Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন।
তিনি এমন একজন শক্তিশালী নেতা যে, তাঁর একার তাঁবে রয়েছেন লোকসভার ৩০৩ জন সদস্য এবং বারোটি রাজ্যে এক ডজন মুখ্যমন্ত্রী। ওই মুখ্যমন্ত্রীরা নিজ নিজ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিজেপির একার পক্ষে ৩৭০ এবং এনডিএ’র পক্ষে মোট ৪০০-র বেশি আসন জয়ের জন্য তাঁর লড়াইটা তো একতরফা বা ভীষণ সহজ হওয়া উচিত ছিল। যাই হোক, যেহেতু বিজেপি নেতারাই ব্যক্তিগতভাবে মানছেন যে, ৩৭০ বা ৪০০+ আসন জেতা তাদের পক্ষে আর সম্ভব নয়, অতএব বিজেপি মোটামুটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই তাঁরা এখন খুশি।
কেন এই গিয়ার বদল?
নরেন্দ্র মোদি আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ়তার সঙ্গেই তাঁর প্রচার শুরু করেছিলেন। এর মধ্যে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশিত হল ৫ এপ্রিল। মোদিজি তখন সেটি উপেক্ষা করেন অত্যন্ত তাচ্ছিল্য ভরে। বিজেপির ইস্তাহারটি প্রকাশ করা হল ১৪ এপ্রিল। কেন্দ্রীয় শাসক দলের ইস্তাহার দেরিতে প্রকাশিত হলেও, ‘সেলিব্রেশন’ দূর তার বক্তব্য নিয়েও জনগণের মধ্যে প্রচারের কোনও প্রচেষ্টা দেখা গেল না। ইস্তাহারটির শিরোনাম অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’। বিষয়বস্তু এড়িয়ে মোদিজি কোনও সমাবেশে তাঁদের ইস্তাহার সম্পর্কে শুধু বললেন, ‘এটা মোদির গ্যারান্টি’। মোদি এ পর্যন্ত ঠিক কত যে ‘গ্যারান্টি’ দিয়েছেন তা গুনেগেঁথে রাখা আমার সাধ্যে কুলোয়নি। যাইহোক, আপাতত এটাই দাঁড়াচ্ছে যে মাননীয় মোদি—(১) বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান বা নতুন চাকরির ব্যবস্থা এবং (২) জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলা বা বেলাগাম মুদ্রাস্ফীতি রোখার ব্যাপারে কোনও ‘গ্যারান্টি’ দেননি। এই দুটি সমস্যাই সাধারণ মানুষের সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়। নরেন্দ্র মোদি ইচ্ছাকৃতভাবে আরও কিছু কথা বলেননি, যেগুলি একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচনের সময় তাঁর বলা উচিত ছিল। যেমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, উন্নয়ন, কৃষির সঙ্কট, শিল্পক্ষেত্রের রুগ্নতা, বহুমাত্রিক দারিদ্র্য, আর্থিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় ঋণ, পারিবারিক ঋণ, শিক্ষার মান, স্বাস্থ্য পরিষেবা, ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে চীনের দখলদারি। ওইসঙ্গে রয়েছে আরও শ’খানেক গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
প্রথম দফায় ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে ১৯ এপ্রিল। সম্ভবত, ২১ এপ্রিল কিছু একটা মালুম হয়েছিল মোদিজির। অতএব, রাজস্থানের জালোর ও বনসওয়ারার জনসভা থেকে সেদিনই কংগ্রেসের উপর চূড়ান্ত রকমের আক্রমণ শুরু করে দিলেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি বললেন, ‘কংগ্রেস বামপন্থী এবং শহুরে নকশালদের খপ্পরে পড়ে গিয়েছে। ভোটের ইস্তাহারে কংগ্রেস যা বলেছে তা অত্যন্ত গুরুতর এবং উদ্বেগজনক বিষয়। তারা বলেছে, কংগ্রেস সরকার গঠন করলে প্রত্যেক ব্যক্তির সম্পত্তির জরিপ করা হবে। আমাদের বোনেরা কত সোনাদানার মালিক এবং সরকারি কর্মচারীদের কত টাকা আছে, খতিয়ে দেখা হবে সেসবও। তারা আরও বলেছে যে, আমাদের বোনদের মালিকানাধীন সোনাদানা সমানভাবে বিতরণ করে দেওয়া হবে। আপনার সম্পত্তি সরকারের নিয়ে নেওয়ার অধিকার আছে কি?’ আমরা কেবল অনুমান করতে পারি যে, ১৯ ও ২১ এপ্রিলের মধ্যে মাননীয় মোদি এমন কিছু তথ্য (ইন্টেলিজেন্স বা গোয়েন্দা সূত্রে?) পেয়েছেন, যা তাঁকে গিয়ার পাল্টাতে বাধ্য করেছে।
কেন মিথ্যা এবং আরও মিথ্যা?
উপরের অনুচ্ছেদে যতগুলি অভিযোগের উল্লেখ করা হল, তার প্রতিটিই  মিথ্যা। দিন যত গড়াচ্ছে, মিথ্যা আরও বড় এবং আপত্তিকর হয়ে উঠেছে। ‘সম্পত্তি’ থেকে ‘সোনাদানা’ থেকে ‘মঙ্গলসূত্র’ থেকে ‘স্ত্রীধন’ থেকে ‘বাড়িঘর’—নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছেন যে কংগ্রেস তাদের এসবই বাজেয়াপ্ত করবে এবং অতঃপর সেগুলি বিতরণ করে দেবে মুসলমান, অনুপ্রবেশকারী ও যাদের বেশি সন্তান রয়েছে তাদের মধ্যে। অন্য একটি সমাবেশে  নরেন্দ্র মোদি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ধর্মভিত্তিক কোটা এবং উত্তরাধিকার কর নিয়ে। অন্তহীন মিথ্যা বলে গিয়েছেন তিনি। এমনকী ‘মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর’ আরোপের মতো একটি অর্থনৈতিক ভাবনাও ছুড়ে দিয়েছেন মাননীয় মোদি। তিনি বলেছেন যে, যদি একজন ব্যক্তির দুটি মহিষ থাকে তবে তার থেকে একটি কেড়ে নেওয়া হবে।
তাৎক্ষণিক উদ্দেশ্যটা ছিল পরিষ্কার। কী সেটি? ভারতীয় মুসলমানদের কালিমালিপ্ত করে ভোটারদের মধ্যে মেরুকরণ ঘটানো এবং  হিন্দু ভোটদাতাদের এক জায়গায় নিয়ে আসা।
প্রধানমন্ত্রী কী কী মিথ্যা বলছেন, তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে—প্রধানমন্ত্রী কেন এমন মিথ্যাচার করছেন? উল্লেখ্য, একটিমাত্র মিথ্যা নয়, এটি ছিল ‘স্ট্রিং অব লাইজ’ এবং এই মিথ্যাচার চলছেই! একজন প্রধানমন্ত্রী যিনি ৩৭০ বা ৪০০+ আসন জয়ের ব্যাপারে সত্যিই আত্মবিশ্বাসী, তিনি তাঁর প্রতিপক্ষদের উপর এমন বেপরোয়াভাবে মিথ্যা দায় চাপিয়ে দেবেন না। তিনি তো তাঁর রেকর্ড সাফল্যের ভিত্তিতে বিরোধী দলগুলিকে বিতর্কে জড়াবেন। নরেন্দ্র মোদির সম্বল ও পছন্দ কিছু মিথ্যাচার, তাঁর সাফল্যের খতিয়ান নয়।
কেন আত্ম-সন্দেহ?
ধরা যাক, মাননীয় মোদি ইভিএমে বন্দি লুকনো রহস্যটা জানেন। তাহলে তাঁর উদ্বিগ্ন হওয়ার যুক্তি থাকতে পারে, কারণ বাস্তব পরিস্থিতিটা ২০১৯ সালের থেকে বেশ আলাদা। প্রথমত, মাননীয় মোদি নির্বাচনের ন্যারেটিভটা স্থির করতে পারছেন না। কোনও বিতর্কের সূচনা করছেন না তিনি, কেবল কংগ্রেসের ইস্তাহার নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন, যদিও সেটা নিখাদ কাল্পনিক। দ্বিতীয়ত, কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে তাঁর প্রতিশ্রুতি তিনি মেলাতে এবং ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছেন না। তৃতীয়ত, বিজেপির একঘেয়ে স্লোগান দেশবাসীকে ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত করে তুলছে। তবু ‘আচ্ছে দিন আনেবালে হ্যায়’ গোছের একটি নতুন আকর্ষণীয় স্লোগান মোদিজি তৈরি করতে পারছেন না। চতুর্থত, ভোট পড়ছে কম হারে। এই ঘটনা তাঁকে নার্ভাস করে থাকতে পারে। কারণ এর মধ্যে এমন একটি ইঙ্গিত তিনি পেতে পারেন যে, তাঁর বহু অনুগত বা ভক্ত ভোটদাতাও ভোট কেন্দ্রে যাননি। সবশেষে, বুথগুলিতে আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকদের অনুপস্থিতি এবং সঙ্ঘের শীর্ষ নেতৃত্বের নীরবতায় বিজেপি শিবিরে বিপদের ঘণ্টা বেজে উঠতে পারে।
এর থেকে এটাই অনুমান হচ্ছে যে, কংগ্রেস এবং অন্য বিরোধী দলগুলি এবার উল্লেখযোগ্যভাবে লাভবান হবে। বিরোধীদের এহেন ‘লাভ’ বিজেপির জন্য ‘নিখাদ ক্ষতি’ হয়ে উঠবে কি না, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। সম্ভবত, নরেন্দ্র মোদি আরও কঠিন বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়েছেন, যার মোদ্দা বিচার এটাই হতে চলেছে যে, চব্বিশের ভোটে কোনও রাজ্যেই বিজয়ী পক্ষ সবটা একা ঘরে তুলে নিয়ে যেতে পারবে না—অর্থনীতির পরিভাষায় যাকে ‘উইনার-টেক-অল’ পরিস্থিতি বলে। একমাত্র ব্যতিক্রম ঘটতে পারে গুজরাতে। মোদিজি হয়তো এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, তাঁর অধরা ‘লাভ’ নয় বরং সম্ভাব্য ‘নিখাদ ক্ষতি’রই খতিয়ান নেওয়া উচিত। এই চিন্তাই হতে পারে তাঁর উদ্বেগের কারণ। আর সেই উদ্বেগই রূপান্তরিত হচ্ছে মিথ্যাচারে।
জনগণ কী বুঝে, কাকে ভোট দেবে—সে সম্পর্কে আমি কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারছি না। তবে একটি ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে, মাননীয় মোদির মিথ্যাচার জনগণ দেখতে পাচ্ছে এবং জনগণ ভাবছে, একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন!
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
13th  May, 2024
ভোটের দফার সঙ্গে বাড়ছে মমতার গুরুত্ব
হারাধন চৌধুরী

‘ইন্ডিয়া’ জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি। নামকরণও তাঁর। এহেন ‘মহাজোট’কে গেরুয়া শিবির কখনও ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকেনি, পরিবর্তে ‘ইন্ডি’ নামেই কটাক্ষ করেছে, যার সঙ্গে সংস্কৃত ‘পিণ্ড’ শব্দের কথ্যরূপ ‘পিণ্ডি’র মিল রয়েছে। বিশদ

উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

21st  May, 2024
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
একনজরে
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় পথবাতি জ্বলছে না। নিকাশি নালার কাজের জন্য বিদ্যুতের খুঁটি সহ পথবাতি খুলে ফেলা হয়। কিন্তু কাজ শেষের পর খুঁটিগুলি আর বসানো হয়নি। বসেনি পথবাতিও। ...

সিপিএমকে ভোট দিয়ে লাভ কী হবে? সিপিএমের ক্ষমতা নেই বিজেপিকে আটকানো। সিপিএমকে ভোট দিয়ে তৃণমূলের ভোট কাটা গেলে লাভ হবে বিজেপির। সিপিএম এখন বিজেপির পক্ষে ...

আইপিএলের শুরুর দিকে একেবারই ফর্মে ছিলেন না ২৪.৭৫ কোটির মিচেল স্টার্ক। তার জন্য কম গঞ্জনা শুনতে হয়নি অজি তারকাকে। তবে টুর্নামেন্ট যত গড়িয়েছে, ততই বল হাতে ধারালো হয়ে উঠেছেন বাঁ হাতি পেসার। মঙ্গলবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে হায়দরাবাদের মেরুদণ্ড ভেঙে নিন্দুকদের মোক্ষম ...

গাড়ির বেপরোয়া গতির বলি হতে হল ৩ ভারতীয় বংশোদ্ভূত পড়ুয়ার। আমেরিকার এই ঘটনায় গুরুতর আহত আরও দু’জন। আহত ও নিহতদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছর। তাঁরা সকলেই আলফারেটা হাইস্কুল ও জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জীব বৈচিত্র্য দিবস
১৫৪৫: সম্রাট শেরশাহের মৃত্যু
১৭৭২: রাজা রামমোহন রায়ের জন্ম
১৮০৩: কানেকটিকাটে প্রথম পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন
১৮২২: লেখক ও সমাজকর্মী কিশোরীচাঁদ মিত্রর জন্ম
১৮৫৯: গোয়েন্দা শার্লক হোমসের স্রস্টা স্কটিশ সাহিত্যিক আর্থার কোনান ডয়েলের জন্ম
১৮৮৫: ফরাসি সাহিত্যিক ভিক্টর হুগোর মৃত্যু
১৮৯৭: টেমস নদীর তলদেশে ব্লাক ওয়াল টানেল আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়
১৯৪০: ক্রিকেটার এরাপল্লি প্রসন্নর জন্ম
১৯৪৬: আইরিশ ফুটবলার জর্জ বেস্টের জন্ম
১৯৫০: কিংবদন্তি বাঙালি মঞ্চাভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭২: সিলোনের নাম শ্রীলঙ্কা রাখা হয়
২০০৪: ১৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ডঃ মনমোহন সিংয়ের শপথ গ্রহণ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৯ টাকা ৮৪.২৩ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৮ টাকা ১০৭.৬৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৯২ টাকা ৯২.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ২২ মে, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৪/৩৫ রাত্রি ৬/৪৮। স্বাতী নক্ষত্র ৭/৩ দিবা ৭/৪৭। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৪৬, সূর্যাস্ত ৬/৮/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৭ মধ্যে পুনঃ ১/৪৫ গতে ৫/১৬ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ১/২১ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। 
৮ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ২২ মে, ২০২৪। চতুর্দশী সন্ধ্যা ৬/৪। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ৭/২৪। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ১/৫০ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ১/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৫ গতে ৯/৫৫ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
১৩ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: বেঙ্গালুরুকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল রাজস্থান

11:38:44 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১৬০/৬ (১৮ ওভার), টার্গেট ১৭৩

11:32:50 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১২৬/৪ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৩

11:03:45 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট জুরেল, রাজস্থান ১১২/৪ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৭৩

10:59:05 PM

আইপিএল: ১৭ রানে আউট স্যামসন, রাজস্থান ৮৬/৩ (১০ ওভার), টার্গেট ১৭৩

10:40:08 PM

আইপিএল: ৪৫ রানে আউট জয়সওয়াল, রাজস্থান ৮১/২ (৯.২ ওভার), টার্গেট ১৭৩

10:35:21 PM