সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
‘রাজনীতি’ দর্শকের বড় অংশের পছন্দ হয়েছিল। দ্বিতীয় সিজনও কি সমান ভালোবাসা পাবে? কনীনিকার উত্তর, ‘দর্শকদের কতটা তৃপ্তি দেবে, তা জানি না। আমি প্রচুর সিরিজ দেখি বলেই একথা বলছি। ধরুন, যদি ‘মানি হাইস্ট’-এর কথাই ভাবি, তার প্রথম, দ্বিতীয় সিজন দারুণ লেগেছিল। টানা দেখেছিলাম। কিন্তু শেষ সিজনটা আমার মনে হয়েছে ঠিক জমেনি। ফার্স্ট বয় প্রত্যেকবার ফার্স্ট হচ্ছে, সেটা অভ্যেস হয়ে গেলেও কোনও একবার সে ফার্স্ট নাও হতে পারে। সেই বাস্তবটা আমি ভুলি না। তবে অভিনেতা হিসেবে কাজটা ভালো লেগেছে। আমি খুব আশাবাদী। অনেক বছর পর একটা কাজ করে আনন্দ পেয়েছি। শট দেওয়ার পর তৃপ্তি পেয়েছি। আমার ধারণা প্রত্যেক শিল্পীর ক্ষেত্রেই সেই তৃপ্তিটা কাজ করেছে। যে কটা কাজ ইদানীং দেখেছি, সেই নিরিখে বলতে পারি এটা ভালো কাজের মধ্যেই পড়বে।’
মল্লিকাকে গড়ে তোলার নেপথ্যে কনীনিকার নিজস্ব ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনই পরিচালক সহ সমগ্র টিমকে তিনি কৃতিত্ব দিতে চান। অভিনেত্রীর কথায়, ‘সৌরভ ভালো ফিল্ম মেকার। ওদের পুরো ইউনিটটাই ভালো। ওদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব সমকালীন। আমাকে কখনও অতিরিক্ত কিছু করতে বলেনি।’
ব্যক্তি বা পেশাদার জীবনে রাজনীতি সামলাতে কতটা অভ্যস্ত কনীনিকা? স্পষ্ট বললেন, ‘কোথাও রাজনীতি করতে পারি না বলেই আমি অনেকটা পিছিয়ে। অথচ আমি জানি রাজনীতি কীভাবে হয়। আমি সোজা কথা মুখের উপর বলি। কিন্তু রাজনীতি ওভাবে হয় না। আমি খুব ভালো অবজার্ভার। সবার রাজনীতি বুঝি। আমাদের এই সিরিজের রাজনীতির গল্প প্রত্যেক ঘরে ঘরে, সমাজের সব স্তরে রয়েছে। বিশেষত এই মুহূর্তে আমাদের দেশে, রাজ্যে এটাই চলছে। এই রাজনীতি চারদিকে দেখতে পাই।’
লোকসভা নির্বাচনের আবহে মুক্তি পাচ্ছে ‘আবার রাজনীতি’। কনীনিকা নিজেও রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অফার পেয়েছিলেন। কিন্তু তা গ্রহণ করেননি। কারণ ব্যখ্যা করে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার কাছে অফার এসেছিল। অনেক দল থেকেই অফার ছিল। কিন্তু আমি যাইনি। কারণ এই মুহূর্তে ওই কাজটা এনজয় করব না। হতেই পারে আজ থেকে ১০ বছর পরে আমি সক্রিয় রাজনীতি করতে চাইব। এখন মনে হয় পরিবারকে দেখার প্রয়োজন বেশি। আমার মনে হয় রাজনীতি করতে গেলে একটা শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার। শুধু শিক্ষা দিয়েও হবে না। তার সঙ্গে মানুষকে বোঝার যোগ্যতা দরকার। ইতিহাস পড়তে হবে। তারপর কর্মক্ষেত্রে নামতে হবে। আমি রাজনীতি করতে চাই না। আমি শেখানো কথা বলতে পারি না। কোনও রাজনৈতিক দলের নিয়মের মধ্যে নিজেকে বেঁধে রাখতে পারব না।’