সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
ওথেলো থেকে অথৈ
অনির্বাণ: অর্ণদার তৈরি করা নাটক। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে প্রথম মঞ্চস্থ হয়। সাত বছর সাফল্যের সঙ্গে মঞ্চাভিনয়ের পর অর্ণদা ‘অথৈ’কে সিনেমার ভার্সনে নিয়ে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। আমারও ইচ্ছে ছিল।
সোহিনী: আমি ‘অথৈ’-এর শেষ ছ’টি শো করেছিলাম। তার আগে দর্শক হিসেবে দু’বার নাটকটা দেখেছিলাম। বড়পর্দায়ও ‘ডেসডিমনা’ আমিই হব, ভাবিনি কখনও।
অর্ণ-অনির্বাণ
অনির্বাণ: অর্ণদা ওথেলো ওরফে অথৈ। আমি ইয়াগো তথা গোগো চরিত্রে। দুটোই কেন্দ্রীয় চরিত্র। চ্যালেঞ্জটা ছিল প্রি-প্রোডাকশনে। অর্ণদা ক্যামেরার সামনে থাকলে, আমি মনিটরে থাকতাম। আমি অভিনয়ে থাকলে অর্ণদা মনিটরে। দু’জনে একসঙ্গে অভিনয় করার সময় আমাদের সহকারী অরিত্রপ্রতিম বিশ্বাস মনিটরে থাকতেন। ক্যামেরার পিছনে, সামনে ভারসাম্য রাখাটা দু’জনেরই চ্যালেঞ্জ ছিল।
চরিত্রের স্কেচ
সোহিনী: মঞ্চে ও ক্যামেরার সামনে অভিনয়ের ভাষার ফারাকটা আমি ঠিক বুঝতে পারি না। মঞ্চে অনেক সময় খারাপ সাউন্ডের জন্য লাউড অ্যাক্টিং করতে হয়। তার বাইরে ‘অথৈ’-এর দিয়ামনা চরিত্রটা যেভাবে আঁকা হয়েছে, তাতে ক্যামেরার সামনে অভিনেতার ভাষার কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়েনি। চরিত্রের স্কেচটা আমার ভেতরে ছিলই।
পটভূমি
অনির্বাণ: শেক্সপিয়ারের মূল নাটকটা নাম ‘দ্য ট্র্যাজেডি অব ওথেলো , দ্য মুর অব ভেনিস’। সেই ভেনিসের বদলে আমাদের ছবির পটভূমি ভিনসুরা নামে পশ্চিমবঙ্গের কাল্পনিক এক গ্রাম। অথৈ আর গোগো হচ্ছে ডাক্তার। দিয়ামনা পেশাগতভাবে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হতে পারত। কিন্তু সে চাকরি করে না। গোগো আমেরিকাতে গবেষণা করে। অথৈ কলকাতায় পড়াশোনা করছে, গ্রামে ডাক্তারি করে।
রহস্য
অনির্বাণ: ইন্টার পার্সোনাল সম্পর্কের রাজনীতির জটিল স্তরটা শেক্সপিয়রের নাটকগুলোতে প্রধান বিষয়। এটাই ওঁর ৪২০ বছর ধরে টিকে থাকার রহস্য।
সোহিনী: হ্যাঁ, মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের রাজনৈতিক সমীকরণটাই যত জটিলতা ও টানাপোড়েন তৈরি করে আসছে যুগ যুগ ধরে। শেক্সপিয়রের রহস্যটা এখানেই।
আশা
সোহিনী: অথৈ নাটকটা এমন একটাও শো হয়নি, যেটা হাউসফুল হয়নি। অথৈ-এর এমন কিছু চরিত্র আছে যাদের সঙ্গে মানুষ কিছুটা জার্নি করতে পারবেন। আশা করি, সিনেমাটা মানুষ দেখবেন।
অনির্বাণ: আমরা তো এখনকার সময়েরই মানুষ। দর্শকদের সঙ্গে একই সমাজে বসবাস করছি। আমরা যেটা ভাবছি সেটা সমাজ থেকেই উঠে আসছে। এরকম একটা আশা রাখছি, যেভাবে আমরা দর্শককে দেখাতে চাইছি, সেটা দর্শককে অন্তর থেকে ভাবাবে। দর্শকের মধ্যে একটা প্রভাব তৈরি করবে। ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়