি।’
বিজ্ঞানে স্নাতক সুহোত্রর অবসরের গান যে এভাবে কাজে লেগে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি। আসছে দুলাল দে পরিচালিত ছবি ‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’। ছবিতে তাঁর প্লেব্যাকের খবর ইতিমধ্যেই ভাইরাল। বললেন, ‘একদিন ফ্লোরে গুনগুন করছিলাম। পরিচালক শুনে আমাকে প্লেব্যাক করার কথা বলেন। নতুন বিষয়। আমিও রাজি হয়ে গেলাম।’ অবসরে গান আর সিনেমা-সিরিজ দেখা প্রিয় বিনোদন অভিনেতার। নিজেকে নিয়ে প্রতিনিয়ত নিরীক্ষার পদ্ধতি কী? সুহোত্র বললেন, ‘আমি একই ধরনের চরিত্রে দ্বিতীয়বার অভিনয় করি না। চিত্রনাট্যটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চরিত্রের ষাট শতাংশটা ওখানেই লুকিয়ে থাকে। তাই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বারবার আমি চিত্রনাট্যটা পড়ি।’ পড়াশোনা থেকে পালানোর জন্যই তো অভিনয় জগতে আসা? হেসে ফেলেন সুহোত্র, ‘পালাতে আর পারলাম কই? তবে এখানে পরীক্ষার মধ্যে সেই একঘেয়েমিটা নেই। এই দুনিয়ায় প্রতিটি ফ্রেমেই নতুন সৃষ্টির উত্তেজনা। উত্তীর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জ। প্রতি মুহূর্তে উপভোগ করি।’
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়