Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। দু’দিন আগেও বাংলায় এসে গেরুয়া নেতারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার হুমকি দিতেন। ছলেবলে তোপ দাগতেন—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খয়রাতি নীতির উদ্দেশে, কোটি কোটি টাকার অপব্যয় নিয়ে। ছোট-বড় জনসভা থেকে হুমকিও দেওয়া হতো, ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ‘দুর্নীতি’র পর্দা ফাঁস করে দেওয়ার। অন্যদিকে, সপ্তাহ তিনেক আগে নরেন্দ্র মোদি রাজস্থানের এক জনসভা থেকে মুসলিমদের শুধু অশালীন ভাষায় তোপই দাগেননি, যে-ভাষায় কথা বলেছেন তা অন্তত দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখের ভাষা হতে পারে না। কিন্তু আচমকা চার দফায় পৌনে চারশো আসনে ভোট হয়ে যাওয়ার পর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ভুল সংশোধনের প্রতিযোগিতা দেখেই মনে কু ডাকছে। প্রথমে বিভাজন করেছেন তিনি। তারপর তিনিই আবার দাবি করছেন, বিভাজন করা আমার কাজ নয়! এ কী ধরনের নাকে কান্নার প্রদর্শনী? ভোট বড় বালাই জানতাম, কিন্তু এত বড় বালাই যে মানসিক ভারসাম্যটুকুও থাকতে নেই! একবার বলছেন, হিন্দু-মুসলিম করি না, পরক্ষণেই বুক বাজিয়ে আবার সেই পুরনো উল্টো তাস খেলছেন! কী মনে করেন প্রধানমন্ত্রী, দেশের ১৪০ কোটি জনগণ বুদ্ধু, যখন যা বলবেন তাই বেদবাক্য? আপনার গত একমাসের বক্তব্যের চড়াই-উতরাই সব কিন্তু জনগণ দেখছে। আর কোনটা ঠিক, আর কোনটা বেঠিক খুঁজে খুঁজে লজ্জার হাজার ফুট গভীর গর্তে সেঁধিয়ে যাচ্ছে।
নিঃসন্দেহে এবারের ভোটে গেরুয়া শিবিরের প্রচারের মুখ দু’জনই, ‘বিশ্বগুরু’ নরেন্দ্র মোদি ও ‘স্ট্রংম্যান’ অমিত শাহ। বাকিরা জাস্ট এলেবেলে। অমিত শাহ গত মঙ্গলবার বঙ্গে প্রচারে এসে উলুবেড়িয়ায় বলেছেন, বাংলায় জিতে এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পরিমাণ বর্তমান এক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১০০ করা হবে। অর্থাৎ ১০০ টাকা বাড়বে। একে কী বলবেন, কটাক্ষ, নাকি বঙ্গের ভোটে খুব একটা সুবিধা হচ্ছে না দেখে চূড়ান্ত হতাশার বহিঃপ্রকাশ? প্রথম কথা, এটা বাংলার ক্ষমতা দখলের ভোট নয়। দিল্লির ভোট। আর দ্বিতীয়ত, অমিত শাহকে সবিনয়ে জানিয়ে রাখি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পরিমাণ ১০০ টাকা বৃদ্ধির এই সস্তা প্রহসন অবিলম্বে বন্ধ করুন। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ‘জীব দিয়েছেন যিনি, আহার দেবেন তিনি’। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করেছেন মমতা। ভাতার পরিমাণ ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকাও করেছেন বাংলার জননেত্রীই। এবারও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো আরও ৬৭টি জনহিতকর প্রকল্পই বিজেপি, সিপিএমের লম্ফঝম্প বন্ধ করে দেবে। ভাতা বৃদ্ধির প্রয়োজন হলে সেই দায়িত্বটা যথাসময়ে পালন করবেন মমতাই। আপনাকে বিমানের ধুলো উড়িয়ে এসে এই স্তোকবাক্য শোনাতে হবে না। বাংলার মা-বোনেরা তৃণমূল সুপ্রিমোকে অন্তর থেকে বিশ্বাস করেন এবং মানেন। ওসব নিয়ে আপনার না ভাবলেও চলবে। আপনি বরং বঙ্গ বিজেপির ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুন। কেন্দ্রের যে দল ও সরকার আড়াই বছর যাবৎ বাংলার বকেয়া দেড় লক্ষাধিক কোটি টাকা আটকে রেখেছে, দু’বছরেরও বেশি সময় মেটায়নি ১০০ দিনের কাজের টাকা, বন্ধ করেছে আবাস যোজনার কাজ, চারদিকে শুধু বঞ্চনা আর বঞ্চনা যাদের সৌজন্যে, তার শীর্ষ নেতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ১০০ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণায় চিঁড়ে ভিজবে বলে মনে হয়? বরং এটাই প্রচার হবে, ভয় পেয়ে এখন বাধ্য হয়েই ঢোঁক গিলছেন শাহরা।
মনে কু ডাকার আরও কারণ আছে। চার দফার ভোটেই যদি সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় গরিষ্ঠতা এসে গিয়ে থাকে, তবে কোনও রাষ্ট্রনেতা কি কখনও ক্যামেরার সামনে কাঁদেন কিংবা মাথা ঝোঁকান। অমিত শাহ বলেছেন, যে ৩৮০টির মতো আসনে ভোট ইতিমধ্যেই হয়েছে, তাতেই বিজেপির ঝুলিতে নিশ্চিত করে ২৭০ ঢুকে গিয়েছে! অর্থাৎ সরকার গঠন হয়েই গিয়েছে। এখনও আরও ১৬০ আসনে ভোট বাকি। বারাণসী সহ উত্তরপ্রদেশের অর্ধেক আসনে ভোট কিন্তু শেষ তিন পর্যায়ে। বিহার ও মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার বহু আসনে এখনও নির্বাচন বাকি। যদি জয় মুঠোয় এসে গিয়েই থাকে, তাহলে মোদিজি বারাণসীর গঙ্গাবক্ষে একটি বেসরকারি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ফুঁপিয়ে উঠলেন কেন? নিতান্তই কি আবেগের বশে? যাঁরা তাঁর সেদিনের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখেছেন, তাঁরা নিশ্চিত যে ওটা মোটেও আনন্দাশ্রু ছিল না, আত্মতৃপ্তি কিংবা আত্মসন্তুষ্টিরও নয়। তাহলে কি দেশের চিন্তায়? তাও না। রেকর্ড সংখ্যক বেকার নিয়ে কী করব? একদম নয়। তবে নিশ্চয়—গত দু’মাসে বারংবার এই বিরাট দেশের উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম এক করে ফেলেও ভোটযন্ত্রে ৪০০ থুড়ি, আড়াইশো পারেরও কোনও ইঙ্গিত না মেলার হতাশায়? বিভিন্ন প্রদেশে এবং অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মানুষের মন পড়ে নিয়েছেন তিনি। অভিনয়ের বাইরে থেকে চাপানো রংকে আরও ফুটিয়ে তুলতে কান্না রাজনৈতিক নেতাদের চিরসঙ্গী। কিন্তু পরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি পাকা হওয়ার পরও চোখে জল দেখে বুঝতে বাকি থাকে না, এত চড়া সুরের প্রচারের পরও তিনি আদ্যন্ত হতাশ, নিঃসঙ্গ—একাকিত্বই তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁকে। আর সেই কারণেই তাঁর দশ বছরের শাসনকালের সবচেয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নোট বাতিল নিয়ে কোনও জনসভায় টুঁ শব্দটিও করেননি তিনি।
কেন হতাশা? শুরু হয়েছিল উন্নয়নের ঢাক বাজিয়ে আর ৪০০ পারের গল্প শুনিয়ে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বুঝতে পারলেন—উন্নয়ন, বিকাশে হবে না। হিন্দু-মুসলমান মোটা দাগের নোংরা খেলা ছাড়া বিশেষ সুবিধে হবে না। এজন্যই আমদানি করেছেন, সংখ্যালঘুদের বেশি বাচ্চা এবং মঙ্গলসূত্রের গল্প। সঙ্গে জুড়লেন মিথ্যে ন্যারেটিভ, কংগ্রেস এলে সব টাকা পয়সা, সোনাদানা হিন্দুদের কাছ থেকে কেড়ে দিয়ে দেওয়া হবে মুসলমানদের। এই নিদান নাকি মনমোহনজি দিয়ে গিয়েছেন। লোকে চমকাল, ভয়ও পেল খানিকটা। শত হলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী বলে কথা। কিন্তু তার তিন সপ্তাহ পরে আবার সুর বদল। এখন বলছেন, মুসলমানদের কথা তিনি একবারও বলেননি। বেশি বাচ্চা বলতে গরিব মানুষের কথা বুঝিয়েছেন। সবাই অবাক! মোদিজির হলটা কী? কোনও খারাপ খবর এসেছে? এমনও বলছেন, ‘যদি হিন্দু-মুসলিম করি, তাহলে সামাজিক জীবনে থাকার যোগ্যতা হারাব।’ যদি তাই হয়, তাহলে তো অনেক আগেই আপনি সেই যোগ্যতা হারিয়ে বসে আছেন। 
মোদির মুখে উঠে এসেছে গুজরাত দাঙ্গার কথা। বলছেন, ‘আমার অনেক মুসলিম বন্ধু আছে।’ এ তো বিড়াল বলছে, মাছ খাব না! ‘২০০২ সালের পর আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার অনেক চেষ্টা হয়েছিল। ঈদের দিন আমরা বাড়িতে রান্না করতাম না। আশপাশের মুসলিম প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খাবার আসত।’ খুব ভালো কথা। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘ভোট ব্যাঙ্কের জন্য কাজ করি না। আমি বিশ্বাস করি, সব কা সাথ, সব কা বিকাশে।’ এ তো প্রধানমন্ত্রী নন, শরৎচন্দ্রের সাক্ষাৎ ‘ছিনাথ বহুরূপী’!
কিন্তু বাস্তব হল, মোদিজির মুখে এই কথা বাংলার মানুষের হজম হচ্ছে না। আমাদের স্মৃতি বড্ড দুর্বল। খুব বেশিদিন অনেকেই কিছু মনে রাখেন না। তার সুযোগ নেন রাজনীতিকরা। আজ এক কথা বলেন, কাল অন্য কথা। কথার ভুলভুলাইয়ায় চোরকাঁটায় আটকে যান গরিব জনগণ। কিন্তু গত রবিবার বারাকপুর লোকসভা আসনের এক জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী যে কথাগুলি বলেছিলেন, তার স্মৃতি এখনও টাটকা। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এখানে তৃণমূল নেতারা বলছেন হিন্দুদের ভাগীরথীতে ছুড়ে ফেলে দেবেন। চোয়াল শক্ত করে প্রধানমন্ত্রী এরপরই বলেন, ‘এত হিম্মত? এত সাহস?’ তাঁর দাবি, ‘বাংলায় মমতার রাজত্বে হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রাখা হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী এও বলেছিলেন, ‘ইন্ডি জোট এলে তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ তুলে দেবে। ওরা বলছে, পুরো সংরক্ষণ মুসলমানদের দেওয়া হোক।’ প্রশ্ন ছুড়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আপনারা এটা মেনে নেবেন তো? দেশের দলিত, আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণি এই অন্যায় সহ্য করবে কি?’ এই প্রসঙ্গেই কর্ণাটকের উদাহরণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কর্ণাটকে ওবিসিদের প্রাপ্য সংরক্ষণ গোটাটাই মুসলমানদের দিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। বাংলার ভাই বোনেদের খুব সতর্ক থাকতে হবে।’
এমনিতে সেফোলজিস্টরা বলেন, দেশে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মুসলিম জনগণ। তাদের একেবারে পাশে সরিয়ে বছরের পর বছর দেশ শাসন এক কথায় অসম্ভব। কিন্তু হালে রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির বিস্তার হলেও জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ মুসলিম জনগণের কাছে গেরুয়া শক্তি এখনও ব্রাত্য। তাই শেষ তিন দফায় এসে প্রধানমন্ত্রী কাঁদছেন। মুসলিমদের জন্য হঠাৎ তাঁর মনের বিগলিত আবেগ উথলে উঠছে। কিন্তু সম্প্রীতির ফুল বিভেদের মাটিতে ফোটে কি? তিনি যে বিষ বপন করে গেলেন, সেই ক্ষত সরাসরি আমাদের সংবিধানকে জখম করবে। তিনি ক্ষমতায় আসুন আর নাই আসুন, তাঁর রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চেহারা ক্ষুণ্ণ হলে, ইতিহাস কিন্তু তাঁকে কোনওদিন ক্ষমা করবে না।
19th  May, 2024
ভোটের দফার সঙ্গে বাড়ছে মমতার গুরুত্ব
হারাধন চৌধুরী

‘ইন্ডিয়া’ জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি। নামকরণও তাঁর। এহেন ‘মহাজোট’কে গেরুয়া শিবির কখনও ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকেনি, পরিবর্তে ‘ইন্ডি’ নামেই কটাক্ষ করেছে, যার সঙ্গে সংস্কৃত ‘পিণ্ড’ শব্দের কথ্যরূপ ‘পিণ্ডি’র মিল রয়েছে। বিশদ

উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

21st  May, 2024
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
একনজরে
আইপিএলের শুরুর দিকে একেবারই ফর্মে ছিলেন না ২৪.৭৫ কোটির মিচেল স্টার্ক। তার জন্য কম গঞ্জনা শুনতে হয়নি অজি তারকাকে। তবে টুর্নামেন্ট যত গড়িয়েছে, ততই বল হাতে ধারালো হয়ে উঠেছেন বাঁ হাতি পেসার। মঙ্গলবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে হায়দরাবাদের মেরুদণ্ড ভেঙে নিন্দুকদের মোক্ষম ...

দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় পথবাতি জ্বলছে না। নিকাশি নালার কাজের জন্য বিদ্যুতের খুঁটি সহ পথবাতি খুলে ফেলা হয়। কিন্তু কাজ শেষের পর খুঁটিগুলি আর বসানো হয়নি। বসেনি পথবাতিও। ...

সিপিএমকে ভোট দিয়ে লাভ কী হবে? সিপিএমের ক্ষমতা নেই বিজেপিকে আটকানো। সিপিএমকে ভোট দিয়ে তৃণমূলের ভোট কাটা গেলে লাভ হবে বিজেপির। সিপিএম এখন বিজেপির পক্ষে ...

কথায় বলে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। সেই বিশ্বাস কতটা গভীর হলে দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ হাঁটা যায়! শিবভক্ত ধনতাজ সাঙ্গালাঙ্ঘি এই বিশ্বাসে ভর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জীব বৈচিত্র্য দিবস
১৫৪৫: সম্রাট শেরশাহের মৃত্যু
১৭৭২: রাজা রামমোহন রায়ের জন্ম
১৮০৩: কানেকটিকাটে প্রথম পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন
১৮২২: লেখক ও সমাজকর্মী কিশোরীচাঁদ মিত্রর জন্ম
১৮৫৯: গোয়েন্দা শার্লক হোমসের স্রস্টা স্কটিশ সাহিত্যিক আর্থার কোনান ডয়েলের জন্ম
১৮৮৫: ফরাসি সাহিত্যিক ভিক্টর হুগোর মৃত্যু
১৮৯৭: টেমস নদীর তলদেশে ব্লাক ওয়াল টানেল আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়
১৯৪০: ক্রিকেটার এরাপল্লি প্রসন্নর জন্ম
১৯৪৬: আইরিশ ফুটবলার জর্জ বেস্টের জন্ম
১৯৫০: কিংবদন্তি বাঙালি মঞ্চাভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭২: সিলোনের নাম শ্রীলঙ্কা রাখা হয়
২০০৪: ১৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ডঃ মনমোহন সিংয়ের শপথ গ্রহণ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৯ টাকা ৮৪.২৩ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৮ টাকা ১০৭.৬৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৯২ টাকা ৯২.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ২২ মে, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৪/৩৫ রাত্রি ৬/৪৮। স্বাতী নক্ষত্র ৭/৩ দিবা ৭/৪৭। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৪৬, সূর্যাস্ত ৬/৮/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৭ মধ্যে পুনঃ ১/৪৫ গতে ৫/১৬ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ১/২১ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। 
৮ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ২২ মে, ২০২৪। চতুর্দশী সন্ধ্যা ৬/৪। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ৭/২৪। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ১/৫০ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ১/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৫ গতে ৯/৫৫ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
১৩ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: বেঙ্গালুরুকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল রাজস্থান

11:38:44 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১৬০/৬ (১৮ ওভার), টার্গেট ১৭৩

11:32:50 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১২৬/৪ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৩

11:03:45 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট জুরেল, রাজস্থান ১১২/৪ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৭৩

10:59:05 PM

আইপিএল: ১৭ রানে আউট স্যামসন, রাজস্থান ৮৬/৩ (১০ ওভার), টার্গেট ১৭৩

10:40:08 PM

আইপিএল: ৪৫ রানে আউট জয়সওয়াল, রাজস্থান ৮১/২ (৯.২ ওভার), টার্গেট ১৭৩

10:35:21 PM