Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেই যে যেখানে মগজ ধোলাই কক্ষে সমস্ত জনগণের প্রতিনিধি হয়ে গুপি হীরক রাজার দিকে আঙুল তুলে বলছেন, ‘রাজা দুষ্টু, রাজা মন্দ, রাজা ধূর্ত, রাজা ভণ্ড, রাজা নীচ, রাজা ক্রূর, রাজা খল... রাজা আনে দেশে ঘোর অমঙ্গল। রাজা ধিক, রাজা ধিক। ...এইবার রাজা শোনো, জেনো নিস্তার নেই কোনও।’ তারপরই উদয়ন পণ্ডিত নতুন প্রজন্মের হাত ধরে হুঁশিয়ারি দেয়, ‘নাই কোনও পরিত্রাণ, হীরকের রাজা শয়তান।’ এর পরের দৃশ্যে দেখা যায়, সকলে মূর্তির মাঠে ছুটে যায়। সেখানে হীরক রাজার বর্ষপূর্তি উৎসবে তার বিশাল মূর্তির উন্মোচন হওয়ার কথা। উদয়ন পণ্ডিত সমস্ত মানুষকে একমন্ত্রে জাগিয়ে দিয়ে হাঁক দেয়, ‘দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান।’ সেখানে একসঙ্গে হাত মেলায় দেশের কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, ছাত্র, অমাত্য, এমনকী রাজা নিজেও। নতুন মন্ত্রে এক গণজাগরণ! 
কী অসাধারণ সাযুজ্য বর্তমান সময়ের সঙ্গে! মোদি সরকারের দশম বর্ষ পূর্তির প্রাক্কালে সারা দেশের মানুষের মধ্যে যে গণতন্ত্রের অগ্নিপরীক্ষা চলছে, সেখানে নিঃশব্দে আমরা এই গণজাগরণের পদধ্বনিই যেন শুনতে পাচ্ছি। তাই এবারের নির্বাচনে ট্যাগলাইন হতে পারে, ‘দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান।’ যে কোনও যুগে বা যে কোনও দেশে স্বৈরাচারী শাসকরা মানুষের মঙ্গল করতে পারেন না। এটা ইতিহাসে বারবার প্রতিষ্ঠিত। সোনার দেশ গড়তে গিয়ে মানুষ যে বড় দায়িত্ব নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দিয়েছিলেন, তিনি তা পালন করতে পারেননি। উল্টে দশ বছরে দেশের নানা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, চাকরি, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, গণতন্ত্র, সংবিধান সব লাটে তুলে দিয়ে তিনি হিন্দুত্বের জপমালা জপছেন। একনায়কতন্ত্র মানসিকতা নিয়ে বিরোধী রাজনীতিকে ধ্বংস করার খেলা খেলছেন। আর সর্বত্র অসত্য প্রচার করে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করে চলেছেন। 
দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। বিজ্ঞানকে ধ্বংস করে বৈদিক শিক্ষা চালুর চেষ্টা চলছে। সংবিধানকে ধ্বংস করে মনু সমাজের দিকে দেশকে নিয়ে যাওয়া চোরা চেষ্টা চলছে। ভুলে ভরা ইতিহাস ও বিজ্ঞান শিখিয়ে দেশের নতুন প্রজন্মকে বিপথগামী করার চেষ্টা চলছে। তাদের মনে বিষ সঞ্চারের চেষ্টা হচ্ছে। পাশ করার পর কোনও দিশা নেই! ধনীর ছেলেরা, নেতাদের সন্তানরা বিদেশ চলে যাবেন। আর আম জনতার সন্তানরা চাকরি না পেয়ে ‘হিন্দু-মুসলমান’ নিয়ে ঠেসাঠেসি করবে! ওদের মনে আর কত বিষবাষ্প ঢুকবে! একটা সময় ফ্যাসিজম, নাৎসিজমের ভয়ঙ্কর চেহারা আমরা দেখেছি। এখন দেখছি ‘মোদিজম’! ভয়াবহ সেই মতবাদ গত দশ বছর ধরে দেশটাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। দশ বছরই বা বলি কেন, ২০০২ সালের গোধরা কাণ্ড থেকেই সেই ইজমের বহিঃপ্রকাশ। আজ তা গোটা দেশকে গ্রাস করতে চলেছে।
কী পাওয়া গেল এই দশ বছরে? চাকরিহীন যুবক, উপার্জনহীন যৌবন, চাকরিচ্যূত মধ্যবিত্ত, অন্নহীন নিচুতলার মানুষ, লাঞ্ছিত নারী, স্বপ্নহীন ভারত, বিষাক্ত আবহাওয়া, পরস্পরের প্রতি ঘৃণা। আরও আছে! যে প্রবীণ মানুষটি তাঁর চাকরি জীবনের সঞ্চয়টুকু ব্যাঙ্কে রেখে জীবনযাপন করতেন, তাঁর সমকালও এই সরকার নরক করে দিয়েছে। একদিকে ব্যাঙ্কের সুদ কমিয়ে তাঁকে আর্থিক দুর্দশার দিকে ঠেলে দিয়েছে, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে রেকর্ড জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। নিজেদের তহবিলে মোটা টাকার ভেট নিয়ে ওষুধের দেদার কালোবাজারি করতে সরকারি সিলমোহর মেরে দিয়েছে। হিটলার বলতেন, মানুষকে এমন নিষ্পেষণের মধ্যে রাখবে, যাতে একটু শ্বাস নিতে পারলে তার মনে হয়, এই তো বেশ ভালো আছি। অন্তত আগের থেকে তো ভালো।  তাই যখন গ্যাসের দাম চারশো টাকা বাড়িয়ে একশো টাকা কমানো হয়, আমরা বলি, দেখেছো, কী ভালো ব্যবস্থা! জ্বালানি তেলের দাম পঞ্চাশ টাকা বাড়িয়ে দু’ টাকা কমানো হলে আমাদের মনে হয়, এই তো রাজামশাই কত বড় প্রজাহিতৈষী! আবার যখন সোনার দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গিয়ে সাতশো টাকা কমে যায়, তখন অনেকেই বলেন, যাক বাবা, বিয়ের মরশুমে একটু সুবিধা হল। জুমলাতন্ত্রের মোহতে আবিষ্ট হলে যুক্তিজ্ঞান হারিয়ে যায়। আর এই যে ‘চান্দা দো ধান্ধা লো’ থিয়োরি, এটা হিটলারও চালু করেছিলেন। হিটলারের তহবিলে মোটা চাঁদা দিয়ে বেশ কিছু কোম্পানি তাঁর আশীর্বাদ পেতে চেয়েছিলেন। যেমন বিএমডব্লু, ডয়েশ ব্যাঙ্ক, ফক্সওয়াগন, মার্সেডিজ বেঞ্চ, পোর্সা প্রভৃতি। সেই ট্র্যাডিশন আজও চলে আসছে। 
এই মুহূর্তের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে কোনও ধর্মগোষ্ঠী নয়, কোনও সম্প্রদায় নয়, কোনও জাতপাতের অঙ্ক নয়, এবার দেশে সরকার গড়বে মহিলা এবং যুবশক্তি। তাঁরাই এই সরকারের আমলে সবথেকে বঞ্চিত শ্রেণি। যুবকদের কথা ধরা যাক। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি বা  সিএমআইই’র একটা হিসাবে দেখা গিয়েছে এদেশের ১৪০ কোটি মানুষের মধ্যে কাজ করার বয়স রয়েছে ১১০ কোটি মানুষের। এদের বলা হয় ওয়ার্কিং এজ গ্রুপ। এই সংখ্যার মধ্যে ৬৮ কোটি মানুষ বেকার। বাকিদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষের যা আয়, তাতে দু’বেলা পেট ভরে না। ওই হিসাবেই দেখা যাচ্ছে, গত আট বছরে অর্থাৎ মোদি জমানায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। অর্থাৎ যিনি বছরে দু’কোটি চাকরি দেওয়ার ধাপ্পা দিয়েছিলেন, তিনি বাস্তবে গড়ে বছরে এক কোটি মানুষের চাকরি খেয়ে নিয়েছেন। তার ফল যে কী মারাত্মক, তা শুনলে বুক কেঁপে উঠবে। প্রতি বছর শত শত অবসাদগ্রস্ত যুবক আত্মহত্যার পথকে বেছে নিচ্ছেন। মোদির মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই সংসদে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন যে, দেশে ৯ হাজারেরও বেশি যুবক চাকরি না পেয়ে অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন। মোদির ব্যর্থতা একটা প্রজন্মকে ক্রমেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই বেরোজগারি চিত্রই যেন নিরুচ্চারে বলে ওঠে, ‘রাজা ধিক, রাজা ধিক।’ তাই এখনই তো তাই দড়ি ধরে টান মারার সময়। নাহলে আরও বড় মূল্য দিতে হবে দেশের মানুষকে।  
মহিলাদের কথা ভাবুন। সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি এত কাঁদছে, কিন্তু প্রদীপের নীচে অন্ধকারে কতটা ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তা বোঝা যায়নি! পরে কী দেখা গেল? অভিযোগ উঠল, গরিব মহিলাদের হাতে দু’হাজার টাকা গুঁজে দিয়ে তাঁদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে ‘ধর্ষিতা’ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। অভিযোগ করছেন কারা? যাঁদের নিয়ে বিজেপি নোংরা খেলা খেলতে চেয়েছিল। এটা যে নারীজাতির প্রতি কতটা অপমান, তা ক্ষমতালোভীরা বুঝবেন না। শকুনির পাশা খেলায় সন্দেশখলির নারীরা যেন বিজেপির পাশার দান। অথচ  নরেন্দ্র মোদির মুখে মণিপুরের নাম নেই। মণিপুরের চিত্রাঙ্গদারা কীভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন, সারা বিশ্বের মানুষ দেখেছেন। যে সরকার মহিলাদের জন্য কাঁদে, সেই সরকারের অঙ্গুলি হেলনে ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তরা জেলের বাইরে কলার তুলে ঘুরে বেড়ায়। তাদের সরকারের প্রশ্রয়ে ধর্ষিতা মেয়েকে পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়। তাদের বিধায়কই ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে জেল খাটেন। তাদেরই নির্বাচিত রাজ্যপালের গায়ে লেগে যায় শ্লীলতাহানির কলঙ্কের অভিযোগ। আবার তিনিই রক্ষাকবচের জোরে গলা উঁচিয়ে নির্দেশ দেন, তদন্তে সহযোগিতা করা হবে না। 
হাওয়া যে বদলাচ্ছে, মানুষের মনে যে দড়ি ধরে টান মারার একটা ব্যাকুলতা তৈরি হয়েছে, সেটা রাজামশাই নিজেও বুঝেছেন। তাই তাঁকেও বেশ নার্ভাস দেখাচ্ছে। তাই বিভিন্ন মঞ্চে তিনি উল্টোপাল্টা বলছেন। সেসব বলে দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাঁর পদমর্যাদাকে খাটো করে তুলছেন। এসবই হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের অভাব থেকে। বাংলায় এসে কত প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বাংলাকে যাঁরা এতদিন ভাতে মারার চেষ্টা করেছেন, বাংলাকে নিয়ে যাঁরা এতদিন ব্যঙ্গ করেছেন, তাঁরাই আজ বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে গলায় গামছা দিয়ে করজোড়ে ভোট ভিক্ষা করছেন। 
দড়ি ধরে টান মারাটা গণতন্ত্রের একটা বড় শক্তি। অবশ্য তার একটা উপযুক্ত সময় থাকে। সেটা মিস করলে তার খেসারত দিতে হয় মানুষকেই। ২০১৯-এর নির্বাচনে পুলওয়ামা কাণ্ডের পর সহানুভূতির ভোটে মোদি জয়ের ডিঙা ভাসিয়েছিলেন। সেই কাণ্ডের কোনও তদন্ত রিপোর্ট আজও পাওয়া যায়নি। প্রমাণ করা যায়নি পাকিস্তানের চক্রান্ত। এভাবে নেপোয় দই মারার ঘটনা এবার ঘটবে না। তাই শেষ পর্বের নির্বাচনী ভাষণে মোদির গলায় বিষণ্ণতার সুর। বিসর্জনের বাদ্যি তিনিও শুনতে পাচ্ছেন কি?  
15th  May, 2024
ভোটের দফার সঙ্গে বাড়ছে মমতার গুরুত্ব
হারাধন চৌধুরী

‘ইন্ডিয়া’ জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি। নামকরণও তাঁর। এহেন ‘মহাজোট’কে গেরুয়া শিবির কখনও ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকেনি, পরিবর্তে ‘ইন্ডি’ নামেই কটাক্ষ করেছে, যার সঙ্গে সংস্কৃত ‘পিণ্ড’ শব্দের কথ্যরূপ ‘পিণ্ডি’র মিল রয়েছে। বিশদ

উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

21st  May, 2024
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
একনজরে
‘আপনার ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট হয়নি। অফিসে এসে যোগাযোগ করবেন। এখন এটি বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে।’ সম্প্রতি এমন ফোন পেয়েছেন গরফার বাসিন্দা অবিনাশ ভট্টাচার্য। গরফা রোডে ...

কথায় বলে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। সেই বিশ্বাস কতটা গভীর হলে দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ হাঁটা যায়! শিবভক্ত ধনতাজ সাঙ্গালাঙ্ঘি এই বিশ্বাসে ভর ...

গাড়ির বেপরোয়া গতির বলি হতে হল ৩ ভারতীয় বংশোদ্ভূত পড়ুয়ার। আমেরিকার এই ঘটনায় গুরুতর আহত আরও দু’জন। আহত ও নিহতদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছর। তাঁরা সকলেই আলফারেটা হাইস্কুল ও জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। ...

ভগবানগোলা বিধানসভা উপনির্বাচনে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। গত বিধানসভা নির্বাচনে এক লক্ষের বেশি মার্জিনে জয়লাভ করেছিলেন তৃণমূলের ইদ্রিশ আলি। সেই মার্জিন ধরে রাখতে না পারলেও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জীব বৈচিত্র্য দিবস
১৫৪৫: সম্রাট শেরশাহের মৃত্যু
১৭৭২: রাজা রামমোহন রায়ের জন্ম
১৮০৩: কানেকটিকাটে প্রথম পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন
১৮২২: লেখক ও সমাজকর্মী কিশোরীচাঁদ মিত্রর জন্ম
১৮৫৯: গোয়েন্দা শার্লক হোমসের স্রস্টা স্কটিশ সাহিত্যিক আর্থার কোনান ডয়েলের জন্ম
১৮৮৫: ফরাসি সাহিত্যিক ভিক্টর হুগোর মৃত্যু
১৮৯৭: টেমস নদীর তলদেশে ব্লাক ওয়াল টানেল আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়
১৯৪০: ক্রিকেটার এরাপল্লি প্রসন্নর জন্ম
১৯৪৬: আইরিশ ফুটবলার জর্জ বেস্টের জন্ম
১৯৫০: কিংবদন্তি বাঙালি মঞ্চাভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭২: সিলোনের নাম শ্রীলঙ্কা রাখা হয়
২০০৪: ১৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ডঃ মনমোহন সিংয়ের শপথ গ্রহণ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৯ টাকা ৮৪.২৩ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৮ টাকা ১০৭.৬৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৯২ টাকা ৯২.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ২২ মে, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৪/৩৫ রাত্রি ৬/৪৮। স্বাতী নক্ষত্র ৭/৩ দিবা ৭/৪৭। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৪৬, সূর্যাস্ত ৬/৮/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৭ মধ্যে পুনঃ ১/৪৫ গতে ৫/১৬ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ১/২১ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। 
৮ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ২২ মে, ২০২৪। চতুর্দশী সন্ধ্যা ৬/৪। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ৭/২৪। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ১/৫০ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ১/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৫ গতে ৯/৫৫ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
১৩ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: বেঙ্গালুরুকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল রাজস্থান

11:38:44 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১৬০/৬ (১৮ ওভার), টার্গেট ১৭৩

11:32:50 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১২৬/৪ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৩

11:03:45 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট জুরেল, রাজস্থান ১১২/৪ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৭৩

10:59:05 PM

আইপিএল: ১৭ রানে আউট স্যামসন, রাজস্থান ৮৬/৩ (১০ ওভার), টার্গেট ১৭৩

10:40:08 PM

আইপিএল: ৪৫ রানে আউট জয়সওয়াল, রাজস্থান ৮১/২ (৯.২ ওভার), টার্গেট ১৭৩

10:35:21 PM