Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটের দফার সঙ্গে বাড়ছে মমতার গুরুত্ব
হারাধন চৌধুরী

‘ইন্ডিয়া’ জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি। নামকরণও তাঁর। এহেন ‘মহাজোট’কে গেরুয়া শিবির কখনও ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকেনি, পরিবর্তে ‘ইন্ডি’ নামেই কটাক্ষ করেছে, যার সঙ্গে সংস্কৃত ‘পিণ্ড’ শব্দের কথ্যরূপ ‘পিণ্ডি’র মিল রয়েছে। বলা বাহুল্য, ‘পিণ্ডি’ একটি নেতিবাচক শব্দ, কারও সর্বনাশ ঘটানো বোঝাতেই শব্দটির বহুল ব্যবহার হয়ে থাকে—যেমন ‘পিণ্ডি চটকানো’। পরিতাপের বিষয়, মমতা-বিরোধিতায় সুপরিচিত কোনও কোনও মিডিয়াও বিজেপির মতোই ‘ইন্ডিয়া’ জোট বোঝাতে ‘ইন্ডি’ বলে থাকে। এনডিএ-বিরোধী এই জোট সম্পর্কে তাচ্ছিল্যের প্রকাশ বেড়েছে ডিগবাজিতে নিজের রেকর্ড ভাঙায় অনবদ্য নীতীশ কুমারের সৌজন্যে [গতবছরই এই নীতীশের স্বতঃপ্রণোদিত ঘোষণা ছিল, ‘মর যানা কবুল হ্যায় লেকিন উনকে (ভাজপা) সাথ যানা হামকো কভি কবুল নেহি হ্যায়!]। মহাজোট হিসেবে ‘ইন্ডিয়া’ যখন প্রায় পেকে উঠেছে, ঠিক তখনই নীতীশ ফের সেবন করে বসেন বিজেপির এগিয়ে দেওয়া হাতে তামাকু। অন্যদিকে, বাংলাতেও যাতে ‘ইন্ডিয়া’ কোনোভাবেই সফল হতে না-পারে তার জন্যও সক্রিয় হল বিজেপি। অন্তত এরাজ্যে মমতার পক্ষে সিপিএমের হাত ধরা যে কোনোভাবেই সম্ভব নয়, তা সকলেই জানেন। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে সিট অ্যাডজাস্টমেন্টের সুযোগ সবসময়ই ছিল, তবু ফাইনালি তা হল না। মমতা বাধ্য হলেন বাংলার ৪২টি আসনেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দিতে। 
এই পরিস্থিতির দায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারেন না। ‘অধীরের কারণেই বাংলায় ভাঙন ইন্ডিয়ায়’ মমতার পাশে দাঁড়িয়ে সাফ দুষেছিলেন আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়ালও। অধীরের এই জোট-বিরোধী অবস্থানকে কংগ্রেস হাইকমান্ড যে কোনোভাবেই সমর্থন করেনি, তা অনেকদিন ধরেই টের পাওয়া যাচ্ছিল। প্রথম বোঝা গিয়েছিল, এবছর জানুয়ারির শেষদিনে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’র উপর রাজনৈতিক ‘হামলা’র প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতৃত্বের নীরবতায়। অধীরের অভিযোগ ছিল, রাহুলের কর্মসূচি বিহার থেকে বাংলায় প্রবেশের পরই, মালদহের গ্রামে আক্রান্ত হয়। ইট মেরে ভেঙে দওয়া হয় নাকি তাঁর গাড়ির পিছনের কাচ! অধীরের অভিযোগের তির স্পষ্ট ছিল তৃণমূলের দিকেই, ‘বুঝে নিন কে ভাঙতে পারে?’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘যত রকমের বিরোধিতা করা যায়, হয়েছে। কোচবিহার থেকেই এই অসহযোগিতার শুরু।’ কংগ্রেসকে সরকারি অতিথিশালা কিংবা স্টেডিয়াম বরাদ্দ নিয়েও ‘বঞ্চনা’র প্রসঙ্গ তোলা হয়। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা এই যে, রাহুলের গাড়িতে ‘হামলা’র ঘটনার অব্যবহিত পরই কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। কিন্তু অধীরের অভিযোগ নিয়ে সেখানে একটিও শব্দ খরচ করেননি তিনি! এমনকী, তাঁর বক্তব্যের শেষে জয়রাম মাইকটা যাঁকে এগিয়ে দেন, সেই কানাইয়া কুমারও উচ্চবাচ্য করেননি প্রসঙ্গটি নিয়ে। তিনি বরং বেকারত্ব এবং অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যার নিরসনে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে মোদি ও বিজেপির মুণ্ডপাত করেন। 
বলা বাহুল্য, তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছিল, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজ্যের শাসক দল এবং বাংলার কোনও সম্পর্ক নেই। রাহুলের গাড়িতে অপ্রীতিকর, অবাঞ্ছিত তেমন কিছু ঘটে থাকলে তা ঘটেছে তিনি বাংলায় প্রবেশের আগেই। কিন্তু তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এবং প্রশাসনকে দোষারোপ করার ব্যাপারে অনড় ছিলেন অধীর। দুধ আর জল দ্রুত আলাদা হওয়ার পরও, দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে সব মিলিয়ে, কংগ্রেস হাইকমান্ডের ধারাবাহিক নীরবতায় অধীরের বক্তব্যই খারিজ হয়ে যায় সেদিন এবং দিল্লির সিলমোহর পড়ে মমতার জোট আন্তরিকতার উপর। দলের লোকসভার নেতার পাশে দাঁড়িয়ে, মমতার সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব বৃদ্ধিতে হাইকমান্ড কতটা নারাজ, তার প্রমাণ মেলে অধীরের নির্বাচনী প্রচার সভায় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতিতে! সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কা দূর—দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও আসেননি নিয়মরক্ষার্থে। এই জিনিস অতীতে কখনও ঘটেছে বলে মনে পড়ে না।
পরে অধীর শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইলেও রাজনৈতিক মহলের সামনে যা আলগা হয়ে যাওয়ার তা  হয়ে গিয়েছিল তখনই, এবং গুছিয়েই। সাধারণ মানুষেরও ঝুঝতে যেটুকু বাকি ছিল সেটুকু পরিষ্কার করে দিলেন গত শনিবার খাড়্গে স্বয়ং। মুম্বইতে মিডিয়ার প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়ে দেন, মমতা ইন্ডিয়া শিবিরেই রয়েছেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউই নন অধীর। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং হাইকমান্ডই এই ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন। এরপরই অধীরের নাম না-করে তিনি শোনান আরও কর্কশ বার্তা, ‘সেই সিদ্ধান্ত যাঁরা মানতে পারবেন না, তাঁরা দল ছেড়ে বেরিয়ে যান।’ কংগ্রেস হাইকমান্ড এটাও পরিষ্কার করে দেন, মমতা ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম প্রধান কাণ্ডারী। এই জোটের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা প্রতি দফা ভোটগ্রহণের পর বেড়ে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলকে গুরুত্বপূর্ণ আসন দিয়েই যে সোনিয়া গান্ধীর পার্টি আগামী মাসে নতুন সরকার গড়ার ব্যাপারে আন্তরিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছে, ঘটনা পরম্পরা থেকে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। 
উনিশের ভোটে বিজেপি (৩৭.৩৬ শতাংশ), এমনকী এনডিএ (৪৫ শতাংশ) আহামরি ভোট না-পাওয়া সত্ত্বেও মোদিকে ‘অভাবনীয় সাফল্যের জাদুকর’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন অনেকে। কিন্তু বিজেপি জানত, সেই ‘সাফল্য’ আদৌ মোদির ছিল না, তিনি অট্টহাসিতে যে ফসল দু’হাতে গোলায় ভরেছিলেন তা ছিল স্রেফ কংগ্রেস নেতৃত্বের সীমাহীন ব্যর্থতা এবং বিরোধী অনৈক্যের দান। তাই মাস দশেক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ও পরিকল্পনায় ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স’, সংক্ষেপে ‘ইন্ডিয়া’ মহাজোট তৈরি হতেই ‘মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল’ অবস্থা হয় বিজেপির। ‘ইন্ডিয়া’ নামটির কী সাংঘাতিক আতঙ্ক মোদিকে গ্রাস করেছিল, তা সারা দুনিয়া চাক্ষুষ করেছে গত সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে। যে-দেশকে এই গ্রহের সকলে ‘ইন্ডিয়া’ নামে চেনে, তাদের সামনে তুলে ধরা হল শুধু আমাদের ‘ভারত’ পরিচয়! সেই শুরু, বিরোধীদের মহাজোটকে নস্যাৎ করার জন্য অতঃপর ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি মুখে নিতেই তীব্র অ্যালার্জির প্রকাশ দেখালেন মোদিবাবুরা, দিনরাত দুরমুশ চলছে ‘ইন্ডি’কে! 
বোঝাই যায়, বিরোধী নেতৃত্বের মধ্যে স্বয়ং মোদির এক নম্বর চক্ষুশূল নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার ‘দিদি’—রাহুল গান্ধী বা মল্লিকার্জুন খাড়্গের নামেও তিনি এবং তাঁর বাজনদাররা সিঁদুরে মেঘ দেখেন না। হ্যাটট্রিকের পথের কাঁটার ‘বদনাম’ করে যাওয়ার প্ল্যানটা তাঁদের তাই শুরুর দিনের, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই। ইস্যু হিসেবে ‘দুর্নীতি’র সলতে পাকানো চলেছে উনিশে রামধাক্কা খাওয়া থেকেই। এবারের ভোটের আগে নয়া সংযোজন ‘সন্দেশখালি’—মানে নারীর অপমানের মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। মোদি-শাহ-যোগীদের সৌজন্যে সন্দেশখালি এখন ন্যাশনাল ইস্যু! কিন্তু ক্যালেন্ডারের পাতা ৪ জুনের দিকে যত গড়াচ্ছে, তত ফিকে হয়ে আসছে দেশে ‘চারশো পার’ কিংবা ‘বাংলায় ৩৫ উইকেট’ তুলে নেওয়ার গপ্পো। একদিকে, ভুরু কুঁচকে দিচ্ছে ভোটের নিম্নমুখী হার, অন্যদিকে, মিলেছে আন্দোলনরত কৃষকদের ‘বিজয় জমায়েত’-এর জব্বর প্রস্তুতির খবর! 
এই অবস্থায় কারও পক্ষেই মাথা ঠিক থাকার কথা নয়, তিনি নরেন্দ্র মোদি হলে তো মোটেই নয়। তাই ভাষার ব্যবহারে অসংযম বাড়ছে প্রতিদিন। ১৬ মে, সুদূর ইউপিতে আজমগড়ের মঞ্চ থেকেও মমতাকে লক্ষ্য করে বাণ নিক্ষেপ করেছেন মোদি, ‘কোই মাঈ কা লাল সিএএ বাতিল করতে পারবে না!’ সপার অখিলেশ যাদবকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি এখন পশ্চিমবঙ্গ থেকে নতুন ‘বুয়া’ আমদানি করেছেন, যে-টিএমসি ইউপির বাসিন্দাদের বাংলায় ‘বহিরাগত’ বলে তার নেত্রী তিনি!’ 
বিজেপি ‘রেউড়ি’ সংস্কৃতিকে দু’বেলা ধুয়ে দিয়েছে দীর্ঘকাল। এমনকী মুফতে সরকারি অর্থ বিতরণ বন্ধে একদিন আইন তৈরিরও ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। আমরা জানি, গরিব এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে উপরে টেনে তুলতে মমতার সরকার কতখানি দরাজ। মোদিবাবুদের ক্রোধটা সেখানেই। বিনাপয়সায় চাল খেয়ে, মাসে মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ঘরে তুলে এবং কৃষক ভাতা, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীতে লাগাতার উপকৃত হয়ে বাংলার মানুষের এমন ‘বদঅভ্যাস’ হয়ে গিয়েছে যে তাঁরা মমতার বাইরে কারও দিকেই তাকান না। তাই সেই মোদি এবং তাঁর পার্টি মত বদলে ক্রমে আস্থা বাড়িয়ে চলেছেন আবর্জনার স্তূপে নিক্ষিপ্ত রেউড়িতেই। গত বিধানসভার ভোটে মধ্যপ্রদেশে বিজেপির কামালের রহস্য এটাই নয় কি? আহা, ওই জাদুটাই যদি লোকসভায় হ্যাটট্রিকের কসরতেও ফলে যায়! 
মাথা খারাপ হলে আরও যা যা করা সম্ভব, সবই করছেন মোদিরা—মমতার ক্ষতি করার জন্য আপত্তিকর বিজ্ঞাপন ছড়াচ্ছেন। গেরুয়া মঞ্চ থেকে, বাংলায় তো বটেই, দেশজুড়ে কটাক্ষ করা হচ্ছে মমতার সম্প্রীতি-সৌহার্দ্যের রাজনীতিকে। সনাতন সাধুসন্তদের একাংশকেও মমতার বিরুদ্ধে উসকে দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং! অন্যদিকে, বঙ্গ বিজেপির ‘ভগীরথ’ আবার দাবি করছেন, মমতায় মজে কেউ যদি মোদিকে ভোট দিতে ভুলে যান তিনি পাপের ভাগীদার হবেন! কেন? মোদিই নাকি কলির রাম! 
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

21st  May, 2024
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
একনজরে
কথায় বলে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। সেই বিশ্বাস কতটা গভীর হলে দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ হাঁটা যায়! শিবভক্ত ধনতাজ সাঙ্গালাঙ্ঘি এই বিশ্বাসে ভর ...

‘আপনার ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট হয়নি। অফিসে এসে যোগাযোগ করবেন। এখন এটি বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে।’ সম্প্রতি এমন ফোন পেয়েছেন গরফার বাসিন্দা অবিনাশ ভট্টাচার্য। গরফা রোডে ...

সিপিএমকে ভোট দিয়ে লাভ কী হবে? সিপিএমের ক্ষমতা নেই বিজেপিকে আটকানো। সিপিএমকে ভোট দিয়ে তৃণমূলের ভোট কাটা গেলে লাভ হবে বিজেপির। সিপিএম এখন বিজেপির পক্ষে ...

দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় পথবাতি জ্বলছে না। নিকাশি নালার কাজের জন্য বিদ্যুতের খুঁটি সহ পথবাতি খুলে ফেলা হয়। কিন্তু কাজ শেষের পর খুঁটিগুলি আর বসানো হয়নি। বসেনি পথবাতিও। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জীব বৈচিত্র্য দিবস
১৫৪৫: সম্রাট শেরশাহের মৃত্যু
১৭৭২: রাজা রামমোহন রায়ের জন্ম
১৮০৩: কানেকটিকাটে প্রথম পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন
১৮২২: লেখক ও সমাজকর্মী কিশোরীচাঁদ মিত্রর জন্ম
১৮৫৯: গোয়েন্দা শার্লক হোমসের স্রস্টা স্কটিশ সাহিত্যিক আর্থার কোনান ডয়েলের জন্ম
১৮৮৫: ফরাসি সাহিত্যিক ভিক্টর হুগোর মৃত্যু
১৮৯৭: টেমস নদীর তলদেশে ব্লাক ওয়াল টানেল আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়
১৯৪০: ক্রিকেটার এরাপল্লি প্রসন্নর জন্ম
১৯৪৬: আইরিশ ফুটবলার জর্জ বেস্টের জন্ম
১৯৫০: কিংবদন্তি বাঙালি মঞ্চাভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭২: সিলোনের নাম শ্রীলঙ্কা রাখা হয়
২০০৪: ১৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ডঃ মনমোহন সিংয়ের শপথ গ্রহণ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৯ টাকা ৮৪.২৩ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৮ টাকা ১০৭.৬৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৯২ টাকা ৯২.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ২২ মে, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৪/৩৫ রাত্রি ৬/৪৮। স্বাতী নক্ষত্র ৭/৩ দিবা ৭/৪৭। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৪৬, সূর্যাস্ত ৬/৮/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৭ মধ্যে পুনঃ ১/৪৫ গতে ৫/১৬ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ১/২১ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। 
৮ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ২২ মে, ২০২৪। চতুর্দশী সন্ধ্যা ৬/৪। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ৭/২৪। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ১/৫০ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ১/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৫ গতে ৯/৫৫ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
১৩ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: বেঙ্গালুরুকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল রাজস্থান

11:38:44 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১৬০/৬ (১৮ ওভার), টার্গেট ১৭৩

11:32:50 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১২৬/৪ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৩

11:03:45 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট জুরেল, রাজস্থান ১১২/৪ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৭৩

10:59:05 PM

আইপিএল: ১৭ রানে আউট স্যামসন, রাজস্থান ৮৬/৩ (১০ ওভার), টার্গেট ১৭৩

10:40:08 PM

আইপিএল: ৪৫ রানে আউট জয়সওয়াল, রাজস্থান ৮১/২ (৯.২ ওভার), টার্গেট ১৭৩

10:35:21 PM