সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মৃতের পরিবারের লোকজনেরা মৃতদেহ নিয়ে গঙ্গারামপুর থানার মহারাজপুর এলাকায় ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেন। প্রায় ৩০ মিনিট অবরোধ চলার জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিস বাহিনী। পুলিসের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা।
গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, খুনের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন তাদের আদালতে পেশ করা হয়। তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর থানার মহারাজপুর রথতলার যুবক পাঁচু হালদার পেশায় মৎস্যজীবী। রবিবার রাতে গঙ্গারামপুরে পাটন এলাকার আদিবাসী বধূর সঙ্গে পরকীয়ার সন্দেহে পাঁচুকে বেঁধে রেখে রাতভর মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সকালে খবর পেয়ে পাঁচুর আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে যান। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। গঙ্গারামপুর থানার পুলিস যুবককে উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
গ্রামবাসী সুদান সরকার বলেন, গাছে বেঁধে মারধর করা হয়েছে যুবককে। পরিবারের লোকজন তাকে আনতে গেলেও দেওয়া হয়নি। বরং তিন লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে পরিবারের কাছে। পরে পুলিস গিয়ে উদ্ধার করে। দোষীদের ফাঁসির দাবিতে পথ অবরোধ আমাদের।
ঘটনার পর যুবককের পরিবারের সদস্যরা পিটিয়ে খুনের অভিযোগ করেন গঙ্গারামপুর থানায়। পুলিস সোমবার রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতদের গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৮ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন, মহারাজপুর বাজারে মৃতদেহ রেখে কিছুক্ষণের জন্য ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন পরিজনরা। নিজস্ব চিত্র।